নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ শনিবার শহরের কাজীর মোড় ও মুক্তির মোড় এলাকায় এ বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে শহরের কাজীর মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের মুক্তির মোড়ের দিকে এগোতে থাকে। মিছিলটি সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
এতে শহরের প্রধান সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছেন।
এরপর আন্দোলনকারীরা আবারও জমায়েত হয়ে মুক্তির মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শেষ করে চলে যায়।
শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন বলেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করতে হবে।’
নওগাঁ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক লায়লা আক্তার বলেন, ‘বেলা ২টা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছেন। এদের সবারই মাথা ও শরীরে ইটের আঘাত লক্ষ করা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবাই চলে গেছে। তবে একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, ‘মিছিলের শুরু থেকেই পুলিশ সহনশীল আচরণ করেছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে পুলিশ।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর:
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের সময় শহরের সরিষাহাটির মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জানালার গ্লাস, মূল ফটকের সামনে তৈরি করা তোরণ ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে বিকেলে কেডির মোড়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিলসহ আসবাব ভাঙচুর ও ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে কে বা কারা।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি, জামায়াত–শিবিরের নেতা–কর্মীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বায়োজিত হোসেন পলাশ বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ করে সন্ত্রাসীরা আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর বিএনপির সমর্থন আছে জেনেই তারা এই ভাঙচুর চালিয়েছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ শনিবার শহরের কাজীর মোড় ও মুক্তির মোড় এলাকায় এ বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে শহরের কাজীর মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের মুক্তির মোড়ের দিকে এগোতে থাকে। মিছিলটি সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
এতে শহরের প্রধান সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছেন।
এরপর আন্দোলনকারীরা আবারও জমায়েত হয়ে মুক্তির মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শেষ করে চলে যায়।
শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন বলেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করতে হবে।’
নওগাঁ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক লায়লা আক্তার বলেন, ‘বেলা ২টা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছেন। এদের সবারই মাথা ও শরীরে ইটের আঘাত লক্ষ করা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবাই চলে গেছে। তবে একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, ‘মিছিলের শুরু থেকেই পুলিশ সহনশীল আচরণ করেছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে পুলিশ।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর:
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের সময় শহরের সরিষাহাটির মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জানালার গ্লাস, মূল ফটকের সামনে তৈরি করা তোরণ ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে বিকেলে কেডির মোড়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিলসহ আসবাব ভাঙচুর ও ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে কে বা কারা।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি, জামায়াত–শিবিরের নেতা–কর্মীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বায়োজিত হোসেন পলাশ বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ করে সন্ত্রাসীরা আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর বিএনপির সমর্থন আছে জেনেই তারা এই ভাঙচুর চালিয়েছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের আরও ১১ সদস্যকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শনিবার শহরের বাবুরহাট কলেজ মাঠ, স্বর্ণখোলা রোড ও বড় স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
২ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদী পৌর বিএনপির সাবেক এক নেতাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির আরেক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরখানের শাহ কবীর (রহ.) মাজার থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জিয়ারতকারীদের বিশ্রামাগার থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ
২১ মিনিট আগেজানাজার পর আমাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন আমি পাশের রুমে বসে ছিলাম। সাদকে অনেক টর্চার করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারি। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
৩২ মিনিট আগে