প্রতিনিধি, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক রিফাত হোসেনের (৩২) মরদেহ গত ৭ দিনেও ফেরত পায়নি পরিবার। নিহত ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন এমপি, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নবিবর রহমান, বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার, থানা-পুলিশের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি রিফাতের পরিবারের।
নিহত রিফাতের বাড়ি উপজেলার মুন্সিরহাট মোহাম্মদপুর গ্রামে। সে লালমনিরহাটের জগতবেড় গ্রামের দিনমজুর ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
সীমান্ত সূত্র ও বিজিবির ভাষ্যমতে, গত ২৯ জুন মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাটের জগতবেড় গ্রাম সীমান্তের ৮৬২ / ১ নম্বর পিলারের কাছে গরু আনতে যায় পারাপারকারী ১০-১২ জনের একটি দল। ওই দলে রিফাত হোসেনও ছিল। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু আনার সময় ভারতীয় ১৪০ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চুয়াংগারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্যে করে গুলি ছোড়েন। এতে রিফাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের লাশ ভারতীয় নো-ম্যান্স ল্যান্ড অংশে পড়ে থাকে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভারতীয় অভ্যন্তরে লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
৬১ ব্যাটালিয়নের শমসের নগর বিজিবি কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে যুবক নিহতের ঘটনায় ভারতীয় চেনাকাটা কোম্পানি হেড কোয়ার্টারের অধীন চুয়াংগারখাতা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডারকে ২৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ ও বিজিবি গুলিতে যুবক হত্যার ব্যাপারে গভীর তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। এরপর আজ সোমবার পর্যন্ত ৭ দিন অতিবাহিত হলেও আর কোনো পতাকা বৈঠক হয়নি। ভারতের মাথাভাঙ্গা হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে রিফাতের লাশ রাখা আছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে তিন দিন ধরে খুঁজছিলাম। গত মঙ্গলবার শুনি বিএসএফের গুলিতে এক ছেলে সীমান্তে মারা গেছে। ছবি দেখে নিশ্চিত হই নিহত যুবক আমার ছেলে রিফাত। ছেলের লাশের জন্য কয়েক দিন ক্যাম্পে যাই। ক্যাম্পের বিজিবির অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে বলে। কিন্তু তিনি আমাদের মোবাইল রিসিভ করেননি। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে যাই। নিরুপায় হয়ে এমপি সাহেবের কাছেও গেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
দুঃখ প্রকাশ করে ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, ছেলের মুখ দেখতে পারব কিনা বলতে পারছি না। আমি ছেলের লাশ চাই। মুখ দেখে কবর দিতে চাই। কোনো উপায় না পেয়ে আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে এসেছি।
৬১ ব্যাটালিয়নের শমশের নগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার বিল্লাল হোসেন বলেন, গত ৩ জুলাই ভারতের চেনাকাটা কোম্পানি হেড কোয়ার্টারের কমান্ডার চিঠি দিয়ে বৈঠকের জন্য আহ্বান করেছিল। চিঠির কথা সিও স্যারকে জানানো হয়। প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যস্ত থাকায় পরবর্তীতে পতাকা বৈঠক করতে বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) রংপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের মোবাইলে কল দিলে 'পরে ফোন দেন' বলে লাইন কেটে দেন তিনি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক রিফাত হোসেনের (৩২) মরদেহ গত ৭ দিনেও ফেরত পায়নি পরিবার। নিহত ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন এমপি, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নবিবর রহমান, বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার, থানা-পুলিশের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি রিফাতের পরিবারের।
নিহত রিফাতের বাড়ি উপজেলার মুন্সিরহাট মোহাম্মদপুর গ্রামে। সে লালমনিরহাটের জগতবেড় গ্রামের দিনমজুর ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
সীমান্ত সূত্র ও বিজিবির ভাষ্যমতে, গত ২৯ জুন মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাটের জগতবেড় গ্রাম সীমান্তের ৮৬২ / ১ নম্বর পিলারের কাছে গরু আনতে যায় পারাপারকারী ১০-১২ জনের একটি দল। ওই দলে রিফাত হোসেনও ছিল। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু আনার সময় ভারতীয় ১৪০ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চুয়াংগারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্যে করে গুলি ছোড়েন। এতে রিফাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের লাশ ভারতীয় নো-ম্যান্স ল্যান্ড অংশে পড়ে থাকে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভারতীয় অভ্যন্তরে লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
৬১ ব্যাটালিয়নের শমসের নগর বিজিবি কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে যুবক নিহতের ঘটনায় ভারতীয় চেনাকাটা কোম্পানি হেড কোয়ার্টারের অধীন চুয়াংগারখাতা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডারকে ২৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ ও বিজিবি গুলিতে যুবক হত্যার ব্যাপারে গভীর তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। এরপর আজ সোমবার পর্যন্ত ৭ দিন অতিবাহিত হলেও আর কোনো পতাকা বৈঠক হয়নি। ভারতের মাথাভাঙ্গা হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে রিফাতের লাশ রাখা আছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে তিন দিন ধরে খুঁজছিলাম। গত মঙ্গলবার শুনি বিএসএফের গুলিতে এক ছেলে সীমান্তে মারা গেছে। ছবি দেখে নিশ্চিত হই নিহত যুবক আমার ছেলে রিফাত। ছেলের লাশের জন্য কয়েক দিন ক্যাম্পে যাই। ক্যাম্পের বিজিবির অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে বলে। কিন্তু তিনি আমাদের মোবাইল রিসিভ করেননি। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে যাই। নিরুপায় হয়ে এমপি সাহেবের কাছেও গেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
দুঃখ প্রকাশ করে ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, ছেলের মুখ দেখতে পারব কিনা বলতে পারছি না। আমি ছেলের লাশ চাই। মুখ দেখে কবর দিতে চাই। কোনো উপায় না পেয়ে আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে এসেছি।
৬১ ব্যাটালিয়নের শমশের নগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার বিল্লাল হোসেন বলেন, গত ৩ জুলাই ভারতের চেনাকাটা কোম্পানি হেড কোয়ার্টারের কমান্ডার চিঠি দিয়ে বৈঠকের জন্য আহ্বান করেছিল। চিঠির কথা সিও স্যারকে জানানো হয়। প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যস্ত থাকায় পরবর্তীতে পতাকা বৈঠক করতে বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) রংপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের মোবাইলে কল দিলে 'পরে ফোন দেন' বলে লাইন কেটে দেন তিনি।
চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের আরও ১১ সদস্যকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শনিবার শহরের বাবুরহাট কলেজ মাঠ, স্বর্ণখোলা রোড ও বড় স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
৫ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদী পৌর বিএনপি সাবেক নেতাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ শনিবার গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে...
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরখানের শাহ কবীর (রহ.) মাজার থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জিয়ারতকারীদের বিশ্রামাগার থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ
২৪ মিনিট আগেজানাজার পর আমাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন আমি পাশের রুমে বসে ছিলাম। সাদকে অনেক টর্চার করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারি। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
৩৫ মিনিট আগে