রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের দখল চায় বিএনপির দুই পক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ৫১

বিএনপির দুই পক্ষ রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয় দখল করতে চায়। এত দিন আওয়ামীপন্থী নেতারা সংগঠনটি চালিয়ে আসছিলেন, এখন বিএনপির দুই পক্ষ সংগঠনটি দখলে নিতে চাইছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর শিরোইল এলাকায় সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে বাংলাভিশনের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।

পরিবহন গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ এত দিন আওয়ামীপন্থীদের দখলে ছিল। সম্প্রতি সংগঠনের সভাপতি নাজিমউদ্দীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তারপর গ্রুপের সদস্য বিএনপিপন্থী গৌতম মোহন চৌধুরী রাকেশ নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা করেন। এদিকে নজরুল ইসলাম হেলাল নামের বিএনপিপন্থী আরেকজন আওয়ামীপন্থী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটোর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার দাবি করেছেন। এ নিয়ে গৌতম ও হেলালের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা ছিল। গতকাল শুক্রবার তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গৌতমের সমর্থকেরা গতকাল শুক্রবার কার্যালয় দখলে নিয়ে বসে ছিলেন। তখন নজরুল ইসলাম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে কার্যালয় দখলে যান। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। তখন কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভিডিও ধারণ করতে গেলে বাংলাভিশনের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে দুপক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

বিষয়টি নিয়ে গৌতম মোহন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে আজ শনিবার দুপুরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। সাধারণ সম্পাদক দাবি করা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিএনপি সরকারের আমলে এ সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়। এখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আওয়ামীপন্থীরা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব ছেড়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু গৌতম নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা করে কার্যালয় দখলে রেখেছেন। আমি কার্যালয়ে গেলে ভেতর থেকে আমাদের ওপরে আগে হামলা হয়। তখন আমরাও প্রতিহত করি।’

রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের আওয়ামীপন্থী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই বিএনপিপন্থীরা অস্ত্র নিয়ে অফিস দখল করতে আসে। প্রাণের মায়ায় আমরা চলে এসেছি। এরপর বিএনপিপন্থীরা জোর করে দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা কাউকে দায়িত্ব দিইনি। এখন শুনছি অফিস দখল করতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যেই মারামারি হয়েছে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সড়ক পরিবহন গ্রুপে নির্বাচিত হয়েছিলেন নজরুল ইসলাম। সে সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁদের মেয়াদ থাকতেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়। সে অনুযায়ী নজরুলই নিয়ন্ত্রণ পাবেন। এমন দখলদারি খারাপ চর্চা। এগুলো করা ঠিক না। বিষয়টি আমরা দেখব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুলিশের ভিন্ন বক্তব্যের পরও সালমা হত্যায় নিজ ভাষ্য়ে অনড় র‍্যাব

ফারুকীরা কীভাবে এই উপদেষ্টা পরিষদে আসে: সারজিস আলম

বাংলাদেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য ডাক্তারের তদবিরের ঘোষণা

এই সরকারের সংবিধান সংশোধনের সুযোগ কি আছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রশ্ন

বাংলাদেশ সিরিজের আগে ধাক্কা খেয়েই চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত