নাইমুর রহমান, নাটোর
বকেয়া বেতন, পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পাবনা চিনিকলের বর্তমান ও সাবেক কর্মী ও শ্রমিকেরা। চিনিকল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
চার মাস ধরে বেতন বন্ধ নাটোর চিনিকলের পরিবহন সেকশনের টেইলর ফিটার সদরুল ইসলামের। তিনি জানান, সর্বসাকল্যে তাঁর মাসিক বেতন ২৬ হাজার টাকা। নাটোর চিনিকলে গত চার মাস ধরে তিনি বেতন পান না। শুরুর দিকে ঈশ্বরদী থেকে যাতায়াত করলেও বেতন বন্ধ হওয়ার পর উঠেছেন চিনিকলসংলগ্ন একটি মেসে। বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের টাকা পাঠাতে পারেন না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক কাপ চা খেয়ে মিলগেটে এসেছেন তিনি। দুপুরে কী খাবেন তা জানা নেই তাঁর।
সদরুল ইসলামের চেয়ে আরও খারাপ অবস্থা ট্রলি মেরামতের কর্মী সুজন হোসেন, মান্নান মজুমদার, সাইদুল ইসলামদের। পাবনা থেকে আসা এই তিন মেকানিকও বেতন পান না চার মাস ধরে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় থেমে গেছে তাঁদের দিন যাপন।
২০০২ সাল থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে করণিকের চাকরি করেন আব্দুর রাজ্জাক। মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে কষ্টে চলে তাঁর দিন। সেই বেতনও বন্ধ চার মাস। তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে আর কয়েক মাস বেতন বন্ধ থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। এখন যাও আধপেটে খাচ্ছি, সামনে আর সম্ভব হবে না।’
শুধু কর্মরত শ্রমিকেরাই নন, পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন মিলের ৩৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। আট বছর ধরে আটকে আছে তাঁদের পেনশন ও গ্র্যাচুইটির ৫১ কোটি টাকা। দীর্ঘ এই সময়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেক শ্রমিক-কর্মচারী, বন্ধ হয়ে গেছে তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়া। চরম মানবিক সংকটে পরিবারের বাকি সদস্যদের দিন কাটছে। উপরন্তু, অডিট আপত্তির নামে তাঁদের থেকে টাকা কর্তন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডে চিনিকলের পক্ষ থেকে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম অর্থ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৮০ জন শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারী তাঁদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি বাবদ ৩৪ কোটি টাকা ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ১৭ কোটি টাকা এখনো বুঝে পাননি। এ সময় অডিট আপত্তির জন্য ফেরতদানের শর্তে সব শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কর্তন করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০০৩ সালের একটি অডিট আপত্তি দেখিয়ে তাদের থেকে ১ লাখ ৫০ হাজর টাকা আদায় করে মিল কর্তৃপক্ষ। অডিট নিষ্পত্তি হলেও কোনো টাকা এখনো ফেরত পাননি তাঁরা। এ ছাড়া তাঁদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য ১০ শতাংশ টাকা প্রদান করলেও চিনিকল কর্তৃপক্ষ সমপরিমাণ টাকা প্রদানের পরিবর্তে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ টাকা প্রদান করেন তাঁরা।
কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলু বলেন, ‘দেশের অন্য চিনিকলগুলো শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে তাদের জমার সমপরিমাণ টাকা যোগ করে। একমাত্র ব্যতিক্রম নাটোর চিনিকল। কেন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা এমনটি করেন তা কারও জানা নেই। তারা জবাবদিহি করেন না। জনপ্রতি ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম দিলে কয়েক হাজার শ্রমিকের কত টাকা লুট হয়, তা সহজেই অনুমান করা যায়। আমরা এ অবস্থার পরিত্রাণ চাই।’
সংগঠনের সভাপতি আলাউদ্দিন প্রামাণিক বলেন, ‘পাঁচটি চিনিকলের অডিটে আপত্তি জানানো হলেও কোনো চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের থেকে অডিট নিষ্পত্তির জন্য টাকা তোলা হয়নি। এমনটি হয়েছে শুধু নাটোর চিনিকলে। এ ছাড়া ওপরের দু-একটি বাদে সব পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা যখন নিয়মিত কাজ করেছি, আমরা জানি বেতন বন্ধ থাকলে জীবন থেমে যায়। অবিলম্বে সবার বকেয়া বেতন, গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রদানের দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর জানান, কোনো কর্মকর্তা বা শ্রমিক অবসরে গেলে করপোরেশনকে অবহিত করা হয়। করপোরেশন তাঁর প্রাপ্য পাওনা পরিশোধে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। কয়েকজন অবসরপ্রাপ্তের জন্য একত্রে কিছু টাকা বরাদ্দ আসে। এই টাকা সমান অনুপাতে প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আবারও টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তা পরিশোধ করা হয়। চাহিদামতো বরাদ্দ না পাওয়ায় বকেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে চলছে। আর প্রভিডেন্ট ফান্ডে পরিপত্র অনুযায়ী ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ করপোরেশনের পক্ষ থেকে যোগ করা হয়।
বকেয়া বেতন, পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পাবনা চিনিকলের বর্তমান ও সাবেক কর্মী ও শ্রমিকেরা। চিনিকল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
