নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
‘রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন’ এমন বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার এমপি এনামুলের পক্ষে তাঁর মালিকানাধীন এনা গ্রুপের স্টাফ অফিসার পারভেজ হোসেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী কোনো কথা বলতে চাননি। তবে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে স্টাফ অফিসার মামলাটি করেছেন। আমার আইনজীবী হুমায়ুন আহমেদ আমাকে জানিয়েছেন যে, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তবে আদেশ কাল দেবেন।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রাজশাহীতে একটি টকশোর আয়োজন করে। সেখানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপি নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা। আলোচনার একপর্যায়ে রাজশাহীর সরকারদলীয় চার এমপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মিনু।
বাগমারার এমপি এনামুল হক সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘এমপি এনামুল সাহেব! জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখি নাই। বরঞ্চ বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করত তখন তিনি শিবিরের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি এমপি।’ ওই টকশোতে মিনু বলেন, ‘রাজশাহীর-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁকে আমি দেখেছি রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠের স্টেজে কর্নেল ফারুকের পাশে অস্ত্র নিয়ে জনগণের দিকে তাক করা। তিনি এখন আওয়ামী লীগের এমপি।’
রাজশাহী-৫ আসনের এমপি মনসুর রহমান সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘আমি তো মনে করতাম তিনি বিএনপি করতেন। আমাদের মন্ত্রী কবির ভাইয়ের ড্রয়িংরুমে সব সময় বসে থাকতেন প্রমোশন আর ট্রান্সফারের জন্য। এখন দেখি মনসুরও এমপি।’ রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরেকজন হচ্ছে চারঘাটের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি আমার সঙ্গে তদবির করতে আসছিল বিএনপি থেকে ভোট করবে। আমি বলেছি ব্যবসা করছ। কর গা। এখানে এসো না...তো ও জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেননি।’
ওই টকশো প্রচারের পর তা নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। চার এমপির অনুসারীরা মিনুর মন্তব্য মিথ্যা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন। আবার আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা–কর্মীই টকশোর ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে মিনুর বক্তব্যকে সত্য বলে মন্তব্য করেন। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে এমপি এনামুলের পক্ষে মামলা হলো।
মামলায় বলা হয়েছে, এমপি এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কখনই শিবির করেননি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা তিনবার এমপি রয়েছেন। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মিথ্যা কথা বলেছেন।
তবে, মিজানুর রহমান মিনু এখনো তাঁর মন্তব্যে অটল। আজ রোববার বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমার সেদিনের বক্তব্য দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজশাহীর সব মানুষ জানে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমার নামে ৬২টা মামলা আছে। এটার মাধ্যমে না হয় ৬৩টা হবে। আমার কর্মীরাই মামলা নিয়ে চিন্তা করে না, আর আমি লিডার!’
‘রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন’ এমন বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার এমপি এনামুলের পক্ষে তাঁর মালিকানাধীন এনা গ্রুপের স্টাফ অফিসার পারভেজ হোসেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী কোনো কথা বলতে চাননি। তবে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে স্টাফ অফিসার মামলাটি করেছেন। আমার আইনজীবী হুমায়ুন আহমেদ আমাকে জানিয়েছেন যে, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তবে আদেশ কাল দেবেন।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রাজশাহীতে একটি টকশোর আয়োজন করে। সেখানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপি নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা। আলোচনার একপর্যায়ে রাজশাহীর সরকারদলীয় চার এমপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মিনু।
বাগমারার এমপি এনামুল হক সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘এমপি এনামুল সাহেব! জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখি নাই। বরঞ্চ বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করত তখন তিনি শিবিরের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি এমপি।’ ওই টকশোতে মিনু বলেন, ‘রাজশাহীর-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁকে আমি দেখেছি রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠের স্টেজে কর্নেল ফারুকের পাশে অস্ত্র নিয়ে জনগণের দিকে তাক করা। তিনি এখন আওয়ামী লীগের এমপি।’
রাজশাহী-৫ আসনের এমপি মনসুর রহমান সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘আমি তো মনে করতাম তিনি বিএনপি করতেন। আমাদের মন্ত্রী কবির ভাইয়ের ড্রয়িংরুমে সব সময় বসে থাকতেন প্রমোশন আর ট্রান্সফারের জন্য। এখন দেখি মনসুরও এমপি।’ রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরেকজন হচ্ছে চারঘাটের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি আমার সঙ্গে তদবির করতে আসছিল বিএনপি থেকে ভোট করবে। আমি বলেছি ব্যবসা করছ। কর গা। এখানে এসো না...তো ও জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেননি।’
ওই টকশো প্রচারের পর তা নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। চার এমপির অনুসারীরা মিনুর মন্তব্য মিথ্যা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন। আবার আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা–কর্মীই টকশোর ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে মিনুর বক্তব্যকে সত্য বলে মন্তব্য করেন। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে এমপি এনামুলের পক্ষে মামলা হলো।
মামলায় বলা হয়েছে, এমপি এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কখনই শিবির করেননি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা তিনবার এমপি রয়েছেন। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মিথ্যা কথা বলেছেন।
তবে, মিজানুর রহমান মিনু এখনো তাঁর মন্তব্যে অটল। আজ রোববার বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমার সেদিনের বক্তব্য দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজশাহীর সব মানুষ জানে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমার নামে ৬২টা মামলা আছে। এটার মাধ্যমে না হয় ৬৩টা হবে। আমার কর্মীরাই মামলা নিয়ে চিন্তা করে না, আর আমি লিডার!’
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৩ ঘণ্টা আগে