গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতার কারণে গাইবান্ধায় ৬০ বিঘা তিন ফসলি জমি চার বছর ধরে অনাবাদি পড়ে রয়েছে। জমিগুলো এখন গবাদিপশুর চারণভূমি। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিগুলোর অর্ধশতাধিক বর্গাচাষি চাষাবাদের সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলের তাঁদের পরিবারগুলোর চার শতাধিক সদস্য অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছেন বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামের হাজি সামছুল হক সরকার ৬০ বিঘা আবাদি জমি রেখে ২০১৩ সালে মারা যান। তাঁর চার ছেলে আব্দুস সবুর, শহীদুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন ও শরিফুল ইসলাম জমিগুলোর মালিক। তাঁদের বাবা সামছুল হক জীবিত থাকাকালীন ওই জমিগুলো গ্রামের বর্গাচাষি চাষাবাদ করতেন। এমনকি তিনি মারা যাওয়া কয়েক বছর পরও জমিগুলো বর্গাচাষিরাই চাষাবাদ করতেন। হঠাৎ ২০১৮ সালে চার ভাইয়ের মধ্যে জমির ভাগাভাগি নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি হলে তাঁরা বর্গাচাষিদের চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। সেই থেকে প্রায় চার বছর ধরে জমিগুলো পতিত রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামের বিশাল আকৃতির একটি জমি। জমিগুলোর চারদিকে বোরো ধানের সবুজ পাতাগুলো বসন্তের হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। আর এই ৬০ বিঘা পতিত জমি গবাদিপশুর চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। জমিগুলো চাষাবাদ নিয়ে বর্গাচাষি অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন।
ওই গ্রামের ভুক্তভোগী বর্গাচাষি জানান, ওই গ্রামের আব্দুস সবুর, শহীদুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন ও শরিফুল ইসলাম নামের চার ভাই জমিগুলোর মালিক। নিজেদের পারিবারিক কোন্দলের কারণে তাদের পৈতৃক জমিগুলো ভাগাভাগি বন্ধ করে দিয়ে বর্গাচাষিদের চাষাবাদও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিবার নিয়ে তারা খাদ্য সংকটে পড়েছেন। গবাদিপশুর খাদ্যও মিলছে না তাদের। বাধ্য হয়ে তারা গরু বাছুর বিক্রি করে দিচ্ছেন।
স্থানীয় বর্গাচাষি আনছার আলী, নজরুল, আয়নাল, মমতাজ, আবু হোসেন, ফরিদ মিয়া, শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই জানান, তিন ফসলি জমিগুলোতে আউশ ও আমন ধান আবাদ করতেন তাঁরা। বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ মণ বর্গার ধান রেখে বাকি ৭ থেকে ১০ মণ ধান জমির মালিককে দিতেন। মালিকেরা সবাই বিত্তশালী, কিন্তু তাঁরা সবাই গরিব দিনমজুর। ফলে ধান না পাওয়াতে চাল কিনে তিন বেলা খাবার জুটছে না। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
অন্যদিকে জমির অংশীদার আব্দুস সবুর আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের বাবা হাজি সামছুল হকের জীবদ্দশা থেকেই জমিগুলো বর্গাচাষিরা চাষাবাদ করে আসছেন। আবাদ করতে আগ্রহী নন যে তিন ভাই; তাঁদের একজন বর্তমানে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম। তিনি এবং অন্য ভাইয়েরা জমি ভাগাভাগিও করছেন না বর্গাচাষিদের চাষাবাদও করতে দিচ্ছেন না।
আব্দুস সবুর বলেন, ‘বর্গাচাষিদের অভাব ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমাধানের চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। কিন্তু আমার ভাইয়েরা ইচ্ছাকৃতভাবে সমাধানে রাজি নয়। সরকার ঘোষণা দিয়েছে এক ইঞ্চি জমিও চাষাবাদের বাইরে রাখা যাবে না। সেখানে আমাদের এই বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি থাকা উচিত নয়, বলে আমরা নিজেরাও মনে করি।’
