রিমন রহমান, রাজশাহী
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু চা-চক্রে বসেছিলেন গত শনিবার। সেদিন সন্ধ্যায় তাঁরা রাজশাহীর তিন তারকা ‘হোটেল এক্স’-এর প্যানোরোমা ক্যাফেতে কফিও খেয়েছেন। তবে দুজনের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফজলে হোসেন বাদশা অবশ্য হোটেল ক্যাফেতে মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে শুধু দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে মিজানুর রহমান মিনু তাও অস্বীকার করে বলেছেন, মাস দু-এক আগে বাদশার সঙ্গে উড়োজাহাজে দেখা হয়েছিল। এরপর আর দেখা হয়নি।
আর কদিন পরই জাতীয় নির্বাচন। সংগত কারণেই ভোটের আগে এই দুই নেতার চা-চক্র নিয়ে নানা আলোচনা শহরে। আজ সোমবার সকালে হোটেল এক্সে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। সেখানকার কর্মীরা তাঁদের চা-চক্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে হোটেলটির অপারেশন ম্যানেজার ফখরুল আলম শোভন বলেন, ‘গত শনিবার সন্ধ্যার আগে ফজলে হোসেন বাদশা এসেছিলেন। পরে আসেন সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। তাঁরা একসঙ্গে বসে কফি পান করেন।’
চা-চক্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে আমার কোনো বৈঠক হয়নি। তবে তিন কর্মীকে নিয়ে চা খেতে গিয়ে মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি তাঁর পরিবারের জন্য খাবার কিনতে এসেছিলেন। আমাকে সালাম দিলেন, এতটুকুই।’
মিজানুর রহমান মিনু অবশ্য দুই দিন আগে ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে হোটেল এক্সে দেখা হওয়ার বিষয়টি মনেই করতে পারেননি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হতেই পারে। তা নিয়ে কী হয়েছে? আর বাদশা ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা নেই।’
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু ২০০১ সালের নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০২ সালের রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। পরে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়ে মিনুকে পরাজিত করেন বাদশা। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করলে বাদশা নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা মিনুকে পরাজিত করেন বাদশা। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, মিনুও প্রার্থী হননি।’
তবে গত তিনটি নির্বাচনের মতো আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও রাজশাহী-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। এবার নৌকা পেলেও তাঁর স্বস্তি নেই। এখানে কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। এ আসনে জোটের শরিক জাসদেরও মশাল প্রতীকের প্রার্থী রয়েছে। নগর আওয়ামী লীগ রীতিমতো সভা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন দিয়েছে। ফলে কিছুটা বেকায়দায় আছেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু চা-চক্রে বসেছিলেন গত শনিবার। সেদিন সন্ধ্যায় তাঁরা রাজশাহীর তিন তারকা ‘হোটেল এক্স’-এর প্যানোরোমা ক্যাফেতে কফিও খেয়েছেন। তবে দুজনের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফজলে হোসেন বাদশা অবশ্য হোটেল ক্যাফেতে মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে শুধু দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে মিজানুর রহমান মিনু তাও অস্বীকার করে বলেছেন, মাস দু-এক আগে বাদশার সঙ্গে উড়োজাহাজে দেখা হয়েছিল। এরপর আর দেখা হয়নি।
আর কদিন পরই জাতীয় নির্বাচন। সংগত কারণেই ভোটের আগে এই দুই নেতার চা-চক্র নিয়ে নানা আলোচনা শহরে। আজ সোমবার সকালে হোটেল এক্সে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। সেখানকার কর্মীরা তাঁদের চা-চক্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে হোটেলটির অপারেশন ম্যানেজার ফখরুল আলম শোভন বলেন, ‘গত শনিবার সন্ধ্যার আগে ফজলে হোসেন বাদশা এসেছিলেন। পরে আসেন সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। তাঁরা একসঙ্গে বসে কফি পান করেন।’
চা-চক্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে আমার কোনো বৈঠক হয়নি। তবে তিন কর্মীকে নিয়ে চা খেতে গিয়ে মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি তাঁর পরিবারের জন্য খাবার কিনতে এসেছিলেন। আমাকে সালাম দিলেন, এতটুকুই।’
মিজানুর রহমান মিনু অবশ্য দুই দিন আগে ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে হোটেল এক্সে দেখা হওয়ার বিষয়টি মনেই করতে পারেননি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হতেই পারে। তা নিয়ে কী হয়েছে? আর বাদশা ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা নেই।’
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু ২০০১ সালের নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০২ সালের রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। পরে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়ে মিনুকে পরাজিত করেন বাদশা। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করলে বাদশা নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা মিনুকে পরাজিত করেন বাদশা। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, মিনুও প্রার্থী হননি।’
তবে গত তিনটি নির্বাচনের মতো আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও রাজশাহী-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। এবার নৌকা পেলেও তাঁর স্বস্তি নেই। এখানে কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। এ আসনে জোটের শরিক জাসদেরও মশাল প্রতীকের প্রার্থী রয়েছে। নগর আওয়ামী লীগ রীতিমতো সভা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন দিয়েছে। ফলে কিছুটা বেকায়দায় আছেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৩ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৫ ঘণ্টা আগে