নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘রাজশাহী আওয়ামী পরিবারের’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় দলকে বাঁচানোর স্বার্থে ডাবলু সরকারকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
গত ২ মার্চ একই স্থানে ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ-কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিন ডাবলু সরকারের ভাই নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার সেডু, আরেক ভাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকারসহ তাঁদের অনুসারী ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা চালান। মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আজ শনিবারের কর্মসূচিতেও সেখানে বাধা দিতে কয়েকজন এসেছিল। তবে পুলিশ তাঁদের মানববন্ধনের দিকে যেতে দেয়নি। এই মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত রাজনীতির দুষ্টক্ষত ডাবলু সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ হাতে হাতে ফেস্টুনে ডাবলুর ছবিতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে লেখা ছিল, ‘নির্বাচনের বছরে দল বিব্রত হয়, এমন কাউকে দলে এক সেকেন্ডও রাখা যায় না।’
সমাবেশে সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ গত ২ মার্চের কর্মসূচিতে হামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘সেদিন যারা হামলা করেছিল, তারা ‘উলঙ্গ বাহিনী’ ছিল। উলঙ্গ নেতার পক্ষ যারা নেবে, তারা সকলেই উলঙ্গ বলে আমি মনে করব। যাদের ইজ্জত-সম্মান আছে তারা হামলা করতে পারে না। সেদিন ব্যানারে বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ছবি ছিল। সেই ছবিতে তাঁরা লাথি মেরেছে। বঙ্গবন্ধুকে তাঁরা লাথি মেরেছে। এর বিচার আমরা চাই। জেডু না ফেডু একটা সরকার আছে, রুয়েটে চাকরি করে। সেই চাকরি করা অবস্থায় এখানে এসেছে, হামলা চালিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইনি নোটিশ পাঠাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। ভিসির কাছে পাঠাবো। আমাদের সবকিছু রেডি হচ্ছে। তাঁরা যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আমরা আদালতে মামলা করব। আগামী দিনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ওপরে যেন এই নোংরামির দায়ভার না পড়ে, এই দলে যেন নারীরা নিরাপদে থাকতে পারে, আমার কর্মীরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে, এই দাবিতেই আমাদের এই কর্মসূচি।’
ডাবলু সরকারকে উদ্দেশ্য করে আবু রায়হান মাসুদ বলেন, ‘আপনার সাহস থাকলে প্রমাণ করুন ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি আপনি না। আপনি জোর গলায় এখনো পর্যন্ত বলতে পারেননি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রীয় কমিটিকে বলব, অনতিবিলম্বে তথ্য উদ্ঘাটন করে দলটাকে বাঁচান। ব্যভিচার করা ব্যক্তিকে আপাতত অপসারণ করেন। জনগণকে বোঝান যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি। অনেক রাঘব-বোয়ালকে প্রধানমন্ত্রী শাস্তি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী একজন ভালোবাসার মানুষ, তাঁকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নগরীর রাজপাড়া থানা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বুলবুল, সাবেক ছাত্রনেতা সিরাজি কয়েল, সাবেক ছাত্রনেতা ও ক্রীড়া সংগঠক এসএম রবিউল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে ডাবলু সরকারের মুখ দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে, ডাবলু সরকার ভিডিও কলে কথা বলছেন। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় অশালীন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ডাবলু সরকার দাবি করেছেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখ তাঁর। তবে শরীরের নিচের অংশ অন্য কারও। এই ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘রাজশাহী আওয়ামী পরিবারের’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় দলকে বাঁচানোর স্বার্থে ডাবলু সরকারকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
গত ২ মার্চ একই স্থানে ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ-কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিন ডাবলু সরকারের ভাই নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার সেডু, আরেক ভাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকারসহ তাঁদের অনুসারী ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা চালান। মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আজ শনিবারের কর্মসূচিতেও সেখানে বাধা দিতে কয়েকজন এসেছিল। তবে পুলিশ তাঁদের মানববন্ধনের দিকে যেতে দেয়নি। এই মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনিসংকেত ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে হবে।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত রাজনীতির দুষ্টক্ষত ডাবলু সরকারকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ হাতে হাতে ফেস্টুনে ডাবলুর ছবিতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে লেখা ছিল, ‘নির্বাচনের বছরে দল বিব্রত হয়, এমন কাউকে দলে এক সেকেন্ডও রাখা যায় না।’
সমাবেশে সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ গত ২ মার্চের কর্মসূচিতে হামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘সেদিন যারা হামলা করেছিল, তারা ‘উলঙ্গ বাহিনী’ ছিল। উলঙ্গ নেতার পক্ষ যারা নেবে, তারা সকলেই উলঙ্গ বলে আমি মনে করব। যাদের ইজ্জত-সম্মান আছে তারা হামলা করতে পারে না। সেদিন ব্যানারে বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ছবি ছিল। সেই ছবিতে তাঁরা লাথি মেরেছে। বঙ্গবন্ধুকে তাঁরা লাথি মেরেছে। এর বিচার আমরা চাই। জেডু না ফেডু একটা সরকার আছে, রুয়েটে চাকরি করে। সেই চাকরি করা অবস্থায় এখানে এসেছে, হামলা চালিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইনি নোটিশ পাঠাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। ভিসির কাছে পাঠাবো। আমাদের সবকিছু রেডি হচ্ছে। তাঁরা যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আমরা আদালতে মামলা করব। আগামী দিনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ওপরে যেন এই নোংরামির দায়ভার না পড়ে, এই দলে যেন নারীরা নিরাপদে থাকতে পারে, আমার কর্মীরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে, এই দাবিতেই আমাদের এই কর্মসূচি।’
ডাবলু সরকারকে উদ্দেশ্য করে আবু রায়হান মাসুদ বলেন, ‘আপনার সাহস থাকলে প্রমাণ করুন ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি আপনি না। আপনি জোর গলায় এখনো পর্যন্ত বলতে পারেননি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রীয় কমিটিকে বলব, অনতিবিলম্বে তথ্য উদ্ঘাটন করে দলটাকে বাঁচান। ব্যভিচার করা ব্যক্তিকে আপাতত অপসারণ করেন। জনগণকে বোঝান যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি। অনেক রাঘব-বোয়ালকে প্রধানমন্ত্রী শাস্তি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী একজন ভালোবাসার মানুষ, তাঁকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নগরীর রাজপাড়া থানা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বুলবুল, সাবেক ছাত্রনেতা সিরাজি কয়েল, সাবেক ছাত্রনেতা ও ক্রীড়া সংগঠক এসএম রবিউল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে ডাবলু সরকারের মুখ দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে, ডাবলু সরকার ভিডিও কলে কথা বলছেন। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় অশালীন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ডাবলু সরকার দাবি করেছেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখ তাঁর। তবে শরীরের নিচের অংশ অন্য কারও। এই ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ওমর আলী নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ভূইয়াকে (৫০) ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানাধীন স্বদেশ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৯ মিনিট আগেচাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের আরও ১১ সদস্যকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শনিবার শহরের বাবুরহাট কলেজ মাঠ, স্বর্ণখোলা রোড ও বড় স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবরিশালের গৌরনদী পৌর বিএনপি সাবেক নেতাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ শনিবার গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে...
১ ঘণ্টা আগে