আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
রংপুরের বদরগঞ্জে বিসিআইসি ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীদের দোকান ঘুরেও ইউরিয়া সার না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের। দু-একজন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে সার থাকলেও ৮০০ টাকার ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। বেশি দরে সার বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরাও সার বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
বুধবার পৌর শহরের নতুন বাজারের মনির ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মনির বকশিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরাও ইউরিয়া সার বিক্রি বন্ধ করে দেন।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা সার বিক্রি বন্ধের কারণ হিসেবে সরবরাহ না থাকার বলেন। এ বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ডিলারদের কাছ থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে বিক্রি করি। কিন্তু ডিলারদের কাছ থেকে ইউরিয়া সার পাচ্ছি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছেন ১১ জন। তাঁরা জুলাই মাসে আগের দরে ৪৫১ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়েছেন। অনেকেই বিক্রি শেষ দেখিয়ে নতুন সার নিয়েছেন। কিন্তু সেই সার এখনো বাজারে সরবরাহ করা হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, সার ডিলারেরা কাগজে-কলমে শেষ দেখালেও তাঁদের গুদামে সার মজুত রয়েছে। তাঁরা সেই সার বেশি দরে বিক্রির সুযোগে রয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিলারের ব্যবস্থাপক অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেকেই পৌর শহরের গোডাউনে ইউরিয়া সার মজুত রেখেছেন। কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষি অফিসে তাঁরা কাগজ-কলমে সার বিক্রি শেষ দেখিয়েছেন।
এদিকে সার সংকটে বিপদে পড়েছেন কৃষকেরা। ওসমানপুর গ্রামের কৃষক জিকরুল আনম লিটন বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে আমন লাগিয়েছি। জমিতে ইউরিয়া সার দিতে হবে। ডিলারদের দোকান ঘুরেও ইউরিয়া সার পাচ্ছি না। খুচরা সার ব্যবসায়ীরা দুদিন আগে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার ১১০০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন তাঁরা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।’
একই কথা জানিয়েছেন পৌর শহরের শাহাপুর গ্রামের কৃষক হাছিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়েও সার পাচ্ছি না।’
আর আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষক হাসেম আলী সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ডিলারদের দিকে। তাঁর অভিযোগ, ‘ডিলারেরা সার গোডাউনে মজুত রাখলেও বিক্রি করছেন না। তিনি ডিলারদের গোডাউন তল্লাশির দাবি জানান।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই খুচরা সার ব্যবসায়ীও একই অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, কয়েকজন ডিলারের গুদামে ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। তাঁরা নতুন দরের সার বরাদ্দ পেলে মজুত রাখা সারেরও বৈধতা পেয়ে যাবেন। তখন ৮০০ টাকার সার ১১০০ টাকায় বিক্রি করলেও আর কেউ তাঁদের ধরতে পারবে না।
তবে সারের সরবরাহ সংকট নেই বলে জানালেন সার ডিলার মেসার্স আকবর তালুকদারের ব্যবস্থাপক সুব্রত রায়। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গোপীনাথপুর ইউনিয়নে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ৮০০ টাকা দরে সার বিক্রি করছি। এখনো দোকানে ৪০০ বস্তা ইউরিয়া আছে। কৃষি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী রোববার সেই সার বিক্রি শুরু করা হবে।’
একই কথা জানালেন রামনাথপুর ইউনিয়নের সার ডিলার হারুন। তিনি বলেন, ‘আমি জুলাই মাসে ৪১ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছিলাম। তা ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গত বুধবার নতুন দরে ২০ মেট্রিক টন সার উত্তোলন করেছি। কিন্তু কৃষি অফিসের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সেই সার বিক্রি শুরু করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, ‘ইউরিয়া সারের কোনো সংকট নেই। দু-চারজন ডিলারের কাছে আগের দরের কিছু সার রয়েছে। আবার কয়েকজন ডিলার নতুন দরের ইউরিয়াও উত্তোলন করেছেন। নতুন দরের সার ১১০০ টাকায় বিক্রি শুরু করলে সুযোগ বুঝে আগের ৮০০ টাকার সারও ব্যবসায়ীরা ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। তাই দু-এক দিনের মধ্যে ৮০০ টাকার সার বিক্রি শেষ হলে নতুন দরে সার বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
ইউরিয়া সারের সরবরাহ ও এর বাজারের দিকে নজর রাখা হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘৮০০ টাকার ইউরিয়া সারের দাম এক কৃষকের কাছে বেশি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৌর শহরের এক খুচরা সার ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে কেউ বেশি নিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের বদরগঞ্জে বিসিআইসি ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীদের দোকান ঘুরেও ইউরিয়া সার না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের। দু-একজন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে সার থাকলেও ৮০০ টাকার ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। বেশি দরে সার বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরাও সার বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
বুধবার পৌর শহরের নতুন বাজারের মনির ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মনির বকশিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরাও ইউরিয়া সার বিক্রি বন্ধ করে দেন।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা সার বিক্রি বন্ধের কারণ হিসেবে সরবরাহ না থাকার বলেন। এ বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ডিলারদের কাছ থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে বিক্রি করি। কিন্তু ডিলারদের কাছ থেকে ইউরিয়া সার পাচ্ছি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছেন ১১ জন। তাঁরা জুলাই মাসে আগের দরে ৪৫১ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়েছেন। অনেকেই বিক্রি শেষ দেখিয়ে নতুন সার নিয়েছেন। কিন্তু সেই সার এখনো বাজারে সরবরাহ করা হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, সার ডিলারেরা কাগজে-কলমে শেষ দেখালেও তাঁদের গুদামে সার মজুত রয়েছে। তাঁরা সেই সার বেশি দরে বিক্রির সুযোগে রয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিলারের ব্যবস্থাপক অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেকেই পৌর শহরের গোডাউনে ইউরিয়া সার মজুত রেখেছেন। কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষি অফিসে তাঁরা কাগজ-কলমে সার বিক্রি শেষ দেখিয়েছেন।
এদিকে সার সংকটে বিপদে পড়েছেন কৃষকেরা। ওসমানপুর গ্রামের কৃষক জিকরুল আনম লিটন বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে আমন লাগিয়েছি। জমিতে ইউরিয়া সার দিতে হবে। ডিলারদের দোকান ঘুরেও ইউরিয়া সার পাচ্ছি না। খুচরা সার ব্যবসায়ীরা দুদিন আগে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার ১১০০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন তাঁরা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।’
একই কথা জানিয়েছেন পৌর শহরের শাহাপুর গ্রামের কৃষক হাছিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়েও সার পাচ্ছি না।’
আর আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষক হাসেম আলী সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ডিলারদের দিকে। তাঁর অভিযোগ, ‘ডিলারেরা সার গোডাউনে মজুত রাখলেও বিক্রি করছেন না। তিনি ডিলারদের গোডাউন তল্লাশির দাবি জানান।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই খুচরা সার ব্যবসায়ীও একই অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, কয়েকজন ডিলারের গুদামে ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। তাঁরা নতুন দরের সার বরাদ্দ পেলে মজুত রাখা সারেরও বৈধতা পেয়ে যাবেন। তখন ৮০০ টাকার সার ১১০০ টাকায় বিক্রি করলেও আর কেউ তাঁদের ধরতে পারবে না।
তবে সারের সরবরাহ সংকট নেই বলে জানালেন সার ডিলার মেসার্স আকবর তালুকদারের ব্যবস্থাপক সুব্রত রায়। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গোপীনাথপুর ইউনিয়নে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ৮০০ টাকা দরে সার বিক্রি করছি। এখনো দোকানে ৪০০ বস্তা ইউরিয়া আছে। কৃষি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী রোববার সেই সার বিক্রি শুরু করা হবে।’
একই কথা জানালেন রামনাথপুর ইউনিয়নের সার ডিলার হারুন। তিনি বলেন, ‘আমি জুলাই মাসে ৪১ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছিলাম। তা ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গত বুধবার নতুন দরে ২০ মেট্রিক টন সার উত্তোলন করেছি। কিন্তু কৃষি অফিসের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সেই সার বিক্রি শুরু করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, ‘ইউরিয়া সারের কোনো সংকট নেই। দু-চারজন ডিলারের কাছে আগের দরের কিছু সার রয়েছে। আবার কয়েকজন ডিলার নতুন দরের ইউরিয়াও উত্তোলন করেছেন। নতুন দরের সার ১১০০ টাকায় বিক্রি শুরু করলে সুযোগ বুঝে আগের ৮০০ টাকার সারও ব্যবসায়ীরা ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। তাই দু-এক দিনের মধ্যে ৮০০ টাকার সার বিক্রি শেষ হলে নতুন দরে সার বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
ইউরিয়া সারের সরবরাহ ও এর বাজারের দিকে নজর রাখা হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘৮০০ টাকার ইউরিয়া সারের দাম এক কৃষকের কাছে বেশি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৌর শহরের এক খুচরা সার ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে কেউ বেশি নিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামে ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রদলের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্রকরে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ সোমবার নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
১২ মিনিট আগেদাম্পত্য কলহ দূর, মনের মানুষকে কাছে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা, গর্ভধারণে সক্ষমতার ব্যবস্থা করা, প্যারালাইসিস রোগের উপশমসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ফাঁদে ফেলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন রেজাউল করিম (৪০) নামের এক কথিত কবিরাজ। এসব অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের...
২০ মিনিট আগেসরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে রাজধানী মহাখালীতে দিনভর সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নোয়াখালী থেকে কমলাপুরের পথে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর ছুড়লে বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। রক্তাক্ত জখম হন শিশুসহ কয়েকজন যাত্রী।
৩৩ মিনিট আগেভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধিতে জড়িত আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।
১ ঘণ্টা আগে