রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
একই স্কুলের একই ভবনের মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তিনটি খাত থেকে। কিন্তু কাজ না করেই তৈরি করা হয়েছে ভুয়া ভাউচার। আবার সেগুলো শিক্ষা অফিসে দাখিল করা হয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে। এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিতও করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের নলবাড়িয়া দড়িখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলের অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা, স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও রুটিন মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় স্কুলটি। নিয়ম অনুযায়ী এই কাজগুলি স্কুল পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে হওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
ক্ষুদ্র মেরামত ফান্ডের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সিলিং, সামনে, পেছনের ও পার্শ্ব দেয়াল মেরামত ও রং করা, দরজা জানালা মেরামত ও রং করা, বারান্দায় নতুন গ্রিল লাগানো ও রং করা এবং বাগান তৈরি বাবদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে বারান্দায় গ্রিল লাগানো ও সম্পূর্ণ ভবন রং করা ব্যতীত দৃশ্যমান কোনো কাজ চোখে পড়েনি। এমনকি কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ থাকলেও ভবনের পেছনের জানালার কাচগুলো এখনো ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়।
এদিকে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও রুটিন মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকার ভাউচারেও অসংগতি পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র মেরামত ফান্ডের টকায় সম্পূর্ণ ভবন মেরামত ও রং করার খরচ দেখানো হলেও রুটিন মেরামতের ভাউচারে ছাদ মেরামত ও রং করা বাবদ ২০ হাজার টাকা ও বাগান তৈরি বাবদ খরচ দেখানো হয় ২ হাজার টাকা। আবার স্লিপ ফান্ড থেকে ভবনের দেয়াল ও বারান্দা মেরামত ও রং করা বাবদ ২৮ হাজার টাকা ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য র্যাম্প ও সিঁড়ি মেরামতের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, তিনটি ফান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ের কথা বলা হলেও প্রকৃত খরচ ১ লাখ টাকার বেশি হবে না। স্কুলে আগে থেকেই বাগান ছিল। নতুন করে তৈরি করা হয়নি। তা ছাড়া র্যাম্প ও সিঁড়িও মেরামত করা হয়নি পাশে রং করা হয়েছে।
এদিকে স্কুলের সামগ্রিক কাজের তথ্য জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম। তিনি জানান, স্কুলের টাকা কীভাবে খরচ করতে হবে এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। সাংবাদিকদের জানার কোনো অধিকার নেই। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের স্কুল থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার বলা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কমিটির মিটিং ডাকতে চান না। স্কুলের যাবতীয় কাজ তিনি একাই করেন। কাজের বেশির ভাগ ভাউচারে আমার স্বাক্ষর নেই। প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছে। কয়েক দিন আগে এক মিটিংয়ে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওই ক্লাষ্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোমিনুল হক বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। কাজের মান সন্তোষজনক না হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে ও শিডিউল অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমাদের অফিসে তিনটি ফান্ডের ভাউচার জমা দিলেও শুধু স্লিপ ফান্ডের অর্থ ছাড় করা হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’
সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে এই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই স্কুলের একই ভবনের মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তিনটি খাত থেকে। কিন্তু কাজ না করেই তৈরি করা হয়েছে ভুয়া ভাউচার। আবার সেগুলো শিক্ষা অফিসে দাখিল করা হয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে। এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিতও করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের নলবাড়িয়া দড়িখাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলের অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা, স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও রুটিন মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় স্কুলটি। নিয়ম অনুযায়ী এই কাজগুলি স্কুল পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে হওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
ক্ষুদ্র মেরামত ফান্ডের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সিলিং, সামনে, পেছনের ও পার্শ্ব দেয়াল মেরামত ও রং করা, দরজা জানালা মেরামত ও রং করা, বারান্দায় নতুন গ্রিল লাগানো ও রং করা এবং বাগান তৈরি বাবদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে বারান্দায় গ্রিল লাগানো ও সম্পূর্ণ ভবন রং করা ব্যতীত দৃশ্যমান কোনো কাজ চোখে পড়েনি। এমনকি কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ থাকলেও ভবনের পেছনের জানালার কাচগুলো এখনো ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়।
এদিকে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট (স্লিপ) ফান্ডের ৫০ হাজার টাকা ও রুটিন মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকার ভাউচারেও অসংগতি পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র মেরামত ফান্ডের টকায় সম্পূর্ণ ভবন মেরামত ও রং করার খরচ দেখানো হলেও রুটিন মেরামতের ভাউচারে ছাদ মেরামত ও রং করা বাবদ ২০ হাজার টাকা ও বাগান তৈরি বাবদ খরচ দেখানো হয় ২ হাজার টাকা। আবার স্লিপ ফান্ড থেকে ভবনের দেয়াল ও বারান্দা মেরামত ও রং করা বাবদ ২৮ হাজার টাকা ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য র্যাম্প ও সিঁড়ি মেরামতের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, তিনটি ফান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ের কথা বলা হলেও প্রকৃত খরচ ১ লাখ টাকার বেশি হবে না। স্কুলে আগে থেকেই বাগান ছিল। নতুন করে তৈরি করা হয়নি। তা ছাড়া র্যাম্প ও সিঁড়িও মেরামত করা হয়নি পাশে রং করা হয়েছে।
এদিকে স্কুলের সামগ্রিক কাজের তথ্য জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম। তিনি জানান, স্কুলের টাকা কীভাবে খরচ করতে হবে এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। সাংবাদিকদের জানার কোনো অধিকার নেই। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের স্কুল থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার বলা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কমিটির মিটিং ডাকতে চান না। স্কুলের যাবতীয় কাজ তিনি একাই করেন। কাজের বেশির ভাগ ভাউচারে আমার স্বাক্ষর নেই। প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছে। কয়েক দিন আগে এক মিটিংয়ে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওই ক্লাষ্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোমিনুল হক বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। কাজের মান সন্তোষজনক না হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে ও শিডিউল অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমাদের অফিসে তিনটি ফান্ডের ভাউচার জমা দিলেও শুধু স্লিপ ফান্ডের অর্থ ছাড় করা হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’
সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে এই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর বন্ধের সঙ্গে জড়িত কুশীলবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যারা শহীদ জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল ও এটির বন্ধের জন্য কাজ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
২৬ মিনিট আগেজামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘জামায়াত আর্তমানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশের সবুজ ভূখণ্ডে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে চায়। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গঠনে জামায়াত প্রতি
১ ঘণ্টা আগেশীতের আমেজ বইতে শুরু করেছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। আজ শনিবার জেলার সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল শুক্রবারের চেয়ে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, দেশের কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও নিজেকে বাঁচিয়ে চলা এমন লোক উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেতে পারেন না।
১ ঘণ্টা আগে