নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
দলে একজন সুইপার থাকেন। টার্গেট করা ব্যক্তিকে এই সুইপার বলেন, তিনি বিদেশি নাগরিকের বাসার শৌচাগার পরিষ্কার করেছেন। তাই খুশি হয়ে বিদেশি ব্যক্তি তাঁকে কিছু ডলার দিয়েছেন। তিনি এগুলো বিক্রি করতে চান। সরল বিশ্বাসে কেউ এই ডলার কিনতে গেলেই পড়েছেন বিপদে। ডলারের বদলে টাকা নেওয়ার পরই চম্পট চক্রের সদস্যরা। কখনো ক্রেতাকে ডলার দেওয়ার আগেই তাঁরা পালান। কখনো হাতে ধরিয়ে দেন নকল ডলার।
রাজশাহীতে এমন একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। চক্রের মূল হোতাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন আগে থেকেই আছেন জেলে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের সদস্যরা সারা দেশেই ডলার বিক্রির নামে প্রতারণা করছেন। গত বছরের অক্টোবরে জনতা ব্যাংকের রাজশাহীর সাহেববাজারের করপোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার ময়রুল ইসলামের সঙ্গে প্রতারণা করার এক মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই চক্রের সন্ধান পেয়েছে। মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, গত বছরের মে মাসে রাজশাহীর বর্ণালী মোড়ে এক কলেজশিক্ষকের সঙ্গেও প্রতারণা করে চক্রটি।
চক্রের মূল হোতার নাম হাফিজুর রহমান রবি (৪৮)। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। হাফিজুরের ভাই হাবিবুর রহমান অন্য মামলায় আগে থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। গতকাল সোমবার সকালে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ভাঙ্গা, নগরকান্দা, কোতোয়ালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও দিনাজপুর সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকে নয়টি মামলা ছিল। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার নতুন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে আগামীকাল বুধবার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, জামিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করেন। তিনি লেনদেন করেন জনতা ব্যাংকের রাজশাহীর সাহেববাজার করপোরেট শাখায়। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ময়রুল ইসলামকে তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন, কেউ ডলার বিক্রি করতে এলে যেন তাঁকে জানানো হয়। ডলার কেনার জন্য তিনি ব্যাংকে সই করা চেকও দিয়ে রেখেছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তি ফোন করে ময়রুল ইসলামকে জানান, তিনি পাঁচ হাজার ডলার বিক্রি করতে চান। ব্যাংক কর্মকর্তা ডলার কেনার ব্যাপারে জামিল উদ্দিনের সম্মতি নেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর দুই ব্যক্তি ব্যাংকে যান ডলার বিক্রি করতে।
ময়রুল ইসলাম তখন জামিলের ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা তুলে ডলারের বিক্রেতাদের দেন এবং ডলারের বান্ডিল নেন। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তা ক্যাশ কাউন্টার থেকে উঠে বান্ডিল খুলে দেখেন, বান্ডিলের ওপরে ও নিচে শুধু ১০০ ডলারের দুটি নোট আছে। মাঝের ৪৮টি নোট এক ডলারের। অর্থাৎ পাঁচ হাজার ডলারের জায়গায় তিনি মাত্র ২৪৮ ডলার পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জামিল উদ্দিন অজ্ঞাত প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু প্রতারকেরা মাস্ক পরে থাকায় সিসি ক্যামেরার ছবি দেখেও তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। প্রতারক চক্রটি যে মোবাইল ফোন থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাকে ফোন করেছিলেন, সেটির কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে এই প্রতারক চক্রের সন্ধান পায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, গত বছরের ২৮ মে এই প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নাসিরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেনও। সেদিন প্রতারক চক্রটি নগরীর বর্ণালী মোড়ে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকার ডলার বিক্রি করতে চান। চক্রের সদস্যরা টাকা নেওয়ার পর ডলার না দিয়েই কৌশলে পালিয়ে যান। তবে টাকা দেওয়ার আগে কলেজশিক্ষক মোয়াজ্জেম চক্রের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলেছিলেন। সেই ছবির সঙ্গে এই চক্রের প্রতারকদের ছবি মিলে গেছে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারক চক্রটি সারা দেশেই ডলার বিক্রির নামে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। ঈদের আগে তাদের এ ধরনের প্রতারণা আরও বেশি করার পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যেই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের প্রতারণার ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
দলে একজন সুইপার থাকেন। টার্গেট করা ব্যক্তিকে এই সুইপার বলেন, তিনি বিদেশি নাগরিকের বাসার শৌচাগার পরিষ্কার করেছেন। তাই খুশি হয়ে বিদেশি ব্যক্তি তাঁকে কিছু ডলার দিয়েছেন। তিনি এগুলো বিক্রি করতে চান। সরল বিশ্বাসে কেউ এই ডলার কিনতে গেলেই পড়েছেন বিপদে। ডলারের বদলে টাকা নেওয়ার পরই চম্পট চক্রের সদস্যরা। কখনো ক্রেতাকে ডলার দেওয়ার আগেই তাঁরা পালান। কখনো হাতে ধরিয়ে দেন নকল ডলার।
