মো. মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
‘আর কতবার বাড়িঘর সরামো? নদী তো আর সময় দেয় না। জমি, ঘরবাড়ি, বাপ-দাদার ভিটা সউগ ভাংগি যাবার নাইগছে। নদীভাঙনে হামার এই গ্রামটাকে শ্যাষ করি ফ্যালাইলবার নাগছে। এ্যালা হামরা বউ-ছাওয়াক নিয়া কোন যাম?’
তিস্তার তীরে দাঁড়িয়ে করুণ সুরে কথাগুলো বলছিলেন বিনেশ্বর চন্দ্র। তাঁর বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার ভাঙনকবলিত নিজপাড়া এলাকায়।
গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। নদীভাঙনে শেষ আশ্রয়টুকু হারাতে যাওয়া এলাকাবাসীর দাবি ত্রাণ নয়, তাঁদের নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা হোক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে প্রায় ১০ হাজার পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে উপজেলার তালুকশাহাবজ, নিজপাড়া, পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ ও চরগনাই গ্রাম। এই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের প্রতিটি মুহূর্ত ভাঙনের ভয় আর উৎকণ্ঠায় কাটছে।
তিস্তার করাল গ্রাসে ঢুষমারা ও তালুকশাহাবাজ গ্রামের অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা এবং স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, গত চার সপ্তাহে তিস্তার তীব্র ভাঙনে তাঁর ইউনিয়নের অনেকের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। তীরবর্তী গ্রামের কয়েক শ ঘরবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হলে অনেকের ভিটেমাটি ও আবাদি জমি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।’
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছাড় আলী জানান, বর্ষার শুরুতেই তিস্তায় যেভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে, তাতে তাঁর এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাঁশ পুঁতে নদীর তীরবর্তী ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এগুলো সাময়িক।
তিস্তার ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো নিজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কেচয়ুনী বলেন, তাঁরা ত্রাণ চান না। সরকার যেন বরং নদীতে বাঁধ দিয়ে দেয়।
পূর্ব তালুকশাহাবাজের ক্ষীরোদ চন্দ্র বলেন, ‘কী করমো বাহে? এলাকার সবার বাড়িঘর, আবাদি জমি সইগ তিস্তা নদী গিলি খাইল। তাও কায়েও দেখে না কী করি মানুষগুলা বাঁচি আছে। জীবন আর চলে না। কাম নাই, প্যাটত ভাত নাই। শেষ পর্যন্ত মাথাগুঁজি থাকার সম্বলটাও নদীত চলি যাওছে।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, তিস্তার তীরভাঙন রোধে গাইডবাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। এখন নদীভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সম্প্রতি কাউনিয়া উপজেলা সফরে এসে জানান, সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এ জন্য চীনকে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আলোচনা ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোধ হবে।
‘আর কতবার বাড়িঘর সরামো? নদী তো আর সময় দেয় না। জমি, ঘরবাড়ি, বাপ-দাদার ভিটা সউগ ভাংগি যাবার নাইগছে। নদীভাঙনে হামার এই গ্রামটাকে শ্যাষ করি ফ্যালাইলবার নাগছে। এ্যালা হামরা বউ-ছাওয়াক নিয়া কোন যাম?’
তিস্তার তীরে দাঁড়িয়ে করুণ সুরে কথাগুলো বলছিলেন বিনেশ্বর চন্দ্র। তাঁর বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার ভাঙনকবলিত নিজপাড়া এলাকায়।
গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। নদীভাঙনে শেষ আশ্রয়টুকু হারাতে যাওয়া এলাকাবাসীর দাবি ত্রাণ নয়, তাঁদের নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা হোক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে প্রায় ১০ হাজার পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে উপজেলার তালুকশাহাবজ, নিজপাড়া, পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ ও চরগনাই গ্রাম। এই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের প্রতিটি মুহূর্ত ভাঙনের ভয় আর উৎকণ্ঠায় কাটছে।
তিস্তার করাল গ্রাসে ঢুষমারা ও তালুকশাহাবাজ গ্রামের অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা এবং স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, গত চার সপ্তাহে তিস্তার তীব্র ভাঙনে তাঁর ইউনিয়নের অনেকের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। তীরবর্তী গ্রামের কয়েক শ ঘরবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হলে অনেকের ভিটেমাটি ও আবাদি জমি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।’
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছাড় আলী জানান, বর্ষার শুরুতেই তিস্তায় যেভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে, তাতে তাঁর এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাঁশ পুঁতে নদীর তীরবর্তী ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এগুলো সাময়িক।
তিস্তার ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো নিজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কেচয়ুনী বলেন, তাঁরা ত্রাণ চান না। সরকার যেন বরং নদীতে বাঁধ দিয়ে দেয়।
পূর্ব তালুকশাহাবাজের ক্ষীরোদ চন্দ্র বলেন, ‘কী করমো বাহে? এলাকার সবার বাড়িঘর, আবাদি জমি সইগ তিস্তা নদী গিলি খাইল। তাও কায়েও দেখে না কী করি মানুষগুলা বাঁচি আছে। জীবন আর চলে না। কাম নাই, প্যাটত ভাত নাই। শেষ পর্যন্ত মাথাগুঁজি থাকার সম্বলটাও নদীত চলি যাওছে।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, তিস্তার তীরভাঙন রোধে গাইডবাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। এখন নদীভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সম্প্রতি কাউনিয়া উপজেলা সফরে এসে জানান, সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এ জন্য চীনকে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আলোচনা ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোধ হবে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ২৮টি ট্যাব ও ৩টি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে সাবেক এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চরজব্বার থানা-পুলিশ। এ ছাড়া চুরি হওয়া ২৩টি ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও নোয়াখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। আজ রোববার সকালে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট
৮ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাড়ির দুটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়।
১০ মিনিট আগেবাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ নেতাকে গুম, নির্যাতন ও পঙ্গু করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় পৃথকভাবে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের মধ্যে ৬ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে একজন এখনো গুম থাকায় তার পক্
১২ মিনিট আগেঅ্যাপ্রোচ চ্যানেলে নাব্যতা সংকটের কারণে আবারও বন্ধ হয়েছে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌ-পথে ফেরি চলাচল। এ নিয়ে চলতি মাসেই তিন দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
২৪ মিনিট আগে