রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
পুরোনো সেতু ভাঙার আগে বিকল্প সড়ক নির্মাণের নিয়ম রয়েছে। এ জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ৮ লাখ টাকার কোনো হদিস নেই। এদিকে বর্ষা মৌসুমে মানুষের খাল পারাপারের জন্য ছয়টি ড্রামের ভেলা দিয়েই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। বগুড়ার শেরপুরের ঝাঁঝর গ্রামের হাজারো মানুষের জন্য এই ড্রাম কেটে বানানো ভেলাই এখন বিকল্প সড়ক। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে সাধারণ মানুষের এমন ভোগান্তি।
চেঙ্গামারী খালের পুরোনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে দুই মাসের বেশি হলো। সেখানে একটি নতুন সেতু হবে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের খুশিই হওয়ার কথা। কিন্তু তারা হতে পারছে না। কারণ, শেরপুর সদরে যেতে এখন অনেকটা ঘুরে যেতে হয় তাদের। নতুন সেতু নির্মাণের সময় সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে যে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কথা, তা করা হয়নি। এত দিন খালে পানি না থাকায় মানুষ হেঁটে পার হতে পেরেছে। কিন্তু এখন বর্ষার পানি চলে আসায় সে সুযোগ নেই। এতে কার্যত ঝাঁঝর গ্রামের হাজারো মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছে। এই বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তাদের দেওয়া হয়েছে একটি কাটা ড্রাম।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাঁঝরের চেঙ্গামারী খালের ওপর নির্মিত হচ্ছে ৬০ দশমিক শূন্য ৫ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়। আগামী বছরের ৮ আগস্ট এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, পুরোনো সেতু ভাঙার আগে বিকল্প সড়ক নির্মাণের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা জানায়, এত দিন তারা পার্শ্ববর্তী জমির মধ্য দিয়ে চলাচল করছিল। কিন্তু ৩ মে থেকে ভারী বর্ষণের কারণে খালে পানি জমে গেলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এলাকার হাজারো মানুষ। আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা বানিয়েই দায় সারে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেঙ্গামারী খাল পারাপারের জন্য তৈরি করা হয়েছে ছোট ড্রামের ভেলা। এখন ভোগান্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এরই মধ্যে দু-একজন দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন। ঝাঁঝর পঞ্চশক্তি হাইস্কুলের এক শিক্ষক মোটরসাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় ভেলা উল্টে খালে পড়ে যান। এরপর থেকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এর প্রভাব পড়েছে সার্বিক জনজীবনে। মানুষের যাতায়াত ব্যয় বৃদ্ধিসহ স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে সিএনজিচালক সানোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, ‘আগে একবার গ্যাস ভরালে শেরপুরে ১০ থেকে ১২বার যাওয়া যেত। কিন্তু এখন ঘুরে যাওয়ার কারণে ৫ ট্রিপের বেশি হয় না। এ জন্য যাত্রীদের আগের ২০ টাকার জায়গায় এখন ৪০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।’
কৃষক নূর কাফি বলেন, ‘আগে ১ বিঘা জমির ধান আনতে ৫০০ টাকা ট্রলি ভাড়া লাগত। এখন ১ হাজার ২০০ টাকার নিচে হয় না।’
এ বিষয়ে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মোমিন মহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এলাকার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে আছে। আমি তাদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।’
তবে মানুষের এই দুর্ভোগ লাঘবে ড্রামের ভেলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্পের কথা বলতে পারলেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুমা বেগম-এর প্রতিনিধি খোয়েব শেখ। তিনি বলেন, ‘আমরা কাঠের ব্রিজ তৈরির জন্য ১২০টি পাইলিং করেছিলাম। কিন্তু ঈদের পরদিন পার্শ্ববর্তী স্লুইস গেটের পানি ছেড়ে দেওয়ায় সব ডুবে গেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই ড্রামের ভেলার আকার বড় করে পারাপারের লোক নিয়োগ করা হবে।’
এ বিষয়ে বগুড়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি সেচে কাঠের ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করছি। সম্ভব না হলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করে লোক নিয়োগ করা হবে।’
পুরোনো সেতু ভাঙার আগে বিকল্প সড়ক নির্মাণের নিয়ম রয়েছে। এ জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ৮ লাখ টাকার কোনো হদিস নেই। এদিকে বর্ষা মৌসুমে মানুষের খাল পারাপারের জন্য ছয়টি ড্রামের ভেলা দিয়েই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। বগুড়ার শেরপুরের ঝাঁঝর গ্রামের হাজারো মানুষের জন্য এই ড্রাম কেটে বানানো ভেলাই এখন বিকল্প সড়ক। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে সাধারণ মানুষের এমন ভোগান্তি।