চার মাস ধরে বেতন বন্ধ নাটোর চিনিকলের পরিবহন সেকশনের টেইলর ফিটার সদরুল ইসলামের। তিনি জানান, সর্বসাকল্যে তাঁর মাসিক বেতন ২৬ হাজার টাকা। নাটোর চিনিকলে গত চার মাস ধরে তিনি বেতন পান না। শুরুর দিকে ঈশ্বরদী থেকে যাতায়াত করলেও বেতন বন্ধ হওয়ার পর উঠেছেন চিনিকলসংলগ্ন একটি মেসে। বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের টাকা পাঠাতে পারেন না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক কাপ চা খেয়ে মিলগেটে এসেছেন তিনি। দুপুরে কী খাবেন তা জানা নেই তাঁর।
সদরুল ইসলামের চেয়ে আরও খারাপ অবস্থা ট্রলি মেরামতের কর্মী সুজন হোসেন, মান্নান মজুমদার, সাইদুল ইসলামদের। পাবনা থেকে আসা এই তিন মেকানিকও বেতন পান না চার মাস ধরে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় থেমে গেছে তাঁদের দিন যাপন।
২০০২ সাল থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে করণিকের চাকরি করেন আব্দুর রাজ্জাক। মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে কষ্টে চলে তাঁর দিন। সেই বেতনও বন্ধ চার মাস। তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে আর কয়েক মাস বেতন বন্ধ থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। এখন যাও আধপেটে খাচ্ছি, সামনে আর সম্ভব হবে না।’
শুধু কর্মরত শ্রমিকেরাই নন, পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন মিলের ৩৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। আট বছর ধরে আটকে আছে তাঁদের পেনশন ও গ্র্যাচুইটির ৫১ কোটি টাকা। দীর্ঘ এই সময়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেক শ্রমিক-কর্মচারী, বন্ধ হয়ে গেছে তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়া। চরম মানবিক সংকটে পরিবারের বাকি সদস্যদের দিন কাটছে। উপরন্তু, অডিট আপত্তির নামে তাঁদের থেকে টাকা কর্তন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডে চিনিকলের পক্ষ থেকে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম অর্থ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৮০ জন শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারী তাঁদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি বাবদ ৩৪ কোটি টাকা ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ১৭ কোটি টাকা এখনো বুঝে পাননি। এ সময় অডিট আপত্তির জন্য ফেরতদানের শর্তে সব শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কর্তন করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০০৩ সালের একটি অডিট আপত্তি দেখিয়ে তাদের থেকে ১ লাখ ৫০ হাজর টাকা আদায় করে মিল কর্তৃপক্ষ। অডিট নিষ্পত্তি হলেও কোনো টাকা এখনো ফেরত পাননি তাঁরা। এ ছাড়া তাঁদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য ১০ শতাংশ টাকা প্রদান করলেও চিনিকল কর্তৃপক্ষ সমপরিমাণ টাকা প্রদানের পরিবর্তে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ টাকা প্রদান করেন তাঁরা।
কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলু বলেন, ‘দেশের অন্য চিনিকলগুলো শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে তাদের জমার সমপরিমাণ টাকা যোগ করে। একমাত্র ব্যতিক্রম নাটোর চিনিকল। কেন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা এমনটি করেন তা কারও জানা নেই। তারা জবাবদিহি করেন না। জনপ্রতি ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম দিলে কয়েক হাজার শ্রমিকের কত টাকা লুট হয়, তা সহজেই অনুমান করা যায়। আমরা এ অবস্থার পরিত্রাণ চাই।’
সংগঠনের সভাপতি আলাউদ্দিন প্রামাণিক বলেন, ‘পাঁচটি চিনিকলের অডিটে আপত্তি জানানো হলেও কোনো চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের থেকে অডিট নিষ্পত্তির জন্য টাকা তোলা হয়নি। এমনটি হয়েছে শুধু নাটোর চিনিকলে। এ ছাড়া ওপরের দু-একটি বাদে সব পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা যখন নিয়মিত কাজ করেছি, আমরা জানি বেতন বন্ধ থাকলে জীবন থেমে যায়। অবিলম্বে সবার বকেয়া বেতন, গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রদানের দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর জানান, কোনো কর্মকর্তা বা শ্রমিক অবসরে গেলে করপোরেশনকে অবহিত করা হয়। করপোরেশন তাঁর প্রাপ্য পাওনা পরিশোধে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। কয়েকজন অবসরপ্রাপ্তের জন্য একত্রে কিছু টাকা বরাদ্দ আসে। এই টাকা সমান অনুপাতে প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আবারও টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তা পরিশোধ করা হয়। চাহিদামতো বরাদ্দ না পাওয়ায় বকেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে চলছে। আর প্রভিডেন্ট ফান্ডে পরিপত্র অনুযায়ী ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ করপোরেশনের পক্ষ থেকে যোগ করা হয়।
মাদারীপুরের সমাদ্দার এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেলসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে ঢাকা থেকে বরগুনার আমতলীতে একটি ক্লাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার গুয়াপঞ্চক এলাকায় ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে আবদুল আজিজ (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মধ্যম গুয়াপঞ্চক এলাকায় বাড়িতে শোয়ার ঘরে মারা যান তিনি।
২৬ মিনিট আগেযশোরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে বাপ্পি (২৫) নামের চালকের সহকারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে শহরের মনিহার এলাকার মনিরুদ্দিন তেল পাম্পের সামনে বাসটি দাঁড়িয়েছিল। বাসে তিনি একাই ছিলেন। বাপ্পি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে।
৪০ মিনিট আগেমাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
৩ ঘণ্টা আগে