নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল এবং নগর পুলিশের ত্রিপক্ষীয় সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত শেষে এই কমিটি যে প্রতিবেদন দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন আশ্বাসে রাত ২টায় রাবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে এসে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। ওই তদন্ত কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেবে বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হলের বারান্দার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাহরিয়ারের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। তিনি হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে রাবি শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এরপর তাঁরা সমাবেশ শুরু করেন অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শাহরিয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর চিকিৎসা হয়নি। এতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। একটি আইসিইউ বেড চেয়েও পাওয়া যায়নি। এর প্রতিবাদ করায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা শাহরিয়ারের সহপাঠীদের পিটিয়েছেন। তাঁদের হামলায় ছয়-সাতজন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন।
হাসপাতালে শাহরিয়ারের চিকিৎসা না পাওয়া এবং উল্টো রাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ তুলে রাত সাড়ে ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর শুরু করেন। কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূরও ছিলেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের কারণে পুরো হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। রোগী ও স্বজনদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য হাসপাতালে অবস্থান নেন। তবে তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
শিক্ষার্থীরা যখন এই আন্দোলন করছিলেন, তখন রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে করে চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়ে হাসপাতাল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ১২টায় হাসপাতাল সভাকক্ষে আলোচনায় বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সভায় রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একটি তদন্ত কমিটি করে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীকে। এ ছাড়া রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক, নগর পুলিশের দুজন প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত দুজন শিক্ষক এই কমিটির সদস্য থাকবেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেবে। শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আসলেই কী কী ঘটেছে, তা তুলে আনবে এই কমিটি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাত দেড়টায় ত্রিপক্ষীয় এই সভা শেষ হয়। এরপর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন ড. ফরিদ হাসান এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক শুভ্রা রানী গিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দেন।
তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন আশ্বাস দিয়ে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁদের বক্তব্য শেষে রাত ২টায় শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। হাসপাতালেও ফিরে আসেন চিকিৎসক এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
মৃত্যুর পর নিহত শাহরিয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবার মরদেহ নিতে চেয়েছে। সে অনুযায়ী আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল এবং নগর পুলিশের ত্রিপক্ষীয় সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত শেষে এই কমিটি যে প্রতিবেদন দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন আশ্বাসে রাত ২টায় রাবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে এসে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। ওই তদন্ত কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেবে বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হলের বারান্দার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাহরিয়ারের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। তিনি হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে রাবি শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এরপর তাঁরা সমাবেশ শুরু করেন অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শাহরিয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর চিকিৎসা হয়নি। এতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। একটি আইসিইউ বেড চেয়েও পাওয়া যায়নি। এর প্রতিবাদ করায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা শাহরিয়ারের সহপাঠীদের পিটিয়েছেন। তাঁদের হামলায় ছয়-সাতজন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন।
হাসপাতালে শাহরিয়ারের চিকিৎসা না পাওয়া এবং উল্টো রাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ তুলে রাত সাড়ে ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর শুরু করেন। কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূরও ছিলেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের কারণে পুরো হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। রোগী ও স্বজনদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য হাসপাতালে অবস্থান নেন। তবে তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
শিক্ষার্থীরা যখন এই আন্দোলন করছিলেন, তখন রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে করে চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়ে হাসপাতাল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ১২টায় হাসপাতাল সভাকক্ষে আলোচনায় বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সভায় রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একটি তদন্ত কমিটি করে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীকে। এ ছাড়া রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক, নগর পুলিশের দুজন প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত দুজন শিক্ষক এই কমিটির সদস্য থাকবেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেবে। শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আসলেই কী কী ঘটেছে, তা তুলে আনবে এই কমিটি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাত দেড়টায় ত্রিপক্ষীয় এই সভা শেষ হয়। এরপর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন ড. ফরিদ হাসান এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক শুভ্রা রানী গিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দেন।
তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন আশ্বাস দিয়ে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁদের বক্তব্য শেষে রাত ২টায় শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। হাসপাতালেও ফিরে আসেন চিকিৎসক এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
মৃত্যুর পর নিহত শাহরিয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবার মরদেহ নিতে চেয়েছে। সে অনুযায়ী আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ফের মহাখালীতে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেল ও সড়ক পথ অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে শিক্ষার্থীরা
৬ মিনিট আগেছাত্র আন্দোলনে এক যুবককে গুলি–ককটেল বিস্ফোরণে আহত করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ ১৮৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কফিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন এলা
১৬ মিনিট আগেচলমান সংঘাতের জেরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এবার চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর ৫৬ নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কুতুপালংস্থ হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছেন।
৪১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর মুদি দোকানির রইচ ফকির (৫৫) গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
১ ঘণ্টা আগে