প্রতিনিধি, বগুড়া
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম না পাওয়ায় বগুড়ায় অন্তত ১০ হাজার পশুর চামড়া ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে। এই চামড়াগুলোর বেশির ভাগই ছাগল এবং ভেড়ার। তবে এর মধ্যে গরুর চামড়ার অংশবিশেষও চোখে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবহনের চেয়ে বিক্রয়মূল্য কম হওয়ার শঙ্কায় চামড়াগুলো নষ্ট করা হয়েছে। আর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, কেবল নিম্নমানের নষ্ট এবং বাতিল চামড়াই ফেলে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অদূরে বাঘোপাড়া এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে পড়ে আছে কোরবানির পশুর হাজার হাজার চামড়া। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া হলেও দু-একটা গরুর চামড়ার অংশবিশেষও চোখে পড়ে। ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ট্রাক বোঝাই করে পশুর বর্জ্য এবং চামড়া এখানে ফেলা হয়।
বগুড়া সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্যবাহী ট্রাক চালক আসাদুল ইসলাম বলেন, চার নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা বেকারী, রানার সিটিসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে হাজারেরও বেশি পশুর চামড়া তার গাড়িতে তোলা হয়। এগুলো ছিল পচা, দুর্গন্ধময়। তবে এগুলো ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। আসাদুল জানান, তাঁর মতো আরও ৬টি গাড়িতে (ট্রাক) করে শহরের বর্জ্য ফেলা হয়েছে ভাগাড়ে। এসব গাড়িতে ৫ হাজারের বেশি পশুর চামড়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা অন্তত ১০ হাজার পশুর চামড়া বাঘোপাড়ার ঐ ভাগাড়ে ফেলেছেন। তাঁদের কথার সত্যতা মেলে ব্যবসায়ী বজলুর রহমানের বক্তব্যে। তিনি জানান, এবার বগুড়ায় গরুর চেয়ে বেশি ছাগল কোরবানি হয়েছে। বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ২০ হাজারের বেশি ছাগল এবং ভেড়া কোরবানি হয় যার অর্ধেক চামড়াই ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কম এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা কিছু বাছাই করা চামড়া রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক, দোকান, হাট-বাজারের পাশে ছাগলের চামড়ার স্তূপ দেখা যায়। এর পাশাপাশি গরু-ছাগলের কানসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত অংশের স্তূপও দেখা যায়। চামড়াগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার গাড়িতে করে পশুর চামড়াসহ বর্জ্যগুলো তুলে নিতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ছাগলের চামড়ার প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ তুলনামূলক বেশি। খুব উন্নত মানের লবণ দিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ছাগলের একটি চামড়ায় ৩৫-৩৮ টাকার লবণ ছিটাতে হয়। এর সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ। কিন্তু চামড়ার দাম ৮ থেকে ৩০ টাকা। ছাগলের চামড়া ছাড়াতে গিয়ে চাকুর আঘাতে কোথাও ফুটো হয়ে গেলে সেটাকে বাতিল ধরা হয়। এ ধরনের চামড়ায় ট্যানারি মালিকেরা খুব বেশি টাকা দেন না।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, 'এবার চামড়ার দাম এতই কম যে তা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য যে পরিমাণ লবণ দরকার সেটাই কেনা সম্ভব নয়। এ ছাড়া পরিবহনের একটা খরচ আছে। তাই বাছাই করা কিছু চামড়া রেখে বাকিগুলো ফেলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষত ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি জানান, বগুড়ায় ৫ জন ব্যবসায়ী আছেন। প্রত্যেকে ৫-৭ হাজার করে চামড়া কেনেন। এসব চামড়ায় ত্রুটি থাকায় এবার অন্তত ১০ হাজার ছাগলের চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বজলুর রহমান।
চামড়া ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত গরমে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকভাবে লবণ ছিটাতে না পারার জন্যও কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। অদক্ষ লোকের মাধ্যমে কোরবানিতে পশুর চামড়া ছোলা হয় বলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চামড়া কেটে যায়, চামড়ার স্তর না বোঝায় মানও খারাপ হয়। এসব চামড়া ট্যানারিতে নেয় ৮ টাকায়। কিন্তু এ একটি চামড়ার লবণ ছিটাতে হয় ৩৫-৩৮ টাকার।
এদিকে ব্যবসায়ীরা চামড়া না কেনায় বিপাকে ছিলেন পশু কোরবানিদাতারা। নামমাত্র দামে গরুর চামড়া বিক্রি করলেও ছাগলের চামড়া থাকে অবিক্রীত। ক্রেতা না পাওয়ায় তাঁরা পশুর চামড়া সরাসরি দান করে দিয়েছেন স্থানীয় মাদ্রাসা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং এ।
বগুড়ার শহরের জাহাঙ্গীরাবাদ ফুলতলা এলাকার আরিফ তালুকদার। তাঁরা এবার ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কিনেছিলেন। গরুর চামড়া নিয়ে বিকেলে পর্যন্ত বসে থেকেও কোনো ক্রেতার দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় মাদ্রাসায় চামড়াটি দান করেন। একই এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবিব সেতু। তিনি কোরবানির জন্য ছাগল (খাসি) কিনেছিলেন। তবে ক্রেতা না থাকায় তিনিও স্থানীয় মাদ্রাসায় খাসির চামড়া দান করেছেন।
এদিকে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। যা গত বছর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর যা ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা। এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। যা গত বছর ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও চামড়ার দাম মেলেনি।
চামড়া বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকার গরু চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তারা বলছেন, ২৫-৩০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিচের ১৪ থেকে ২০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কিনেছেন ব্যবসায়ীরা
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ। তিনি এবার ১০০ গরুর চামড়া ও ১ হাজার ৫০০ খাসির চামড়া কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘সকালের দিকে চামড়ার দাম একটু বেশি থাকলেও, বিকেলে একদমই কমে যায়। আড়তদারদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামেই চামড়া কিনেছি। তবে আড়তে চামড়ার আমদানি অনেক বেশি বলে এখন দাম কম বলা হচ্ছে। এখন এ নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
এদিকে আড়তদার ও চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন চামড়ার দাম এবার ভালো ছিল। অনেকে ক্রেতা না পেয়ে চামড়া দান করেছেন এবং চামড়া ফেলে দিয়েছেন এ বিষয়টি মানতে নারাজ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চামড়ার আড়তদার আব্দুল মতিন বলেন, যে চামড়াগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো মূলত বাতিল চামড়া। নিম্নমানের চামড়াগুলো লবণজাত করার খরচ বেশি এবং ট্যানারিতে এর চাহিদা কম থাকায় সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার ভাষ্য, শহরের দু-এক জায়গায় ৩০-৪০টি ছাগল-ভেড়ার চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর ট্রাকে করে ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে পশুর কান, মাথার চামড়াসহ পরিত্যক্ত চামড়া এবং বর্জ্য।
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম না পাওয়ায় বগুড়ায় অন্তত ১০ হাজার পশুর চামড়া ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে। এই চামড়াগুলোর বেশির ভাগই ছাগল এবং ভেড়ার। তবে এর মধ্যে গরুর চামড়ার অংশবিশেষও চোখে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবহনের চেয়ে বিক্রয়মূল্য কম হওয়ার শঙ্কায় চামড়াগুলো নষ্ট করা হয়েছে। আর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, কেবল নিম্নমানের নষ্ট এবং বাতিল চামড়াই ফেলে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অদূরে বাঘোপাড়া এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে পড়ে আছে কোরবানির পশুর হাজার হাজার চামড়া। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া হলেও দু-একটা গরুর চামড়ার অংশবিশেষও চোখে পড়ে। ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ট্রাক বোঝাই করে পশুর বর্জ্য এবং চামড়া এখানে ফেলা হয়।
বগুড়া সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্যবাহী ট্রাক চালক আসাদুল ইসলাম বলেন, চার নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা বেকারী, রানার সিটিসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে হাজারেরও বেশি পশুর চামড়া তার গাড়িতে তোলা হয়। এগুলো ছিল পচা, দুর্গন্ধময়। তবে এগুলো ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। আসাদুল জানান, তাঁর মতো আরও ৬টি গাড়িতে (ট্রাক) করে শহরের বর্জ্য ফেলা হয়েছে ভাগাড়ে। এসব গাড়িতে ৫ হাজারের বেশি পশুর চামড়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা অন্তত ১০ হাজার পশুর চামড়া বাঘোপাড়ার ঐ ভাগাড়ে ফেলেছেন। তাঁদের কথার সত্যতা মেলে ব্যবসায়ী বজলুর রহমানের বক্তব্যে। তিনি জানান, এবার বগুড়ায় গরুর চেয়ে বেশি ছাগল কোরবানি হয়েছে। বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ২০ হাজারের বেশি ছাগল এবং ভেড়া কোরবানি হয় যার অর্ধেক চামড়াই ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কম এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা কিছু বাছাই করা চামড়া রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক, দোকান, হাট-বাজারের পাশে ছাগলের চামড়ার স্তূপ দেখা যায়। এর পাশাপাশি গরু-ছাগলের কানসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত অংশের স্তূপও দেখা যায়। চামড়াগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার গাড়িতে করে পশুর চামড়াসহ বর্জ্যগুলো তুলে নিতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ছাগলের চামড়ার প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ তুলনামূলক বেশি। খুব উন্নত মানের লবণ দিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ছাগলের একটি চামড়ায় ৩৫-৩৮ টাকার লবণ ছিটাতে হয়। এর সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ। কিন্তু চামড়ার দাম ৮ থেকে ৩০ টাকা। ছাগলের চামড়া ছাড়াতে গিয়ে চাকুর আঘাতে কোথাও ফুটো হয়ে গেলে সেটাকে বাতিল ধরা হয়। এ ধরনের চামড়ায় ট্যানারি মালিকেরা খুব বেশি টাকা দেন না।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, 'এবার চামড়ার দাম এতই কম যে তা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য যে পরিমাণ লবণ দরকার সেটাই কেনা সম্ভব নয়। এ ছাড়া পরিবহনের একটা খরচ আছে। তাই বাছাই করা কিছু চামড়া রেখে বাকিগুলো ফেলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষত ছাগল এবং ভেড়ার চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি জানান, বগুড়ায় ৫ জন ব্যবসায়ী আছেন। প্রত্যেকে ৫-৭ হাজার করে চামড়া কেনেন। এসব চামড়ায় ত্রুটি থাকায় এবার অন্তত ১০ হাজার ছাগলের চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বজলুর রহমান।
চামড়া ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত গরমে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকভাবে লবণ ছিটাতে না পারার জন্যও কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। অদক্ষ লোকের মাধ্যমে কোরবানিতে পশুর চামড়া ছোলা হয় বলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চামড়া কেটে যায়, চামড়ার স্তর না বোঝায় মানও খারাপ হয়। এসব চামড়া ট্যানারিতে নেয় ৮ টাকায়। কিন্তু এ একটি চামড়ার লবণ ছিটাতে হয় ৩৫-৩৮ টাকার।
এদিকে ব্যবসায়ীরা চামড়া না কেনায় বিপাকে ছিলেন পশু কোরবানিদাতারা। নামমাত্র দামে গরুর চামড়া বিক্রি করলেও ছাগলের চামড়া থাকে অবিক্রীত। ক্রেতা না পাওয়ায় তাঁরা পশুর চামড়া সরাসরি দান করে দিয়েছেন স্থানীয় মাদ্রাসা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং এ।
বগুড়ার শহরের জাহাঙ্গীরাবাদ ফুলতলা এলাকার আরিফ তালুকদার। তাঁরা এবার ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কিনেছিলেন। গরুর চামড়া নিয়ে বিকেলে পর্যন্ত বসে থেকেও কোনো ক্রেতার দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় মাদ্রাসায় চামড়াটি দান করেন। একই এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবিব সেতু। তিনি কোরবানির জন্য ছাগল (খাসি) কিনেছিলেন। তবে ক্রেতা না থাকায় তিনিও স্থানীয় মাদ্রাসায় খাসির চামড়া দান করেছেন।
এদিকে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। যা গত বছর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর যা ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা। এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। যা গত বছর ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও চামড়ার দাম মেলেনি।
চামড়া বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকার গরু চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তারা বলছেন, ২৫-৩০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিচের ১৪ থেকে ২০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কিনেছেন ব্যবসায়ীরা
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ। তিনি এবার ১০০ গরুর চামড়া ও ১ হাজার ৫০০ খাসির চামড়া কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘সকালের দিকে চামড়ার দাম একটু বেশি থাকলেও, বিকেলে একদমই কমে যায়। আড়তদারদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামেই চামড়া কিনেছি। তবে আড়তে চামড়ার আমদানি অনেক বেশি বলে এখন দাম কম বলা হচ্ছে। এখন এ নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
এদিকে আড়তদার ও চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন চামড়ার দাম এবার ভালো ছিল। অনেকে ক্রেতা না পেয়ে চামড়া দান করেছেন এবং চামড়া ফেলে দিয়েছেন এ বিষয়টি মানতে নারাজ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চামড়ার আড়তদার আব্দুল মতিন বলেন, যে চামড়াগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো মূলত বাতিল চামড়া। নিম্নমানের চামড়াগুলো লবণজাত করার খরচ বেশি এবং ট্যানারিতে এর চাহিদা কম থাকায় সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার ভাষ্য, শহরের দু-এক জায়গায় ৩০-৪০টি ছাগল-ভেড়ার চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর ট্রাকে করে ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে পশুর কান, মাথার চামড়াসহ পরিত্যক্ত চামড়া এবং বর্জ্য।
কক্সবাজারের উখিয়া নাফ নদ থেকে অপহৃত পাঁচ জেলের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত এলাকার থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার জিয়া সেতুতে ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অবরোধ করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে ওই লাশটি নারী না পুরুষের তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ১০ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সুমাইয়া (১০) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সে ৬ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে