সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
জনবলের সংকট ও তদারকির অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে চারঘাট উপজেলার একমাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। নামে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হলেও ডাক্তার নেই, সেবাও নেই। মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে উপজেলার একমাত্র এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
জানা যায়, প্রায় ছয় বছর ধরে ডাক্তারের পা পড়েনি ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বর্তমানে সেখানে কোনো ডাক্তারের নিয়োগ নেই। এর আগে ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও কখনোই তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন পদে জনবল না থাকায় গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ গ্রামীণ শিশু, নারী ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলার একমাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চারঘাট পৌরসভার সরদহতে অবস্থিত। এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা, মিডওয়াইফ, উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহায়কসহ ছয়টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া বাকি পদগুলো খালি রয়েছে।
আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ফেরত যাচ্ছেন রোগীরা। রোগীর সংখ্যাও একেবারে কম। জনবল না থাকায় এবং নিয়মিত তদারকির অভাবে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের মুখোমুখি নির্মিত পুরোনো ভবনটিতে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন। বছরের পর বছর পরিত্যক্ত এই ভবনে এভাবে মাদক সেবন চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার আস্করপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সখিনা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনির পেটে ব্যথা ও জ্বর। এসেছিলাম ওষুধ নেওয়ার জন্য। এখানে ডাক্তার নেই, ওষুধও নেই। মাদকের গন্ধে দাঁড়ানোর উপায় নেই। এ জন্য বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
গৌড় শহরপুর এলাকার মাজদার রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। শুধু একজন উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আছেন। জরুরি প্রয়োজনে গুরুতর রোগীরা বাড়ির কাছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সঠিকভাবে দেখভাল না করায় কেন্দ্রটি ঝোপঝাড় ও মাদকসেবীদের আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। পুরোনো ভবনটি ভাঙার কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছে না প্রশাসন।’
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মাইমুনা খাতুন বলেন, ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তারসহ জনবলের সংকট রয়েছে। সব সময়ই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে। মাদকসেবীদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানালেও সমাধান নেই। পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণেরও কোনো উদ্যোগ নেই।’
মাইমুনা খাতুন বলেন, ‘আমি একজন মেয়ে হয়ে সব সময়ই এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। প্রায়ই সকালে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে মাদকসেবীদের সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। মাদকের গন্ধে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা কঠিন। মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আপাতত ওখানে ডাক্তার নেই। পুরোনো পরিত্যক্ত ভবনে মাদকসেবীদের আড্ডা হয় এটা তিনি জেনেছেন। ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তাদের আপাতত বাজেট না থাকায় ভাঙার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
জনবলের সংকট ও তদারকির অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে চারঘাট উপজেলার একমাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। নামে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হলেও ডাক্তার নেই, সেবাও নেই। মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে উপজেলার একমাত্র এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
জানা যায়, প্রায় ছয় বছর ধরে ডাক্তারের পা পড়েনি ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বর্তমানে সেখানে কোনো ডাক্তারের নিয়োগ নেই। এর আগে ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও কখনোই তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখা যায়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন পদে জনবল না থাকায় গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ গ্রামীণ শিশু, নারী ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলার একমাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চারঘাট পৌরসভার সরদহতে অবস্থিত। এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা, মিডওয়াইফ, উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহায়কসহ ছয়টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া বাকি পদগুলো খালি রয়েছে।
আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ফেরত যাচ্ছেন রোগীরা। রোগীর সংখ্যাও একেবারে কম। জনবল না থাকায় এবং নিয়মিত তদারকির অভাবে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের মুখোমুখি নির্মিত পুরোনো ভবনটিতে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন। বছরের পর বছর পরিত্যক্ত এই ভবনে এভাবে মাদক সেবন চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার আস্করপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সখিনা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনির পেটে ব্যথা ও জ্বর। এসেছিলাম ওষুধ নেওয়ার জন্য। এখানে ডাক্তার নেই, ওষুধও নেই। মাদকের গন্ধে দাঁড়ানোর উপায় নেই। এ জন্য বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
গৌড় শহরপুর এলাকার মাজদার রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। শুধু একজন উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আছেন। জরুরি প্রয়োজনে গুরুতর রোগীরা বাড়ির কাছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সঠিকভাবে দেখভাল না করায় কেন্দ্রটি ঝোপঝাড় ও মাদকসেবীদের আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। পুরোনো ভবনটি ভাঙার কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছে না প্রশাসন।’
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মাইমুনা খাতুন বলেন, ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তারসহ জনবলের সংকট রয়েছে। সব সময়ই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে। মাদকসেবীদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানালেও সমাধান নেই। পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণেরও কোনো উদ্যোগ নেই।’
মাইমুনা খাতুন বলেন, ‘আমি একজন মেয়ে হয়ে সব সময়ই এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। প্রায়ই সকালে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে মাদকসেবীদের সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। মাদকের গন্ধে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা কঠিন। মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আপাতত ওখানে ডাক্তার নেই। পুরোনো পরিত্যক্ত ভবনে মাদকসেবীদের আড্ডা হয় এটা তিনি জেনেছেন। ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তাদের আপাতত বাজেট না থাকায় ভাঙার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
টাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া এই নেতার নাম সাইমন রেজা। তিনি নগরের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
৭ মিনিট আগেদুই সপ্তাহ ধরে ফাতেমা আক্তার শাপলা (২৮) নামের এক নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় শিশুটির মা ফারজানা আক্তারের। সাবলেটের কথা বলে গত বৃহস্পতিবার তিনি আজিমপুরের ওই বাসায় ওঠেন।
১৭ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মো. আলাউদ্দিন (৩৫) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা এলাকার ফুট ওভার ব্রিজের পশ্চিম পাশে তালুকদার পেট্রল পাম্পের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে একটি রক্তমাখা চাকু পড়ে ছিল।
২৪ মিনিট আগেকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান ‘শহীদ আব্দুল কাইয়ুম স্মৃতি আন্ত বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার কুবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক ও ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে