আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুরে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। একদিকে মাঝারি থেকে তীব্র দাবপ্রবাহ, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে বোরো ধানের খেতে সেচকাজ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনাজপুরের ধানচাষিরা।
দিনাজপুর সদর, বিরলসহ কয়েকটি উপজেলার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই এলাকায় ধান দেরিতে রোপণ করা হয়। কাটাও হয় দেরিতে। মাঠে থাকা অধিকাংশ ধানে বর্তমানে শিষ আসতে শুরু করেছে। গাছে ধান পুষ্ট হওয়ার এটাই সময়। এ সময় জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে ধানে ফলন কম হবে, চিটা ধরবে, বিভিন্ন পোকার আক্রমণ ঘটবে। ফলে ফসল ঘরে তুলতে কৃষকেরা এখন দিন-রাত এক করে মাঠে পড়ে থাকছেন।
জেলা সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কৃষক ও ঘুঘুডাঙ্গা হালকা সেচ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ধানে এখন দানা তৈরি হচ্ছে, এই মুহূর্তে আমরা যদি সেচ দিতে না পারি, তাহলে ধানে চিটা তৈরি হবে। ধান পুরু হবে না। পাতান হয়ে যাবে। কিন্তু জমিতে পানি দেব কীভাবে? দরকার সারা দিনে আট-দশ ঘণ্টা, বিদ্যুৎ পাচ্ছি দুই-আড়াই ঘণ্টা। তাও একটানা না। এক ঘণ্টায় যদি দশবার কারেন্ট যায়, তাহলে আমরা মেশিন চালাব কখন?’
একই এলাকার কৃষক মাহমুদুন্নবী চৌধুরী এখানে চার একর জমিতে ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ১০-১২ দিন যদি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়া যায়, তাহলে চলতি মৌসুমে সেচের অভাবে ধানের অনেক ক্ষতি হবে। কৃষকেরা খরচটাও তুলতে পারবেন না। এখনই ব্যবস্থা না নিলে লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জেলার বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের আদর্শ চাষি মতিউর রহমান বলেন, ‘খবরে দেখতে পাচ্ছি বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাষিরা বিদ্যুতের অভাবে জমিতে ঠিকমতো সেচ দিতে পারছি না। এই দাবদাহে আমাদের জমিতে ঠিকমতো পানি থাকছে না। তাতে আমাদের ধানের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ফলন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
দিনাজপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দিনাজপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে জেলার সাতটি উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১২৫ মেগাওয়াট। কিন্তু অতিরিক্ত গরম আর সেচপ্রকল্পে বিদ্যুতের চাহিদার কারণে তা বেড়ে ১৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অধীনে বিদ্যুতের চাহিদা ১০৫ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। বর্তমানে সাধারণ চাহিদার চেয়ে ৩০-৩৫ শতাংশ সরবরাহে ঘাটতি থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে ৫০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা মাত্র একসঙ্গে সবগুলো পাম্প চালু হয়ে যাওয়ায় লোড বেড়ে যাচ্ছে। কৃষকদের বিদ্যুৎ সরবরাহে আমরাও আন্তরিক। তাদের সরবরাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিদ্যুতের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আমরা কৃষকের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বিদ্যুৎ বিভাগকে জানিয়েছি। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
দিনাজপুরে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। একদিকে মাঝারি থেকে তীব্র দাবপ্রবাহ, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে বোরো ধানের খেতে সেচকাজ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনাজপুরের ধানচাষিরা।
দিনাজপুর সদর, বিরলসহ কয়েকটি উপজেলার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই এলাকায় ধান দেরিতে রোপণ করা হয়। কাটাও হয় দেরিতে। মাঠে থাকা অধিকাংশ ধানে বর্তমানে শিষ আসতে শুরু করেছে। গাছে ধান পুষ্ট হওয়ার এটাই সময়। এ সময় জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে ধানে ফলন কম হবে, চিটা ধরবে, বিভিন্ন পোকার আক্রমণ ঘটবে। ফলে ফসল ঘরে তুলতে কৃষকেরা এখন দিন-রাত এক করে মাঠে পড়ে থাকছেন।
জেলা সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কৃষক ও ঘুঘুডাঙ্গা হালকা সেচ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ধানে এখন দানা তৈরি হচ্ছে, এই মুহূর্তে আমরা যদি সেচ দিতে না পারি, তাহলে ধানে চিটা তৈরি হবে। ধান পুরু হবে না। পাতান হয়ে যাবে। কিন্তু জমিতে পানি দেব কীভাবে? দরকার সারা দিনে আট-দশ ঘণ্টা, বিদ্যুৎ পাচ্ছি দুই-আড়াই ঘণ্টা। তাও একটানা না। এক ঘণ্টায় যদি দশবার কারেন্ট যায়, তাহলে আমরা মেশিন চালাব কখন?’
একই এলাকার কৃষক মাহমুদুন্নবী চৌধুরী এখানে চার একর জমিতে ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ১০-১২ দিন যদি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়া যায়, তাহলে চলতি মৌসুমে সেচের অভাবে ধানের অনেক ক্ষতি হবে। কৃষকেরা খরচটাও তুলতে পারবেন না। এখনই ব্যবস্থা না নিলে লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জেলার বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের আদর্শ চাষি মতিউর রহমান বলেন, ‘খবরে দেখতে পাচ্ছি বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাষিরা বিদ্যুতের অভাবে জমিতে ঠিকমতো সেচ দিতে পারছি না। এই দাবদাহে আমাদের জমিতে ঠিকমতো পানি থাকছে না। তাতে আমাদের ধানের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ফলন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
দিনাজপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দিনাজপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে জেলার সাতটি উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১২৫ মেগাওয়াট। কিন্তু অতিরিক্ত গরম আর সেচপ্রকল্পে বিদ্যুতের চাহিদার কারণে তা বেড়ে ১৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অধীনে বিদ্যুতের চাহিদা ১০৫ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। বর্তমানে সাধারণ চাহিদার চেয়ে ৩০-৩৫ শতাংশ সরবরাহে ঘাটতি থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে ৫০-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা মাত্র একসঙ্গে সবগুলো পাম্প চালু হয়ে যাওয়ায় লোড বেড়ে যাচ্ছে। কৃষকদের বিদ্যুৎ সরবরাহে আমরাও আন্তরিক। তাদের সরবরাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিদ্যুতের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আমরা কৃষকের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বিদ্যুৎ বিভাগকে জানিয়েছি। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, দেশের কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও নিজেকে বাঁচিয়ে চলা এমন লোক উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেতে পারেন না।
৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারে একটি মসজিদে জোহরের আজানের জবাব দিতে দিতে নূর আহমদ (৭৭) নামের এক মুসল্লি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। আজ শনিবার সদর উপজেলার পৌর এলাকার বনবীথি জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘যাদেরকে আপনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, তারা মাটি ও মানুষের চিন্তা লালন করে না। তারা ভিনদেশিদের চিন্তা লালন করে। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করা না হলে আপনার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন শুরু করব। তবে আমরা এটা করতে চাই না।’
১০ মিনিট আগেপাবনায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পদ্মাকোল খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার সকালে পৌর এলাকার সাধুপাড়া ব্রিজের নিচে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগে