পাবনা প্রতিনিধি
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পেলেন বাংলাদেশি জন্মসনদ। সনদ অনুযায়ী তিনি জন্মসূত্রে পাবনা জেলার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক।
জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে এই ভুয়া জন্মসনদটি ইস্যু করা হয় বলে জানা গেছে। আর কীভাবেই বা এই অপকর্মটি হলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
সনদটিতে দেখা গেছে, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মনিবন্ধন সনদটি ইস্যু করা হয়েছে। যেখানে নিবন্ধিত ব্যক্তি নাম হিসেবে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডো, পিতা-পিয়েরে ট্রুডো, মাতা-মার্গারেট ট্রুডো। জন্ম তারিখ-২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১। জন্মসনদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছে ১৯৭১৭৬১৮৩১৭০৩৫৫০৯।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ জন্মসনদের প্রথম চারটি ডিজিট ছিল ২০০৪। সেটা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ১৯৭১। জন্মনিবন্ধনটির আসল মানুষের নাম আজিজুল। সেখানে দেওয়া হয়েছে জাস্টিন ট্রুডো। ১৯ মার্চ রাত ৯টা ৫১ মিনিটে পেমেন্ট হয়েছে। ৯টা ৫২ মিনিটে রিসিভ হয়েছে এবং রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেটি অনুমোদন (অ্যাপ্রুভ) করেছেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ২০২৩ বছরের শেষের দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া মারা যান। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রউফ।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওলাদ হাসানের ছত্রচ্ছায়ায় পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন টাকার বিনিময়ে যে কারও নামে জন্মনিবন্ধন সনদ বানিয়ে দেওয়ার। এ বিষয়ে জানতে নিলয় পারভেজ ইমনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে ইউপি সচিব আওলাদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন সার্ভারের ইউজার ন্যাম ও পাসওয়ার্ড আমার কাছে থাকলেও নিলয় কীভাবে পেল কিছুই বুঝতে পারছি না। সে হ্যাকার হিসেবেও দক্ষ বলে শুনেছি। সে যে কোনোভাবে ইউজার ন্যাম ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে এসব অনিয়ম করেছে। আমি এসব ঘটনার কিছুই জানি না। আমার কোনো দোষ নেই। এখন স্যাররা তদন্ত করলে সব জানা যাবে।’
আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। কম্পিউটার অপারেটর নিলয় কীভাবে এই ভুয়া কাজটি করল, বলতে পারছি না। সেটাই এখন ভাবার বিষয় যে ১৯ মার্চ রাতে আবেদন করা হলো, আবার কিছুক্ষণের মধ্যে অ্যাপ্রুভ দেওয়া হলো, কীভাবে। ইউএনও স্যারও তো অ্যাপ্রুভ করেন নাই। এখন নিলয় হ্যাক করেও এসব করতে পারে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ দায় এড়াতে পারি না। এড়ানোর সুযোগ নেই। এখন দেখা যাক, তদন্তে কী হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ওই জন্মসনদটির অ্যাপ্রুভ যায়নি। এখন কীভাবে হলো সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে জানানো যাবে।’
পাবনা জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর বৃহস্পতিবার এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে ঘটনা তদন্ত করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পেলেন বাংলাদেশি জন্মসনদ। সনদ অনুযায়ী তিনি জন্মসূত্রে পাবনা জেলার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক।
জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে এই ভুয়া জন্মসনদটি ইস্যু করা হয় বলে জানা গেছে। আর কীভাবেই বা এই অপকর্মটি হলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
সনদটিতে দেখা গেছে, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মনিবন্ধন সনদটি ইস্যু করা হয়েছে। যেখানে নিবন্ধিত ব্যক্তি নাম হিসেবে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডো, পিতা-পিয়েরে ট্রুডো, মাতা-মার্গারেট ট্রুডো। জন্ম তারিখ-২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১। জন্মসনদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছে ১৯৭১৭৬১৮৩১৭০৩৫৫০৯।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ জন্মসনদের প্রথম চারটি ডিজিট ছিল ২০০৪। সেটা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ১৯৭১। জন্মনিবন্ধনটির আসল মানুষের নাম আজিজুল। সেখানে দেওয়া হয়েছে জাস্টিন ট্রুডো। ১৯ মার্চ রাত ৯টা ৫১ মিনিটে পেমেন্ট হয়েছে। ৯টা ৫২ মিনিটে রিসিভ হয়েছে এবং রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেটি অনুমোদন (অ্যাপ্রুভ) করেছেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ২০২৩ বছরের শেষের দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া মারা যান। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রউফ।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওলাদ হাসানের ছত্রচ্ছায়ায় পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন টাকার বিনিময়ে যে কারও নামে জন্মনিবন্ধন সনদ বানিয়ে দেওয়ার। এ বিষয়ে জানতে নিলয় পারভেজ ইমনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে ইউপি সচিব আওলাদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন সার্ভারের ইউজার ন্যাম ও পাসওয়ার্ড আমার কাছে থাকলেও নিলয় কীভাবে পেল কিছুই বুঝতে পারছি না। সে হ্যাকার হিসেবেও দক্ষ বলে শুনেছি। সে যে কোনোভাবে ইউজার ন্যাম ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে এসব অনিয়ম করেছে। আমি এসব ঘটনার কিছুই জানি না। আমার কোনো দোষ নেই। এখন স্যাররা তদন্ত করলে সব জানা যাবে।’
আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। কম্পিউটার অপারেটর নিলয় কীভাবে এই ভুয়া কাজটি করল, বলতে পারছি না। সেটাই এখন ভাবার বিষয় যে ১৯ মার্চ রাতে আবেদন করা হলো, আবার কিছুক্ষণের মধ্যে অ্যাপ্রুভ দেওয়া হলো, কীভাবে। ইউএনও স্যারও তো অ্যাপ্রুভ করেন নাই। এখন নিলয় হ্যাক করেও এসব করতে পারে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ দায় এড়াতে পারি না। এড়ানোর সুযোগ নেই। এখন দেখা যাক, তদন্তে কী হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ওই জন্মসনদটির অ্যাপ্রুভ যায়নি। এখন কীভাবে হলো সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে জানানো যাবে।’
পাবনা জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর বৃহস্পতিবার এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে ঘটনা তদন্ত করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে