ঈগলকে ব্যঙ্গ করে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নৌকার প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৪৮
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৩৪

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঈগল প্রতীককে ব্যঙ্গ করে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তাঁর বিরুদ্ধে ঈগলকে ব্যঙ্গ করার পাশাপাশি বিপক্ষ দলীয় নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ ছিল। এ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান।

ওবায়দুর রহমানের পক্ষে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস নৌকার প্রার্থীকে আদালতে হাজির হয়ে সশরীরে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে দারা আদালতে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুস সামাদ।

লিখিত জবাবে আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, ‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান যে অভিযোগ করেছেন, তা বিদ্বেষপ্রসূত বটে। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার দলের নেতা-কর্মী যারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মে লিপ্ত আছেন, তাঁদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে কী ধরনের নির্দেশনা আছে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম। কোনো ভোটারকে ভয়ভীতি বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে কখনো কোনো অশালীন, অশোভনীয় বা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করিনি। তার পরও আমার বক্তব্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে আমি দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

দারার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, আদালত দারার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। তবে ভবিষ্যতে যাতে কোনোভাবেই আচরণবিধি ভঙ্গ না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

নোটিশে বলা হয়েছিল, ‘আবদুল ওয়াদুদ দারা নির্বাচনী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার কর্মীদের উদ্দেশে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকিমূলক বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন, যার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীককে ব্যঙ্গ করে কাউয়া ও বাদুড় উল্লেখ করে বলেছেন, কাউয়া ও বাদুড়কে আর মাটিতে নামতে দেওয়া হবে না। যারা কাউয়া আর বাদুড়কে সমর্থন করবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি নিজেই জেলার সাধারণ সম্পাদক। কাজেই থানা কিংবা উপজেলা আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতাদের এক খোঁচাতেই পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন। দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এ জন্য তাঁর কাউকে লাগবে না। ৩০ ডিসেম্বর তাদের শেষ দিন। এর মধ্যে নাকে খত দিয়ে নৌকার ছায়াতলে না এলে তাদের চিরতরে নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত