গণেশ দাস, বগুড়া
গমের সংকটের কারণে বগুড়ায় ১০টি আটা-ময়দার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বাকি মিলগুলো চালু রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি আটা-ময়দা ও ভুসির বাজারে। সাত দিনের ব্যবধানে ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা এবং আটার দাম ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহর এবং শহরতলি, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া, তালোড়া, সান্তাহার, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি আটা-ময়দার মিল রয়েছে। এসব মিলে গড়ে প্রতিদিন গমের চাহিদা ৩ হাজার টন। কিন্তু বর্তমানে ১ হাজার টন গমও জোগাড় করতে পারছেন না মিলের মালিকেরা। এসব মিল থেকে উৎপাদিত আটা ও ময়দা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া আটা-ময়দা উৎপাদনের উপজাত হিসেবে যে ২২ শতাংশ ভুসি পাওয়া যায়, সেটি স্থানীয় গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়।
মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু রেখেছেন।
এদিকে গমের আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে গমের ভুসি আমদানি চলছে। এতে মিলাররা আরও বিপাকে পড়েছেন। বগুড়ার মিলগুলোতে আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন ভারত থেকে আমদানি করা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। তাই স্থানীয় মিলের ভুসি কেউ কিনছেন না।
বগুড়া শহরের সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক বিজয় বিহানী বলেন, ‘আমার মিলে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টন গম দরকার। কোথাও গম পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা ভারতের গম। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ১০০ টন গম আমদানি করেছি। কিন্তু গমে পচন ধরায় ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গম না থাকায় ১০ দিন হলো মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে।’
বগুড়ার রাহুল গ্রুপের চেয়ারম্যান রণজিৎ পালিত বলেন, ‘রাহুল গ্রুপের আটা-ময়দা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে। আগে আমাদের মিলে দৈনিক গমের চাহিদা ছিল ২০০ টন। এখন মাসে ২০০ টন গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করতে হচ্ছে। বাজার এবং কর্মী ধরে রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে এখন মিল চালু রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিল বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
একই অবস্থা বগুড়া ফ্লাওয়ার মিলেরও। মিলটির মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার মিলে প্রতিদিন গমের চাহিদা রয়েছে ১৬০ টন। সেখানে গম ভাঙানো হচ্ছে মাসে ১০০ থেকে ২০০ টন। ভারত থেকে গম আমদানি করা গেলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি গম ৫০ টাকায় কেনা পড়ে। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। গমের সংকটের কারণে বগুড়ার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মিল আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে বগুড়া শহর এবং শহরের আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। প্যাকেটে প্রতি কেজি লাল আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খোলা লাল আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্যাকেটে সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং খোলা সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট ৭০ টাকায় এবং খোলা ময়দা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে গমের সংকট রয়েছে। বগুড়ায় যে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। গমের সংকটের কারণেই হয়তো তাঁরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারিভাবে খোলাবাজারে আটা বিক্রি অব্যাহত আছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বগুড়ার ছয়টি মিল চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সেই মিলগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০০ টন গম থেকে আটা তৈরি করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’
গমের সংকটের কারণে বগুড়ায় ১০টি আটা-ময়দার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে বাকি মিলগুলো চালু রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি আটা-ময়দা ও ভুসির বাজারে। সাত দিনের ব্যবধানে ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা এবং আটার দাম ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহর এবং শহরতলি, শেরপুর, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া, তালোড়া, সান্তাহার, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি আটা-ময়দার মিল রয়েছে। এসব মিলে গড়ে প্রতিদিন গমের চাহিদা ৩ হাজার টন। কিন্তু বর্তমানে ১ হাজার টন গমও জোগাড় করতে পারছেন না মিলের মালিকেরা। এসব মিল থেকে উৎপাদিত আটা ও ময়দা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া আটা-ময়দা উৎপাদনের উপজাত হিসেবে যে ২২ শতাংশ ভুসি পাওয়া যায়, সেটি স্থানীয় গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়।
মিলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় অনেক কম গম পাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ভারত থেকে গম আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। তা-ও চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিক-কর্মচারী ও বাজার ধরে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে কয়েকজন মালিক মিল চালু রেখেছেন।
এদিকে গমের আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে গমের ভুসি আমদানি চলছে। এতে মিলাররা আরও বিপাকে পড়েছেন। বগুড়ার মিলগুলোতে আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন ভারত থেকে আমদানি করা ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। তাই স্থানীয় মিলের ভুসি কেউ কিনছেন না।
বগুড়া শহরের সোনালী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক বিজয় বিহানী বলেন, ‘আমার মিলে প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ টন গম দরকার। কোথাও গম পাওয়া যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা ভারতের গম। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ১০০ টন গম আমদানি করেছি। কিন্তু গমে পচন ধরায় ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গম না থাকায় ১০ দিন হলো মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে।’
বগুড়ার রাহুল গ্রুপের চেয়ারম্যান রণজিৎ পালিত বলেন, ‘রাহুল গ্রুপের আটা-ময়দা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে। আগে আমাদের মিলে দৈনিক গমের চাহিদা ছিল ২০০ টন। এখন মাসে ২০০ টন গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করতে হচ্ছে। বাজার এবং কর্মী ধরে রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়ে এখন মিল চালু রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিল বন্ধ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
একই অবস্থা বগুড়া ফ্লাওয়ার মিলেরও। মিলটির মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার মিলে প্রতিদিন গমের চাহিদা রয়েছে ১৬০ টন। সেখানে গম ভাঙানো হচ্ছে মাসে ১০০ থেকে ২০০ টন। ভারত থেকে গম আমদানি করা গেলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি গম ৫০ টাকায় কেনা পড়ে। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। গমের সংকটের কারণে বগুড়ার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মিল আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এদিকে বগুড়া শহর এবং শহরের আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিপ্রতি আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। প্যাকেটে প্রতি কেজি লাল আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খোলা লাল আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্যাকেটে সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং খোলা সাদা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্যাকেট ৭০ টাকায় এবং খোলা ময়দা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে গমের সংকট রয়েছে। বগুড়ায় যে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। গমের সংকটের কারণেই হয়তো তাঁরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারিভাবে খোলাবাজারে আটা বিক্রি অব্যাহত আছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বগুড়ার ছয়টি মিল চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। সেই মিলগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০০ টন গম থেকে আটা তৈরি করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী শহরের পিটিআই এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও শিশুকে নির্যাতন এবং বাসার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি)।
১ ঘণ্টা আগেচার বছর ধরে প্রকল্প নেওয়া হলেও পরিবহনমালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্যে আজ পর্যন্ত সফলতা আসেনি বাস রুট রেশনালাইজেশনের। ২০১৬ সালে প্রথম চিন্তা করা হয় ঢাকার বাসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতায় আনার। ২০১৮ সালে কমিটি করা হয়, আর ২০২১ সালে চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ
২ ঘণ্টা আগেবাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালু হয়েছে বিনা লাভের সবজি বাজার। গণঅভূথ্যানের ১০০ তম দিন পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
২ ঘণ্টা আগে