নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগে সম্প্রতি সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়েন উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলাম, সাহেরা খাতুন, নাসিমা খাতুন, এনামুল হক, আজিজুল ইসলাম, আবু তালেব, হাবিবুর রহমান, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, শহিদুল ইসলাম, সুনীল সরেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির তিনটি পদ শূন্য ছিল। এ জন্য বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিয়োগ দিতে সম্প্রতি তৎপরতা শুরু করেন। আবুল কালাম আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। আর মতিউর রহমান এই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং রিশিকুল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁরা নিরাপত্তাকর্মী পদে বাউটিয়া গ্রামের জাহিদ আলী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হুজরাপুর গ্রামের সেলিম রেজা এবং আয়া পদে পাইতাপুকুর গ্রামের আন্না মারান্ডীকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে সভাপতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ৪১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধি তিনজন প্রার্থীর নাম জানিয়ে বলেন, পদগুলোতে এই তিনজনকে নিয়োগ দিতে হবে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি জানতে পারলে নিয়োগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম তাঁকে ডেকে পাঠান।
প্রধান শিক্ষক দেখা করতে গেলে শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু টাকাপয়সা নিয়ে নিয়োগটা সম্পন্ন করে ফেলেন। আমি এমপির নির্দেশনায় কাজ করছি। নিয়োগ না দিলে আপনারই চাকরির সমস্যা হবে।’ এ কারণে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে রাজি হন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনজন প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেন। এ জন্য গত ২২ জুন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তাঁদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়। এরপর ম্যানেজিং কমিটির সভা ছাড়াই সভাপতি গত ৩ জুলাই নিয়োগপত্র ইস্যু করেন এবং ৯ জুলাই যোগদান দেখিয়ে তিনজনকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। তবে অনিয়মের কারণে আমি তাঁদের যোগদান করাইনি।’
মোজাহার আলী বলেন, ‘স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে সভাপতি মতিউর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। সেই টাকা থেকে ৪ লাখ বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা দেননি। এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষক প্রতিনিধি ও সভাপতি আমাদের চাকরিচ্যুতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজনকে যোগদান না করানোর কারণে এক সপ্তাহ আমাদের বেতনও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া তিনজনকে এখনো যোগদান করানো হয়নি বলে সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধি এখন আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা এই নিয়োগ বাতিল চাই। আমরা সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের কাছে তটস্থ থাকি। দলীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি আমাদের তটস্থ করে রাখেন। এই শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলার ৩০ হাজার টাকা অনুদানও আত্মসাৎ করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ তুলেছে, তার সবই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিউর রহমানও একই কথা বলেন। মতিউর রহমান বলেন, ‘নিয়ম মেনে সঠিকভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’ অনিয়মের নিয়োগ দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলমকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগে সম্প্রতি সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়েন উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলাম, সাহেরা খাতুন, নাসিমা খাতুন, এনামুল হক, আজিজুল ইসলাম, আবু তালেব, হাবিবুর রহমান, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, শহিদুল ইসলাম, সুনীল সরেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির তিনটি পদ শূন্য ছিল। এ জন্য বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিয়োগ দিতে সম্প্রতি তৎপরতা শুরু করেন। আবুল কালাম আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। আর মতিউর রহমান এই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং রিশিকুল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁরা নিরাপত্তাকর্মী পদে বাউটিয়া গ্রামের জাহিদ আলী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হুজরাপুর গ্রামের সেলিম রেজা এবং আয়া পদে পাইতাপুকুর গ্রামের আন্না মারান্ডীকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে সভাপতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ৪১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধি তিনজন প্রার্থীর নাম জানিয়ে বলেন, পদগুলোতে এই তিনজনকে নিয়োগ দিতে হবে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি জানতে পারলে নিয়োগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম তাঁকে ডেকে পাঠান।
প্রধান শিক্ষক দেখা করতে গেলে শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু টাকাপয়সা নিয়ে নিয়োগটা সম্পন্ন করে ফেলেন। আমি এমপির নির্দেশনায় কাজ করছি। নিয়োগ না দিলে আপনারই চাকরির সমস্যা হবে।’ এ কারণে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে রাজি হন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনজন প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেন। এ জন্য গত ২২ জুন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তাঁদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়। এরপর ম্যানেজিং কমিটির সভা ছাড়াই সভাপতি গত ৩ জুলাই নিয়োগপত্র ইস্যু করেন এবং ৯ জুলাই যোগদান দেখিয়ে তিনজনকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। তবে অনিয়মের কারণে আমি তাঁদের যোগদান করাইনি।’
মোজাহার আলী বলেন, ‘স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে সভাপতি মতিউর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। সেই টাকা থেকে ৪ লাখ বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা দেননি। এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষক প্রতিনিধি ও সভাপতি আমাদের চাকরিচ্যুতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজনকে যোগদান না করানোর কারণে এক সপ্তাহ আমাদের বেতনও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া তিনজনকে এখনো যোগদান করানো হয়নি বলে সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধি এখন আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা এই নিয়োগ বাতিল চাই। আমরা সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের কাছে তটস্থ থাকি। দলীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি আমাদের তটস্থ করে রাখেন। এই শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলার ৩০ হাজার টাকা অনুদানও আত্মসাৎ করেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ তুলেছে, তার সবই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিউর রহমানও একই কথা বলেন। মতিউর রহমান বলেন, ‘নিয়ম মেনে সঠিকভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’ অনিয়মের নিয়োগ দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলমকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর বন্ধের সঙ্গে জড়িত কুশীলবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যারা শহীদ জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল ও এটির বন্ধের জন্য কাজ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
২৮ মিনিট আগেজামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘জামায়াত আর্তমানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশের সবুজ ভূখণ্ডে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে চায়। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গঠনে জামায়াত প্রতি
১ ঘণ্টা আগেশীতের আমেজ বইতে শুরু করেছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। আজ শনিবার জেলার সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল শুক্রবারের চেয়ে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, দেশের কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও নিজেকে বাঁচিয়ে চলা এমন লোক উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেতে পারেন না।
১ ঘণ্টা আগে