নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় চলতি মৌসুমে আউশ ধানের আবাদ ভালো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারদর কম হওয়ায় কৃষকেরা অভিযোগ করেন, আড়তদার ও মিলাররা সিন্ডিকেট করে ধানের দর কমিয়েছেন। এদিকে আড়তদারেরা বলছেন, কাঁচা ধানে মিলারদের চাহিদা না থাকায় দাম তুলনামূলক কমেছে।
কৃষকদের দাবি, শুরুতে খড়ার কারণে এবার আউশ আবাদে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ বাড়ায় উৎপাদন খরচ গত বছরের তুলনাই অন্তত দুই-আড়াই হাজার টাকা বেশি হয়েছে। সবচেয়ে বিপদে আছেন বর্গাচাষিরা। উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় চিন্তিত তাঁরা।
এবার আউশ আবাদে খরচ বেশি হয়েছে। বাজারে ধানের দামও কম। উৎপাদন খরচ উঠছে না। এমন তথ্য জানান মাতাজি এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম। কৃষকদের হিসাবে এবার আউশ চাষে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে বাজারে প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ মণ। অর্থাৎ, ৯০০ টাকা মণ ধরলেও এক বিঘায় ধান বিক্রি হচ্ছে ১১ হাজার ৭০০ থেকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। বিপরীতে উৎপাদন করতে খরচই হচ্ছে ১১ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এতে তাঁরা লাভের মুখ দেখছেন না। অথচ গত বছরও এক মণ ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
জাহিদুল ইসলাম নামের এক চাষি বলেন, ‘আউশ ধানকে আপৎকালীন ফসল বলা হচ্ছে। অথচ আপৎকালীন সেই ফসল চাষ করে দাম না থাকার কারণে বিপদে পড়ে গেছি। কাঁচা ধান ব্যাপারীরা কিনতে চাইছেন না। এখন এক মণ কাঁচা ধান ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
‘ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। আড়তদার ও মিলাররা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’ বললেন মহাদেবপুরের চাষি মজিবুর রহমান।
মাতাজি হাটে ধান বিক্রি করতে আসা আরেক কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘ধানের দাম যদি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ পেতাম, তাহলে লাভ হতো। বর্তমান বাজারদরে খুবই হতাশ আমরা। খরচেই সব শেষ।’
এদিকে ধানের দাম কম হওয়ার পেছনে মিলারদের চাহিদা না থাকাকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা। নওগাঁর মাতাজি হাটের আড়তদার মো. জালাল হোসেন বলেন, ‘কাঁচা ধান কিনতে মিলারদের চাহিদা না থাকায় দাম কম। বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। মিলাররা কম দাম দিচ্ছেন, এ জন্য আমরাও কম দামে কিনতেছি।’
জালাল হোসেন আরও বলেন, মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম একটু বেশি থাকলেও বর্তমানে প্রকারভেদে ৮০০-৮৫০ ও ৯০০ টাকা মণ দরে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৫৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি চাষ করেছেন ব্রি-৪৮ জাতের ধান।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৃষক মাড়াই শেষে কাঁচা ধান সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিয়ে আসায় দাম কম পাচ্ছে। এই সময়ে ধান বিক্রি না করে শুকিয়ে ঘরে সংরক্ষণ করে কিছুদিন পর বিক্রি করলে দাম বেশি পেতে পারেন।
নওগাঁয় চলতি মৌসুমে আউশ ধানের আবাদ ভালো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারদর কম হওয়ায় কৃষকেরা অভিযোগ করেন, আড়তদার ও মিলাররা সিন্ডিকেট করে ধানের দর কমিয়েছেন। এদিকে আড়তদারেরা বলছেন, কাঁচা ধানে মিলারদের চাহিদা না থাকায় দাম তুলনামূলক কমেছে।
কৃষকদের দাবি, শুরুতে খড়ার কারণে এবার আউশ আবাদে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ বাড়ায় উৎপাদন খরচ গত বছরের তুলনাই অন্তত দুই-আড়াই হাজার টাকা বেশি হয়েছে। সবচেয়ে বিপদে আছেন বর্গাচাষিরা। উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় চিন্তিত তাঁরা।
এবার আউশ আবাদে খরচ বেশি হয়েছে। বাজারে ধানের দামও কম। উৎপাদন খরচ উঠছে না। এমন তথ্য জানান মাতাজি এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম। কৃষকদের হিসাবে এবার আউশ চাষে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে বাজারে প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ মণ। অর্থাৎ, ৯০০ টাকা মণ ধরলেও এক বিঘায় ধান বিক্রি হচ্ছে ১১ হাজার ৭০০ থেকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। বিপরীতে উৎপাদন করতে খরচই হচ্ছে ১১ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এতে তাঁরা লাভের মুখ দেখছেন না। অথচ গত বছরও এক মণ ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
জাহিদুল ইসলাম নামের এক চাষি বলেন, ‘আউশ ধানকে আপৎকালীন ফসল বলা হচ্ছে। অথচ আপৎকালীন সেই ফসল চাষ করে দাম না থাকার কারণে বিপদে পড়ে গেছি। কাঁচা ধান ব্যাপারীরা কিনতে চাইছেন না। এখন এক মণ কাঁচা ধান ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
‘ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। আড়তদার ও মিলাররা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’ বললেন মহাদেবপুরের চাষি মজিবুর রহমান।
মাতাজি হাটে ধান বিক্রি করতে আসা আরেক কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘ধানের দাম যদি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ পেতাম, তাহলে লাভ হতো। বর্তমান বাজারদরে খুবই হতাশ আমরা। খরচেই সব শেষ।’
এদিকে ধানের দাম কম হওয়ার পেছনে মিলারদের চাহিদা না থাকাকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা। নওগাঁর মাতাজি হাটের আড়তদার মো. জালাল হোসেন বলেন, ‘কাঁচা ধান কিনতে মিলারদের চাহিদা না থাকায় দাম কম। বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। মিলাররা কম দাম দিচ্ছেন, এ জন্য আমরাও কম দামে কিনতেছি।’
জালাল হোসেন আরও বলেন, মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম একটু বেশি থাকলেও বর্তমানে প্রকারভেদে ৮০০-৮৫০ ও ৯০০ টাকা মণ দরে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৫৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি চাষ করেছেন ব্রি-৪৮ জাতের ধান।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৃষক মাড়াই শেষে কাঁচা ধান সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিয়ে আসায় দাম কম পাচ্ছে। এই সময়ে ধান বিক্রি না করে শুকিয়ে ঘরে সংরক্ষণ করে কিছুদিন পর বিক্রি করলে দাম বেশি পেতে পারেন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ২৮টি ট্যাব ও ৩টি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে সাবেক এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চরজব্বার থানা-পুলিশ। এ ছাড়া চুরি হওয়া ২৩টি ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও নোয়াখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। আজ রোববার সকালে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাড়ির দুটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ নেতাকে গুম, নির্যাতন ও পঙ্গু করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় পৃথকভাবে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের মধ্যে ৬ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে একজন এখনো গুম থাকায় তার পক্
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাপ্রোচ চ্যানেলে নাব্যতা সংকটের কারণে আবারও বন্ধ হয়েছে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌ-পথে ফেরি চলাচল। এ নিয়ে চলতি মাসেই তিন দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
১ ঘণ্টা আগে