বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি এ বিষয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন দুই ভুক্তভোগী। পরে ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে পুলিশে দিয়েছেন ইউএনও টুকটুক তালুকদার। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজুল হক। 

আটক ওই ব্যক্তির নাম মুক্তার হোসেন। তিনি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের আনছার মল্লিকের ছেলে। 

আদমদীঘি ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন বিভিন্ন সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি দেওয়ার কথা বলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন। সম্প্রতি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদমা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আজিজার রহমান ও আতোয়ার হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন এ বিষয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী দুজনকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুটি বাড়ি দেওয়ার কথা বলে মুক্তার হোসেন ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ সময় মুক্তার হোসেন তাঁদের বলেন, ‘এই টাকার কিছু অংশ ইউএনও স্যারকেও দিতে হবে।’ কিন্তু পরে তাঁরা কেউ বাড়ি না পেয়ে ইউএনও বরাবর মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মুক্তার হোসেনকে উপজেলা কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। ঘটনার সত্যতা মেলায় মুক্তার হোসেনকে দুপুরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। 

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে জানান, ইউএনও অফিস থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।