চেঙ্গামারী খালের পুরোনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে দুই মাসের বেশি হলো। সেখানে একটি নতুন সেতু হবে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের খুশিই হওয়ার কথা। কিন্তু তারা হতে পারছে না। কারণ, শেরপুর সদরে যেতে এখন অনেকটা ঘুরে যেতে হয় তাদের। নতুন সেতু নির্মাণের সময় সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে যে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কথা, তা করা হয়নি। এত দিন খালে পানি না থাকায় মানুষ হেঁটে পার হতে পেরেছে। কিন্তু এখন বর্ষার পানি চলে আসায় সে সুযোগ নেই। এতে কার্যত ঝাঁঝর গ্রামের হাজারো মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছে। এই বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তাদের দেওয়া হয়েছে একটি কাটা ড্রাম।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাঁঝরের চেঙ্গামারী খালের ওপর নির্মিত হচ্ছে ৬০ দশমিক শূন্য ৫ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়। আগামী বছরের ৮ আগস্ট এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, পুরোনো সেতু ভাঙার আগে বিকল্প সড়ক নির্মাণের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা জানায়, এত দিন তারা পার্শ্ববর্তী জমির মধ্য দিয়ে চলাচল করছিল। কিন্তু ৩ মে থেকে ভারী বর্ষণের কারণে খালে পানি জমে গেলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এলাকার হাজারো মানুষ। আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলা বানিয়েই দায় সারে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেঙ্গামারী খাল পারাপারের জন্য তৈরি করা হয়েছে ছোট ড্রামের ভেলা। এখন ভোগান্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এরই মধ্যে দু-একজন দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন। ঝাঁঝর পঞ্চশক্তি হাইস্কুলের এক শিক্ষক মোটরসাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় ভেলা উল্টে খালে পড়ে যান। এরপর থেকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এর প্রভাব পড়েছে সার্বিক জনজীবনে। মানুষের যাতায়াত ব্যয় বৃদ্ধিসহ স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে সিএনজিচালক সানোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, ‘আগে একবার গ্যাস ভরালে শেরপুরে ১০ থেকে ১২বার যাওয়া যেত। কিন্তু এখন ঘুরে যাওয়ার কারণে ৫ ট্রিপের বেশি হয় না। এ জন্য যাত্রীদের আগের ২০ টাকার জায়গায় এখন ৪০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।’
কৃষক নূর কাফি বলেন, ‘আগে ১ বিঘা জমির ধান আনতে ৫০০ টাকা ট্রলি ভাড়া লাগত। এখন ১ হাজার ২০০ টাকার নিচে হয় না।’
এ বিষয়ে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মোমিন মহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এলাকার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে আছে। আমি তাদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।’
তবে মানুষের এই দুর্ভোগ লাঘবে ড্রামের ভেলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্পের কথা বলতে পারলেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুমা বেগম-এর প্রতিনিধি খোয়েব শেখ। তিনি বলেন, ‘আমরা কাঠের ব্রিজ তৈরির জন্য ১২০টি পাইলিং করেছিলাম। কিন্তু ঈদের পরদিন পার্শ্ববর্তী স্লুইস গেটের পানি ছেড়ে দেওয়ায় সব ডুবে গেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই ড্রামের ভেলার আকার বড় করে পারাপারের লোক নিয়োগ করা হবে।’
এ বিষয়ে বগুড়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি সেচে কাঠের ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করছি। সম্ভব না হলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করে লোক নিয়োগ করা হবে।’
জানাজার পর আমাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন আমি পাশের রুমে বসে ছিলাম। সাদকে অনেক টর্চার করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারি। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
৫ মিনিট আগেবরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া লঞ্চঘাট থেকে উত্তর দিকে বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। বেতাগী থেকে মোকামিয়া যেতে বেড়িবাঁধের প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ৭ কিলোমিটার পাকা হলেও মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। যে কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ প্রতিদিন...
১৬ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের চকচকা গ্রামের কাঠিহারধর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ মিনিট আগেশেরপুরে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান শেরপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞা। আজ শনিবার সকালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ শুরু করলে কার্যালয় ছেড়ে চলে যান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে