রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর ৯ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অডিওটি সাংবাদিকদের দিয়ে বলেছেন, এক ব্যক্তির সঙ্গে এটি অধ্যক্ষ মো. সেলীম রেজার কথোপকথন।
ওই অডিওতে অধ্যক্ষের দাবি করা ব্যক্তিকে এমপির মারধর ও গালাগালির বর্ণনা দিতে শোনা যায়। অডিওটি প্রকাশের পরদিন রোববার অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, ওই কথোপকথন তাঁর নয়। তাঁর ভয়েস ক্লোন করা হয়েছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে অধ্যক্ষের ওই বক্তব্য লাইভ প্রচার করা হয়। অধ্যক্ষ আবারও দাবি করেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁকে মারেননি।
তবে আজ সোমবার ওই অডিওটির বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তার। অধ্যক্ষ সেলীম রেজার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজটিও এই দেওপাড়া ইউনিয়নে। জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, অডিওটি ক্লোন করা নয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে যে ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে সেটি তিনিই। তাঁর সঙ্গেই কথা বলেছিলেন অধ্যক্ষ।
আখতারুজ্জামান আক্তার বলেন, ‘আমি দেওপাড়া ইউনিয়নে ১৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার সময়ে ওই এলাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এমপি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন শুনে আমি আমার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সেলীম রেজাকে ফোন করেছিলাম। ৯ জুলাই বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফোন করার পর তাঁর সঙ্গে আমার ২২ মিনিট কথা হয়। এর মধ্যে ৯ মিনিটের অডিও প্রকাশ পেয়েছে।’
অডিওতে দুজনের যেসব কথা শোনা যাচ্ছে তার সবই সত্য দাবি করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ১৪ জুলাই তদন্ত শুরু করার পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট ৫০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফাঁস হওয়া অডিওতে যেসব ব্যক্তির নাম এসেছে, কথা হয়েছে তাঁদের সঙ্গেও। তবে তাঁরা কী বলেছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলাকালে জানাতে চাননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান আক্তার বলেন, তদন্ত কমিটি তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছে। তিনি তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন যে ফাঁস হওয়া অডিওতে অধ্যক্ষের সঙ্গে যে ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যাচ্ছে সেই ব্যক্তিটি তিনি নিজেই। অডিওটি সঠিক। আক্তার বলেন, চাপে পড়ে কিংবা ভয়ে অধ্যক্ষ এখন যা-ই বলুন না কেন তিনি আমাকে এমপির মারধরের কথা জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটিকে এটি বলেছি। অডিওটি পরীক্ষা করলেই প্রমাণ হবে সেটা সঠিক।
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ৭ জুলাই তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অন্য অধ্যক্ষদের সামনে সেলীম রেজাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁকে মারধরের খবরে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে ১৪ জুলাই অধ্যক্ষকে নিয়ে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
সেখানে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, এমপি তাঁকে মারধর করেননি। আর এমপি দাবি করেন, তাঁকে নিয়ে অধ্যক্ষকে মারধরের গুজব ছড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এর প্রতিবাদে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এই অডিও রেকর্ডটি দেন। পরদিন রোববার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজে যান। তিনি যখন কলেজে ছিলেন তখনই ফেসবুকে এমপির মালিকানাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে অধ্যক্ষের বক্তব্য প্রচার করা হয়, যেখানে অধ্যক্ষ দাবি করেন যে প্রচার করা অডিওটি ক্লোন করা।
এরপর আসাদুজ্জামান আসাদও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, অডিওটি ক্লোন করা নয়। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আসাদ লেখেন, ‘যে বা যাঁরা বলতে চান এটা রাজাবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষের কণ্ঠ না তাঁদের জন্য সম্মানের সাথে চ্যালেঞ্জ দিলাম এটা যদি ক্লোন প্রমাণ করতে পারেন যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নিব.... ।’
আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে যখন অডিওটি প্রকাশ করেন, তখন অধ্যক্ষের সঙ্গে কার কথা সে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। তবে দুই দিন পর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আখতারুজ্জামান আক্তার দাবি করলেন, অচেনা ব্যক্তিটি তিনি।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর ৯ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অডিওটি সাংবাদিকদের দিয়ে বলেছেন, এক ব্যক্তির সঙ্গে এটি অধ্যক্ষ মো. সেলীম রেজার কথোপকথন।
ওই অডিওতে অধ্যক্ষের দাবি করা ব্যক্তিকে এমপির মারধর ও গালাগালির বর্ণনা দিতে শোনা যায়। অডিওটি প্রকাশের পরদিন রোববার অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, ওই কথোপকথন তাঁর নয়। তাঁর ভয়েস ক্লোন করা হয়েছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে অধ্যক্ষের ওই বক্তব্য লাইভ প্রচার করা হয়। অধ্যক্ষ আবারও দাবি করেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁকে মারেননি।
তবে আজ সোমবার ওই অডিওটির বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তার। অধ্যক্ষ সেলীম রেজার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজটিও এই দেওপাড়া ইউনিয়নে। জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, অডিওটি ক্লোন করা নয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে যে ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে সেটি তিনিই। তাঁর সঙ্গেই কথা বলেছিলেন অধ্যক্ষ।
আখতারুজ্জামান আক্তার বলেন, ‘আমি দেওপাড়া ইউনিয়নে ১৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার সময়ে ওই এলাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এমপি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন শুনে আমি আমার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সেলীম রেজাকে ফোন করেছিলাম। ৯ জুলাই বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফোন করার পর তাঁর সঙ্গে আমার ২২ মিনিট কথা হয়। এর মধ্যে ৯ মিনিটের অডিও প্রকাশ পেয়েছে।’
অডিওতে দুজনের যেসব কথা শোনা যাচ্ছে তার সবই সত্য দাবি করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ১৪ জুলাই তদন্ত শুরু করার পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট ৫০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফাঁস হওয়া অডিওতে যেসব ব্যক্তির নাম এসেছে, কথা হয়েছে তাঁদের সঙ্গেও। তবে তাঁরা কী বলেছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলাকালে জানাতে চাননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান আক্তার বলেন, তদন্ত কমিটি তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছে। তিনি তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন যে ফাঁস হওয়া অডিওতে অধ্যক্ষের সঙ্গে যে ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যাচ্ছে সেই ব্যক্তিটি তিনি নিজেই। অডিওটি সঠিক। আক্তার বলেন, চাপে পড়ে কিংবা ভয়ে অধ্যক্ষ এখন যা-ই বলুন না কেন তিনি আমাকে এমপির মারধরের কথা জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটিকে এটি বলেছি। অডিওটি পরীক্ষা করলেই প্রমাণ হবে সেটা সঠিক।
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ৭ জুলাই তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অন্য অধ্যক্ষদের সামনে সেলীম রেজাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁকে মারধরের খবরে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে ১৪ জুলাই অধ্যক্ষকে নিয়ে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
সেখানে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, এমপি তাঁকে মারধর করেননি। আর এমপি দাবি করেন, তাঁকে নিয়ে অধ্যক্ষকে মারধরের গুজব ছড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এর প্রতিবাদে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এই অডিও রেকর্ডটি দেন। পরদিন রোববার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজে যান। তিনি যখন কলেজে ছিলেন তখনই ফেসবুকে এমপির মালিকানাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে অধ্যক্ষের বক্তব্য প্রচার করা হয়, যেখানে অধ্যক্ষ দাবি করেন যে প্রচার করা অডিওটি ক্লোন করা।
এরপর আসাদুজ্জামান আসাদও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, অডিওটি ক্লোন করা নয়। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আসাদ লেখেন, ‘যে বা যাঁরা বলতে চান এটা রাজাবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষের কণ্ঠ না তাঁদের জন্য সম্মানের সাথে চ্যালেঞ্জ দিলাম এটা যদি ক্লোন প্রমাণ করতে পারেন যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নিব.... ।’
আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে যখন অডিওটি প্রকাশ করেন, তখন অধ্যক্ষের সঙ্গে কার কথা সে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। তবে দুই দিন পর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আখতারুজ্জামান আক্তার দাবি করলেন, অচেনা ব্যক্তিটি তিনি।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৫০০ নারকেলের চারা রোপণ করেছে পূবালী ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
৫ মিনিট আগেরাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ এএসপি) এবং ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আবারও স্থগিত করা হয়েছে
৯ মিনিট আগেসকালে সাপ্তাহিক মাশওয়ারা শেষে কাকরাইল মসজিদের সাথিদের একটি বড় অংশ মিন্টু রোডে জমায়েত হন। তবে পুলিশ প্রশাসনের বাধায় কয়েকশ মুসল্লি সড়কে অবস্থান নেন। পরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রেস সচিব তাঁদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার অনুমতি দেন।
১৫ মিনিট আগেআমেরিকা প্রবাসী সাবিহা সুলতানার বাড়িতে প্রায় ১০ বছর ধরে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন রাজন ঢালী।
৩০ মিনিট আগে