রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার মান উন্নয়ন, রাকসু ও সিনেট কার্যকরের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বরে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশের আয়োজন করে ‘রাকসু আন্দোলন মঞ্চ’। সমাবেশে দ্রুত রাকসু নির্বাচনের দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের মানুষের পাশাপাশি অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তরুণেরা। তাদের চিন্তার জগৎ, মত প্রকাশের জগৎ, মানুষ হিসেবে তাঁদের অস্তিত্ব একটা ভয়ংকর হুমকির মুখে পড়েছে। সুতরাং এই তরুণদেরই এটার প্রতিবাদ করতে হবে। যে মানুষ নিজেকে সম্মান করে, সে অবশ্যই অন্যদের সম্মান করে। সে কখনো অন্যায়ের সামনে, অবিচারের সামনে চুপ থাকতে পারে না। আশা করি, এই আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি হবে।’
অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আজকে যদি রাকসু হয় তাহলে আমরা গুণগত মানের কতটা পরিবর্তন দেখব? কিছু পরিবর্তন হয়তো আমরা দেখব; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন কি পাব? আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাব না। কেন পাব না এই প্রশ্নটা আমাদের সবার খুঁজে বের করতে হবে। একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি আমরা এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে পারি, তাহলে আমাদের কাজটা শেষ হয়ে যাবে। তবে এটির ওপর আমরা যদি ঠিকমতো নজরদারি করতে না পারি, তাহলে সেটি কাজে দেবে না। একটা ছাত্রসংসদ ততক্ষণ কাজে আসবে, যতক্ষণ আমজনতা নজরদারি করবে।’
অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কুলজীবন থেকেই মেরে ফেলা হয়। এক বস্তা বই তাকে মুখস্থ করতে হয় কারণ তাকে ফার্স্ট হতে হবে। প্রাইমারি স্কুল থেকে তাদের এ জার্নি শুরু হয়। যার ফলে তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে, তখন তাদের মাথায় আর মগজ থাকে না। তাদের মাথাটা থাকে কাঁধের ওপরে কিন্তু তাদের মগজটা থাকে না। শিক্ষকদেরও একই অবস্থা। শিক্ষক ৫০ বছরের পুরোনো একটা নোট পড়াচ্ছেন কিন্তু সেই শিক্ষক জীবনেও দুইটা বই কেনেন না, চিন্তাভাবনা করেন না, যুক্তির কথা ভাবেন না। আর ছাত্রদের বলেন, এটা পড়ে আসতে হবে এবং আমি যেভাবে বলেছি ঠিক ওইভাবেই পড়ে আসতে হবে। কোনোভাবেই শিক্ষককে কনটেস্ট করা যাবে না। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষার চরিত্র। মুখস্থ করো এবং অনুগত থাকো।’
সমাবেশে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ খান সঞ্চালনা করেন। সংগঠনের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আর রাজী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সভাপতি নাইমুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার মান উন্নয়ন, রাকসু ও সিনেট কার্যকরের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বরে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশের আয়োজন করে ‘রাকসু আন্দোলন মঞ্চ’। সমাবেশে দ্রুত রাকসু নির্বাচনের দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের মানুষের পাশাপাশি অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তরুণেরা। তাদের চিন্তার জগৎ, মত প্রকাশের জগৎ, মানুষ হিসেবে তাঁদের অস্তিত্ব একটা ভয়ংকর হুমকির মুখে পড়েছে। সুতরাং এই তরুণদেরই এটার প্রতিবাদ করতে হবে। যে মানুষ নিজেকে সম্মান করে, সে অবশ্যই অন্যদের সম্মান করে। সে কখনো অন্যায়ের সামনে, অবিচারের সামনে চুপ থাকতে পারে না। আশা করি, এই আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরি হবে।’
অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আজকে যদি রাকসু হয় তাহলে আমরা গুণগত মানের কতটা পরিবর্তন দেখব? কিছু পরিবর্তন হয়তো আমরা দেখব; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন কি পাব? আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাব না। কেন পাব না এই প্রশ্নটা আমাদের সবার খুঁজে বের করতে হবে। একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি আমরা এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে পারি, তাহলে আমাদের কাজটা শেষ হয়ে যাবে। তবে এটির ওপর আমরা যদি ঠিকমতো নজরদারি করতে না পারি, তাহলে সেটি কাজে দেবে না। একটা ছাত্রসংসদ ততক্ষণ কাজে আসবে, যতক্ষণ আমজনতা নজরদারি করবে।’
অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কুলজীবন থেকেই মেরে ফেলা হয়। এক বস্তা বই তাকে মুখস্থ করতে হয় কারণ তাকে ফার্স্ট হতে হবে। প্রাইমারি স্কুল থেকে তাদের এ জার্নি শুরু হয়। যার ফলে তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে, তখন তাদের মাথায় আর মগজ থাকে না। তাদের মাথাটা থাকে কাঁধের ওপরে কিন্তু তাদের মগজটা থাকে না। শিক্ষকদেরও একই অবস্থা। শিক্ষক ৫০ বছরের পুরোনো একটা নোট পড়াচ্ছেন কিন্তু সেই শিক্ষক জীবনেও দুইটা বই কেনেন না, চিন্তাভাবনা করেন না, যুক্তির কথা ভাবেন না। আর ছাত্রদের বলেন, এটা পড়ে আসতে হবে এবং আমি যেভাবে বলেছি ঠিক ওইভাবেই পড়ে আসতে হবে। কোনোভাবেই শিক্ষককে কনটেস্ট করা যাবে না। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষার চরিত্র। মুখস্থ করো এবং অনুগত থাকো।’
সমাবেশে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ খান সঞ্চালনা করেন। সংগঠনের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আর রাজী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সভাপতি নাইমুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গত মাসে দুই জাহাজে আগুনের পেছনে কোনো নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জাহাজ দুটির ক্রুদের অদক্ষতা, অবহেলা ও যথাযথ প্রস্তুতির অভাবের কথা উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।
৩ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কালের কণ্ঠের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখকে মারধর করার অভিযোগে শাখা ছাত্রদল থেকে মাশফিকুল রাইনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে
৩ মিনিট আগেমুক্তির দাবিতে খুলনা জেলা কারাগারে অনশনরত দুই জঙ্গির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আট দিন ধরে কারা হাসপাতালে রেখে স্যালাইনের মাধ্যমে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগেনরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই বংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হাতবোমা (ককটেল) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে ১৬ জন আহত হন। গতকাল সোমবার উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ বাধে।
১৩ মিনিট আগে