রাজশাহীতে এমন একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। চক্রের মূল হোতাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন আগে থেকেই আছেন জেলে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের সদস্যরা সারা দেশেই ডলার বিক্রির নামে প্রতারণা করছেন। গত বছরের অক্টোবরে জনতা ব্যাংকের রাজশাহীর সাহেববাজারের করপোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার ময়রুল ইসলামের সঙ্গে প্রতারণা করার এক মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই চক্রের সন্ধান পেয়েছে। মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, গত বছরের মে মাসে রাজশাহীর বর্ণালী মোড়ে এক কলেজশিক্ষকের সঙ্গেও প্রতারণা করে চক্রটি।
চক্রের মূল হোতার নাম হাফিজুর রহমান রবি (৪৮)। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। হাফিজুরের ভাই হাবিবুর রহমান অন্য মামলায় আগে থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। গতকাল সোমবার সকালে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ভাঙ্গা, নগরকান্দা, কোতোয়ালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও দিনাজপুর সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকে নয়টি মামলা ছিল। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার নতুন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে আগামীকাল বুধবার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, জামিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করেন। তিনি লেনদেন করেন জনতা ব্যাংকের রাজশাহীর সাহেববাজার করপোরেট শাখায়। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ময়রুল ইসলামকে তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন, কেউ ডলার বিক্রি করতে এলে যেন তাঁকে জানানো হয়। ডলার কেনার জন্য তিনি ব্যাংকে সই করা চেকও দিয়ে রেখেছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তি ফোন করে ময়রুল ইসলামকে জানান, তিনি পাঁচ হাজার ডলার বিক্রি করতে চান। ব্যাংক কর্মকর্তা ডলার কেনার ব্যাপারে জামিল উদ্দিনের সম্মতি নেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর দুই ব্যক্তি ব্যাংকে যান ডলার বিক্রি করতে।
ময়রুল ইসলাম তখন জামিলের ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা তুলে ডলারের বিক্রেতাদের দেন এবং ডলারের বান্ডিল নেন। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তা ক্যাশ কাউন্টার থেকে উঠে বান্ডিল খুলে দেখেন, বান্ডিলের ওপরে ও নিচে শুধু ১০০ ডলারের দুটি নোট আছে। মাঝের ৪৮টি নোট এক ডলারের। অর্থাৎ পাঁচ হাজার ডলারের জায়গায় তিনি মাত্র ২৪৮ ডলার পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জামিল উদ্দিন অজ্ঞাত প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু প্রতারকেরা মাস্ক পরে থাকায় সিসি ক্যামেরার ছবি দেখেও তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। প্রতারক চক্রটি যে মোবাইল ফোন থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাকে ফোন করেছিলেন, সেটির কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে এই প্রতারক চক্রের সন্ধান পায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, গত বছরের ২৮ মে এই প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নাসিরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেনও। সেদিন প্রতারক চক্রটি নগরীর বর্ণালী মোড়ে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকার ডলার বিক্রি করতে চান। চক্রের সদস্যরা টাকা নেওয়ার পর ডলার না দিয়েই কৌশলে পালিয়ে যান। তবে টাকা দেওয়ার আগে কলেজশিক্ষক মোয়াজ্জেম চক্রের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলেছিলেন। সেই ছবির সঙ্গে এই চক্রের প্রতারকদের ছবি মিলে গেছে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারক চক্রটি সারা দেশেই ডলার বিক্রির নামে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। ঈদের আগে তাদের এ ধরনের প্রতারণা আরও বেশি করার পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যেই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের প্রতারণার ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
মুক্তির দাবিতে খুলনা জেলা কারাগারে অনশনরত দুই জঙ্গির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আট দিন ধরে কারা হাসপাতালে রেখে স্যালাইনের মাধ্যমে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
৪ মিনিট আগেনরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই বংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হাতবোমা (ককটেল) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে ১৬ জন আহত হন। গতকাল সোমবার উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ বাধে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর মহাখালী থেকে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করলেও ফের কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ বিকেলে বৈঠক করে কোনো আশ্বাস পাননি শিক্ষার্থী। এই খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছলে সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেন
৯ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় এক পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
২৭ মিনিট আগে