রাজশাহী প্রতিনিধি
পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনেই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের যাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাস বন্ধের ঘোষণার পরই ট্রেনের টিকিটও শেষ হয়ে গেছে। রাজশাহী থেকে আশপাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্যও দ্বিগুণ হয়ে গেছে সিএনজি-অটোরিকশার ভাড়া। ফলে গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, রেলগেট সিএনজি স্টেশন এবং ভদ্রা বাস কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা গেছে। বাসের কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল না। বরং বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট ফেরত নেওয়া হচ্ছিল।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মাসুদ রানা জানান, রাজশাহী-ঢাকা রুটে প্রতিদিন তাঁদের ১৬টি বাস চলে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যেই সব টিকিট ফেরত দেওয়া হয়েছে। শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. পাভেলও টিকিট ফেরত দেওয়ার কথা জানান।
এদিকে বাসের টিকিট ফেরত দিয়ে ট্রেনের টিকিট পেতে যাত্রীরা ছুটছে রেলওয়ে স্টেশনে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি মানুষ টিকিটের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে কাউন্টারে গিয়ে তারা হতাশ হচ্ছে। কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছে টিকিট না থাকার কথা। বাধ্য হয়ে অনেকেই বিনা টিকিটেই উঠে পড়ছে ট্রেনে।
রেল স্টেশনে কথা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোস্তফা সারোয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। শনিবার যোগ দেওয়ার কথা। তাই এক দিন আগেই বাসে ফেরার টিকিট কেটেছিলেন। হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনের টিকিট নিতে এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর শুনেছেন টিকিট নেই। এখন কীভাবে ঢাকায় ফিরবেন তা বুঝতে পারছেন না।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানালেন, আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা ও রাজশাহী-খুলনা রুটের কোনো টিকিট নেই। তাঁরা এখন ৭ তারিখের পরের টিকিট বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, টিকিট না পেয়েও কেউ কেউ ট্রেনে উঠছেন। বিধি অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট চেকাররা তাঁদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করছেন। এ জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বাস বন্ধ থাকায় শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের, ভদ্রা বাস কাউন্টার এলাকায় নাটোরের এবং রেলগেট সিএনজি স্টেশন এলাকায় নওগাঁর যাত্রী তুলছে অটোরিকশা ও সিএনজি। প্রতিটি রুটেই যাত্রী তোলার আগেই তাঁদের সঙ্গে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়ার চুক্তি করে নিচ্ছেন চালকেরা। অটোরিকশায় অন্য সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাওয়ার ভাড়া ৫০ টাকা। শুক্রবার ১০০ টাকা করে চাইছিলেন চালকেরা।
দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম নামে এক চালক বললেন, ‘হরতালের কারণে সবাই নিচ্ছে, আমিও নিচ্ছি।’ তাঁর অটোরিকশায় উঠে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বললেন, ‘সবাই সুযোগসন্ধানী। আমরা জনগণই হলাম সবচেয়ে বোকা। আমাদের জিম্মি হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অঘোষিত বাস ধর্মঘটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি-প্রাইমুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে এসব পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার রাজশাহীতে এসব যানবাহনও চলতে দেখা যায়নি।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে বাস-ট্রাক সবই বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবার স্বার্থেই অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আন্দোলন করছি। হয় তেলের দাম কমাতে হবে, না হয় নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাহলেই ধর্মঘট উঠে যাবে।’
পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনেই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের যাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাস বন্ধের ঘোষণার পরই ট্রেনের টিকিটও শেষ হয়ে গেছে। রাজশাহী থেকে আশপাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্যও দ্বিগুণ হয়ে গেছে সিএনজি-অটোরিকশার ভাড়া। ফলে গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, রেলগেট সিএনজি স্টেশন এবং ভদ্রা বাস কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা গেছে। বাসের কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল না। বরং বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট ফেরত নেওয়া হচ্ছিল।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মাসুদ রানা জানান, রাজশাহী-ঢাকা রুটে প্রতিদিন তাঁদের ১৬টি বাস চলে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যেই সব টিকিট ফেরত দেওয়া হয়েছে। শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. পাভেলও টিকিট ফেরত দেওয়ার কথা জানান।
এদিকে বাসের টিকিট ফেরত দিয়ে ট্রেনের টিকিট পেতে যাত্রীরা ছুটছে রেলওয়ে স্টেশনে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি মানুষ টিকিটের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে কাউন্টারে গিয়ে তারা হতাশ হচ্ছে। কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছে টিকিট না থাকার কথা। বাধ্য হয়ে অনেকেই বিনা টিকিটেই উঠে পড়ছে ট্রেনে।
রেল স্টেশনে কথা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোস্তফা সারোয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। শনিবার যোগ দেওয়ার কথা। তাই এক দিন আগেই বাসে ফেরার টিকিট কেটেছিলেন। হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনের টিকিট নিতে এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর শুনেছেন টিকিট নেই। এখন কীভাবে ঢাকায় ফিরবেন তা বুঝতে পারছেন না।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানালেন, আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা ও রাজশাহী-খুলনা রুটের কোনো টিকিট নেই। তাঁরা এখন ৭ তারিখের পরের টিকিট বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, টিকিট না পেয়েও কেউ কেউ ট্রেনে উঠছেন। বিধি অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট চেকাররা তাঁদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করছেন। এ জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বাস বন্ধ থাকায় শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের, ভদ্রা বাস কাউন্টার এলাকায় নাটোরের এবং রেলগেট সিএনজি স্টেশন এলাকায় নওগাঁর যাত্রী তুলছে অটোরিকশা ও সিএনজি। প্রতিটি রুটেই যাত্রী তোলার আগেই তাঁদের সঙ্গে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়ার চুক্তি করে নিচ্ছেন চালকেরা। অটোরিকশায় অন্য সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাওয়ার ভাড়া ৫০ টাকা। শুক্রবার ১০০ টাকা করে চাইছিলেন চালকেরা।
দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম নামে এক চালক বললেন, ‘হরতালের কারণে সবাই নিচ্ছে, আমিও নিচ্ছি।’ তাঁর অটোরিকশায় উঠে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বললেন, ‘সবাই সুযোগসন্ধানী। আমরা জনগণই হলাম সবচেয়ে বোকা। আমাদের জিম্মি হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অঘোষিত বাস ধর্মঘটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি-প্রাইমুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে এসব পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার রাজশাহীতে এসব যানবাহনও চলতে দেখা যায়নি।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে বাস-ট্রাক সবই বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবার স্বার্থেই অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আন্দোলন করছি। হয় তেলের দাম কমাতে হবে, না হয় নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাহলেই ধর্মঘট উঠে যাবে।’
মায়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) মোহনপুরের মাখন খালাসীর ছেলে শিপন খালাসী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ২৫) করেন। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেসাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আফজাল কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল দি কক্সটুডের একটি কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৬ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। একই মহাসড়কের অন্য অংশ অবরোধ করেছে ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্
২১ মিনিট আগে১৩১ বছর আগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। এখন এর সদস্যসংখ্যা ৮ হাজারের মতো। বেসরকারি ব্যাংকে রাখা সমিতির ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সদস্যরা।
২৪ মিনিট আগে