এ বিষয়ে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আর এ বিষয়ে আমার জানাও ছিল না। তবে কেন জমিগুলো পতিত ফেলে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জমিগুলো চাষাবাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আবাদি জমি অনাবাদি ফেলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতার কারণে গাইবান্ধায় ৬০ বিঘা তিন ফসলি জমি চার বছর ধরে অনাবাদি পড়ে রয়েছে। জমিগুলো এখন গবাদিপশুর চারণভূমি। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিগুলোর অর্ধশতাধিক বর্গাচাষি চাষাবাদের সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলের তাঁদের পরিবারগুলোর চার শতাধিক সদস্য অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছেন বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামের হাজি সামছুল হক সরকার ৬০ বিঘা আবাদি জমি রেখে ২০১৩ সালে মারা যান। তাঁর চার ছেলে আব্দুস সবুর, শহীদুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন ও শরিফুল ইসলাম জমিগুলোর মালিক। তাঁদের বাবা সামছুল হক জীবিত থাকাকালীন ওই জমিগুলো গ্রামের বর্গাচাষি চাষাবাদ করতেন। এমনকি তিনি মারা যাওয়া কয়েক বছর পরও জমিগুলো বর্গাচাষিরাই চাষাবাদ করতেন। হঠাৎ ২০১৮ সালে চার ভাইয়ের মধ্যে জমির ভাগাভাগি নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি হলে তাঁরা বর্গাচাষিদের চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। সেই থেকে প্রায় চার বছর ধরে জমিগুলো পতিত রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামের বিশাল আকৃতির একটি জমি। জমিগুলোর চারদিকে বোরো ধানের সবুজ পাতাগুলো বসন্তের হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। আর এই ৬০ বিঘা পতিত জমি গবাদিপশুর চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। জমিগুলো চাষাবাদ নিয়ে বর্গাচাষি অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন।
ওই গ্রামের ভুক্তভোগী বর্গাচাষি জানান, ওই গ্রামের আব্দুস সবুর, শহীদুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন ও শরিফুল ইসলাম নামের চার ভাই জমিগুলোর মালিক। নিজেদের পারিবারিক কোন্দলের কারণে তাদের পৈতৃক জমিগুলো ভাগাভাগি বন্ধ করে দিয়ে বর্গাচাষিদের চাষাবাদও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিবার নিয়ে তারা খাদ্য সংকটে পড়েছেন। গবাদিপশুর খাদ্যও মিলছে না তাদের। বাধ্য হয়ে তারা গরু বাছুর বিক্রি করে দিচ্ছেন।
স্থানীয় বর্গাচাষি আনছার আলী, নজরুল, আয়নাল, মমতাজ, আবু হোসেন, ফরিদ মিয়া, শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই জানান, তিন ফসলি জমিগুলোতে আউশ ও আমন ধান আবাদ করতেন তাঁরা। বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ মণ বর্গার ধান রেখে বাকি ৭ থেকে ১০ মণ ধান জমির মালিককে দিতেন। মালিকেরা সবাই বিত্তশালী, কিন্তু তাঁরা সবাই গরিব দিনমজুর। ফলে ধান না পাওয়াতে চাল কিনে তিন বেলা খাবার জুটছে না। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
অন্যদিকে জমির অংশীদার আব্দুস সবুর আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের বাবা হাজি সামছুল হকের জীবদ্দশা থেকেই জমিগুলো বর্গাচাষিরা চাষাবাদ করে আসছেন। আবাদ করতে আগ্রহী নন যে তিন ভাই; তাঁদের একজন বর্তমানে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম। তিনি এবং অন্য ভাইয়েরা জমি ভাগাভাগিও করছেন না বর্গাচাষিদের চাষাবাদও করতে দিচ্ছেন না।
আব্দুস সবুর বলেন, ‘বর্গাচাষিদের অভাব ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমাধানের চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। কিন্তু আমার ভাইয়েরা ইচ্ছাকৃতভাবে সমাধানে রাজি নয়। সরকার ঘোষণা দিয়েছে এক ইঞ্চি জমিও চাষাবাদের বাইরে রাখা যাবে না। সেখানে আমাদের এই বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি থাকা উচিত নয়, বলে আমরা নিজেরাও মনে করি।’
এ বিষয়ে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আর এ বিষয়ে আমার জানাও ছিল না। তবে কেন জমিগুলো পতিত ফেলে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জমিগুলো চাষাবাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আবাদি জমি অনাবাদি ফেলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
১৭ মিনিট আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৯ মিনিট আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
১ ঘণ্টা আগে