প্রতিনিধি, রংপুর
রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে কোলকোন্দ ও লক্ষীটারী ইউনিয়নের বিনবিনা ও ইচলী গ্রামের বসবাস করা পরিবারগুলোর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিনবিনার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙে চাষাবাদের জমি তলিয়ে নদীতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে গ্রাম দুটির প্রায় চার হাজার পরিবার। জরুরিভাবে ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে এ গ্রাম দুটি মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
শনিবার ভাঙন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ভাঙন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে। কথা হয় বিনবিনা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), মতিয়ার রহমান (৪৫), আব্দুর রহমান (৩৯), খলিল (৫০), আলম (৪৫), ভুট্টু (৫৫) আব্দুল হামিদ (৭৭), মৌসুমি আক্তার (৪৫), আলেফ উদ্দিন (৭৫), জাহাঙ্গীর (৫০), মকবুল হোসেন (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০) সহ অনেকের সঙ্গে। সম্প্রতি তাঁদের সকলের বাড়ি-ঘর তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাঁদের মতো বসতবাড়ি হারিয়ে ভাঙন মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেক পরিবার।
ভাঙনের শিকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই মাস থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা গ্রামের ৫০টি এবং লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলী গ্রামের ২০টি বাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘর হারানো মানুষেরা স্কুলের বারান্দা, অন্য গ্রামের মানুষের বাড়ির উঠান এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এখনো তেমন সরকারি সাহায্য পাননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ভাঙনের শিকার মকবুল হোসেন (৬০) বলেন, `ঈদের আগোত বাড়ি ভাঙি গেইছে। তখন থাকি মানুষের খুলিত (উঠানে) রাইত কাটায়ছি। হামার ঈদ এবার মাটি হয়া গেইছে।' মৌসুমী আক্তার (৪৫) বলেন, `বাড়িঘর ভাঙি গেইছে। ছোট দুইটা ছইল নিয়া এর-ওর বাড়িত থাকোছি। খুব কষ্টে দিন যাওছে।'
এলাকাবাসী জানান, ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে পাকা রাস্তার পাশে জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে নদীতে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তাতে তেমন কোন ফল মিলছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম মাস্টার (৭০) জানান, গত দুই মাস থেকে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে গ্রাম বিলীন হতে সময় লাগবে না।
কোলকেন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, ভাঙন প্রতিরোধে পাউবোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বিশাল জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও চরাঞ্চল হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
লহ্মিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী জানান, পশ্চিম ইচলী গ্রামে তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছি। চরাঞ্চলে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে তাঁদের তেমন সহযোগিতা পাচ্ছি না। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (এসডি-৩) প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমান বলেন, ওই এলাকা চরাঞ্চলে হওয়ায় প্রতিরক্ষায় আমাদের তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নাই। তবুও ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি সহায়তা হিসেবে কিছু জিও ব্যাগ প্রদান করা হয়েছে। যাতে স্থানীয়রা বালু ভরাট করে ডাম্পিং করছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে কোলকোন্দ ও লক্ষীটারী ইউনিয়নের বিনবিনা ও ইচলী গ্রামের বসবাস করা পরিবারগুলোর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিনবিনার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙে চাষাবাদের জমি তলিয়ে নদীতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে গ্রাম দুটির প্রায় চার হাজার পরিবার। জরুরিভাবে ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে এ গ্রাম দুটি মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
শনিবার ভাঙন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ভাঙন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে। কথা হয় বিনবিনা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), মতিয়ার রহমান (৪৫), আব্দুর রহমান (৩৯), খলিল (৫০), আলম (৪৫), ভুট্টু (৫৫) আব্দুল হামিদ (৭৭), মৌসুমি আক্তার (৪৫), আলেফ উদ্দিন (৭৫), জাহাঙ্গীর (৫০), মকবুল হোসেন (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০) সহ অনেকের সঙ্গে। সম্প্রতি তাঁদের সকলের বাড়ি-ঘর তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাঁদের মতো বসতবাড়ি হারিয়ে ভাঙন মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেক পরিবার।
ভাঙনের শিকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই মাস থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা গ্রামের ৫০টি এবং লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলী গ্রামের ২০টি বাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘর হারানো মানুষেরা স্কুলের বারান্দা, অন্য গ্রামের মানুষের বাড়ির উঠান এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এখনো তেমন সরকারি সাহায্য পাননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ভাঙনের শিকার মকবুল হোসেন (৬০) বলেন, `ঈদের আগোত বাড়ি ভাঙি গেইছে। তখন থাকি মানুষের খুলিত (উঠানে) রাইত কাটায়ছি। হামার ঈদ এবার মাটি হয়া গেইছে।' মৌসুমী আক্তার (৪৫) বলেন, `বাড়িঘর ভাঙি গেইছে। ছোট দুইটা ছইল নিয়া এর-ওর বাড়িত থাকোছি। খুব কষ্টে দিন যাওছে।'
এলাকাবাসী জানান, ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে পাকা রাস্তার পাশে জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে নদীতে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তাতে তেমন কোন ফল মিলছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম মাস্টার (৭০) জানান, গত দুই মাস থেকে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে গ্রাম বিলীন হতে সময় লাগবে না।
কোলকেন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, ভাঙন প্রতিরোধে পাউবোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বিশাল জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও চরাঞ্চল হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
লহ্মিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী জানান, পশ্চিম ইচলী গ্রামে তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছি। চরাঞ্চলে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে তাঁদের তেমন সহযোগিতা পাচ্ছি না। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (এসডি-৩) প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমান বলেন, ওই এলাকা চরাঞ্চলে হওয়ায় প্রতিরক্ষায় আমাদের তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নাই। তবুও ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি সহায়তা হিসেবে কিছু জিও ব্যাগ প্রদান করা হয়েছে। যাতে স্থানীয়রা বালু ভরাট করে ডাম্পিং করছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সুজিত দাস (৩০) নামের এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ সেতু থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৯ মিনিট আগেরাজধানীর পল্টনে বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা মাঝখানে চাপা পড়লে এর আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম জাকির হোসেন ভুইয়া (৫৪)। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পল্টন মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় জাকির হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সকাল ৭টার দ
১৩ মিনিট আগেঢাকার ধামরাইয়ে থেমে থাকা একটি ট্রাককে পেছনে থেকে একটি পিকআপ ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপের চালক ও সহকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৪১ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগতির একটি বাসের চাপায় এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার মাদখলা গ্রামের তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগে