বগুড়া প্রতিনিধি
প্রায় ৪০ বছর আগে কাজের সন্ধানে বাংলাদেশে আসেন নেপালি নাগরিক বীর কা বাহাদুর রায়। এরপর আর ফিরে যেতে পারেননি দেশে। ঠিকানা বিহীন ঘোরাফেরায় এক সময় থিতু হন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চাতালে। সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন কখনোবা আবার হোটেল শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ৭০ বছর বয়সী বাহাদুর বার্ধক্যজনিত কারণে কাজ করতে পারেন না। অন্যের করুণায় দিন কাটে তাঁর—এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হন স্থানীয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার নেপাল দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাবান্ধা সীমান্ত হয়ে নিজ দেশে ফিরে যান বাহাদুর রায়।
দীর্ঘদিন দুপচাঁচিয়ায় অবস্থান করা বাহাদুর যখন এলাকা ছাড়েন সে সময় এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের তৈরি হয়। একদিকে তাঁকে বিদায় দেওয়ার বেদনা, অন্যদিকে স্বজনদের কাছে তিনি ফিরতে পারছেন সেই আনন্দের মিশ্রণ দেখা দেয় এলাকাবাসীর মধ্যে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরতে গিয়ে মন খারাপ করেন বাহাদুর। তিনি আবার ফিরে আসবেন বলে জানান স্থানীয়দের। তবে ভিনদেশি এ অতিথি খালি হাতে ফেরেননি। সঙ্গে নিয়ে গেছেন এলাকাবাসীর ভালোবাসা।
যে চাতালে তিনি আশ্রয় নিয়ে ছিলেন সেই চাতাল মালিক অলোক কুমার বসাক ও পুলক কুমার বসাক এবং তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণকারী স্থানীয় ফার্মেসি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান খান ফরেন এই তিনজন তার হাতে তুলে দেন নগদ ৭৫ হাজার টাকা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুপচাঁচিয়ায় গিয়ে বাহাদুরকে দেশে ফেরানোর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি উজানা বামজান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ললিতা শিলওয়াল ও একই দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডরের সেক্রেটারি রিয়া ছৈত্রী। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ছিলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি ও দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার।
আজ সকাল ৯টার দিকে বগুড়া সার্কিট হাউস থেকে বাহাদুরকে নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাবান্ধা সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
নেপাল দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডরের সেক্রেটারি রিয়া ছৈত্রী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাহাদুরের আটকে পড়ার খবর নজরে এলে উপজেলা প্রশাসন থেকে দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। ওই খবরে যে এলাকার কথা বলা হচ্ছিল তা পূর্ণাঙ্গ ছিল না। তারপরও নেপাল সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। ওই জায়গার নামের সঙ্গে মিল খুঁজে বের করা হয় বাহাদুরের নিজ জন্মস্থান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত বাংলাবান্ধার সন্নিকটে নেপালের হিলাম নামের এক জেলা আছে। সেই জেলায় গোরখা বাঙ্গানা নামে একটি বাজারের সন্ধান মেলে। এরপর সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় তার বড়ভাইয়ের স্ত্রীকে (ভাবি)। তিনি ছবি দেখে নিশ্চিত করেন এই বীর কা বাহাদুর-ই তাঁর দেবর। বহুদিন আগে যিনি কাজের সন্ধানে বেরিয়ে আর ফেরেননি। এরই মাঝে তার বড়ভাইও মারা গেছেন। বাড়ির অন্য সদস্যদের বাহাদুরের কথা তেমন মনে নেই।
পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার পর তাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান দূতাবাসের এই অ্যাম্বাসেডর।
তাঁকে ফিরিয়ে নিতে আসা নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি উজানা বামজান বলেন, ‘বাহাদুর রায় বাংলাদেশে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন। এখন তিনি নেপালে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। নেপাল সরকারের উদ্যোগে তাকে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তে তার পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে গ্রহণ করবেন।’
দুপচাঁচিয়া ইউএনও জান্নাত আরা তিথি বলেন, ‘বাহাদুর রায় নেপালে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি আবেদন করলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নেপাল দূতাবাস থেকে সেকেন্ড সেক্রেটারিসহ একটি প্রতিনিধি তাঁকে নেওয়ার জন্য আসেন।’
এদিকে দেশে ফেরার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বাহাদুর রায় বলেন, ‘ওরা বলল আমি নেপালে গিয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করে আবার ফিরে আসব। এখান থেকে যেতে ভালো লাগছে না। নেপালে তো আমার কিছুই নেই। আমি আবার কয়দিন পর এখানে চলে আসব।’
প্রায় ৪০ বছর আগে কাজের সন্ধানে বাংলাদেশে আসেন নেপালি নাগরিক বীর কা বাহাদুর রায়। এরপর আর ফিরে যেতে পারেননি দেশে। ঠিকানা বিহীন ঘোরাফেরায় এক সময় থিতু হন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চাতালে। সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন কখনোবা আবার হোটেল শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ৭০ বছর বয়সী বাহাদুর বার্ধক্যজনিত কারণে কাজ করতে পারেন না। অন্যের করুণায় দিন কাটে তাঁর—এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হন স্থানীয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার নেপাল দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাবান্ধা সীমান্ত হয়ে নিজ দেশে ফিরে যান বাহাদুর রায়।
দীর্ঘদিন দুপচাঁচিয়ায় অবস্থান করা বাহাদুর যখন এলাকা ছাড়েন সে সময় এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের তৈরি হয়। একদিকে তাঁকে বিদায় দেওয়ার বেদনা, অন্যদিকে স্বজনদের কাছে তিনি ফিরতে পারছেন সেই আনন্দের মিশ্রণ দেখা দেয় এলাকাবাসীর মধ্যে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরতে গিয়ে মন খারাপ করেন বাহাদুর। তিনি আবার ফিরে আসবেন বলে জানান স্থানীয়দের। তবে ভিনদেশি এ অতিথি খালি হাতে ফেরেননি। সঙ্গে নিয়ে গেছেন এলাকাবাসীর ভালোবাসা।
যে চাতালে তিনি আশ্রয় নিয়ে ছিলেন সেই চাতাল মালিক অলোক কুমার বসাক ও পুলক কুমার বসাক এবং তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণকারী স্থানীয় ফার্মেসি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান খান ফরেন এই তিনজন তার হাতে তুলে দেন নগদ ৭৫ হাজার টাকা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুপচাঁচিয়ায় গিয়ে বাহাদুরকে দেশে ফেরানোর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি উজানা বামজান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ললিতা শিলওয়াল ও একই দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডরের সেক্রেটারি রিয়া ছৈত্রী। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ছিলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি ও দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার।
আজ সকাল ৯টার দিকে বগুড়া সার্কিট হাউস থেকে বাহাদুরকে নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাবান্ধা সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
নেপাল দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডরের সেক্রেটারি রিয়া ছৈত্রী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাহাদুরের আটকে পড়ার খবর নজরে এলে উপজেলা প্রশাসন থেকে দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। ওই খবরে যে এলাকার কথা বলা হচ্ছিল তা পূর্ণাঙ্গ ছিল না। তারপরও নেপাল সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। ওই জায়গার নামের সঙ্গে মিল খুঁজে বের করা হয় বাহাদুরের নিজ জন্মস্থান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত বাংলাবান্ধার সন্নিকটে নেপালের হিলাম নামের এক জেলা আছে। সেই জেলায় গোরখা বাঙ্গানা নামে একটি বাজারের সন্ধান মেলে। এরপর সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় তার বড়ভাইয়ের স্ত্রীকে (ভাবি)। তিনি ছবি দেখে নিশ্চিত করেন এই বীর কা বাহাদুর-ই তাঁর দেবর। বহুদিন আগে যিনি কাজের সন্ধানে বেরিয়ে আর ফেরেননি। এরই মাঝে তার বড়ভাইও মারা গেছেন। বাড়ির অন্য সদস্যদের বাহাদুরের কথা তেমন মনে নেই।
পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার পর তাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান দূতাবাসের এই অ্যাম্বাসেডর।
তাঁকে ফিরিয়ে নিতে আসা নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি উজানা বামজান বলেন, ‘বাহাদুর রায় বাংলাদেশে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন। এখন তিনি নেপালে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। নেপাল সরকারের উদ্যোগে তাকে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তে তার পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে গ্রহণ করবেন।’
দুপচাঁচিয়া ইউএনও জান্নাত আরা তিথি বলেন, ‘বাহাদুর রায় নেপালে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি আবেদন করলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নেপাল দূতাবাস থেকে সেকেন্ড সেক্রেটারিসহ একটি প্রতিনিধি তাঁকে নেওয়ার জন্য আসেন।’
এদিকে দেশে ফেরার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বাহাদুর রায় বলেন, ‘ওরা বলল আমি নেপালে গিয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করে আবার ফিরে আসব। এখান থেকে যেতে ভালো লাগছে না। নেপালে তো আমার কিছুই নেই। আমি আবার কয়দিন পর এখানে চলে আসব।’
পাবনায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পদ্মাকোল খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার সকালে পৌর এলাকার সাধুপাড়া ব্রিজের নিচে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম।
২ মিনিট আগেময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া সাইদুর রহমান রয়েল (৪৫) নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার পৌর এলাকার নিজ বাসার দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৫ মিনিট আগেইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাসেম আলীসহ জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম-নির্যাতনের সর্বোচ্চ স্টিম রোলার চালানো হয়েছে ইসলা
২০ মিনিট আগেকক্সবাজারের চকরিয়ায় অবৈধ বালু পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক জব্দ করেছে বন বিভাগ। আজ শনিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ডুলাহাজারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।
২৫ মিনিট আগে