প্রায় এক দশক পেরিয়ে বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অর্নাস কলেজ প্রাঙ্গণে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি হয়েছেন অ্যাড. গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। 

কামাল হোসেন বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হয়েছিল ষড়যন্ত্র করার জন্য। আর এ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট ও বাংলাদেশের বিপক্ষে খলনায়ক। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাকে সপরিবারে হত্যা করেন। তাই ওই সব স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারী ও কু-চক্রী মহলেরা এখনো তৎপর রয়েছে, তাদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। যাতে করে তারা আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে না পারে।’ 

সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ত্রি-বার্ষিক ওই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মজিবর রহমান মজনু। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।  

এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. গোলাম ফারুক শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি এর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি (মাছ প্রতিক) ও সুলতান মাহমুদ (দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকে) ভোট করেন। কাউন্সিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১২টি ইউনিটের ৪২৩ জন কাউন্সিলর সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি পেয়েছেন ৫৭ ভোট। 

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝুনু, অ্যাড-জাকির হোসেন নবাব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি।