দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কোরবানির পশুর হাটে আলোচনায় রয়েছে দুর্গাপুরের সুসং রাজা ও যুবরাজ। যার মধ্যে যুবরাজের ওজন ৩৫ মন ও সুসং রাজার ওজন ৩২ মন। স্থানীয়দের ধারণা এবার ঈদের বাজার কাঁপাবে এই গরু দুটি।
উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের চন্ডিগড় গ্রামের কৃষক আজিজুল হক প্রায় ৩ বছর নিজের দুই সন্তানের পাশাপাশি তৃতীয় সন্তানের মতো লালন-পালন করে বাছুর থেকে বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরুতে পরিণত করেছেন। কৃষক আজিজুল শখ করে তার নাম রেখেছেন যুবরাজ। বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টির খ্যাতি এখন উপজেলাতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে জেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত। ১০ লাখ টাকার উপড়ে দাম পেলে তিনি এই এটি বিক্রি করবেন বলে জানান।
যুবরাজের বর্তমান ওজন ৩৫ মন। এবারের ঈদে ভালো দামে গরুটি বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন আজিজুল। দৈনিক আট থেকে ১০ কেজি ভুসি, এক-দেড় কেজি চালের কুড়া, আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এক-দুই হালি কলা, ইসবগুল, খৈলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দেন তৃতীয় সন্তান হিসেবে স্থান পাওয়া যুবরাজটিকে। এসব খাবারের পেছনে আজিজুলের প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ হয়। নিজ সন্তানের মতো ভালোবেসে খরচও করেন তিনি।
একই ইউনিয়নের কেরনখলা গ্রামের কৃষক মোস্তফা দুই বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে বড় করেছেন। সুউচ্চ হওয়ায় আদর করে ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন সুসং রাজা। সুঠাম দেহের অধিকারী সুউচ্চ এই ষাঁড়টির ওজন ৩২ মন। সুসং রাজার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে ভুট্টা, খড়-ঘাস, গমের ভুসি, ছোলাবুট, ধানের কুড়া, ও মালটা, পেয়ারা, কলা। এবার কোরবানির হাটে ষাঁড়টি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোস্তফা। তিনি ষাঁড়টির দাম চাচ্ছেন ১৩ লাখ টাকা তবে ন্যায্য মূল্যে পেলে তিনি বিক্রয় করবেন। প্রতিদিন উৎসুক মানুষ সুসং রাজা ও যুবরাজকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মালিকদের বাড়িতে।
সুসং রাজার মালিক মোস্তফা বলেন, ‘অনেক শখ করে দুই বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন করে বড় করেছি। আমি বাড়ি না থাকলে পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখাশোনা করেছে। খাবারের জন্য প্রতিদিন সুসং রাজার জন্য এক হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। ঈদ বাজারে আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারব। আমার ইচ্ছা সুসং রাজাকে বিক্রি করে এলাকার চারটি মসজিদে ফ্যান ও বন্যাদুর্গতের পাশে দাঁড়াব।’
যুবরাজের মালিক কৃষক আজিজুল হক বলেন, ‘প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই গরুটি বড় করে তুলেছি। এখন গরুটি ৩৫ মন ওজনের হয়ে গেছে। এবারের কোরবানির ঈদে প্রস্তুতি নিয়েছি গরুটি বিক্রি করার। গরুটি লালন-পালন করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। খুব আদর যত্ন করে পালন করেছি। পাশাপাশি পরিবারের প্রতিটি সদস্য এটার প্রতি যত্ন নিয়েছে। কোরবানি ঈদে আমি উপযুক্ত দাম পেলে যুবরাজকে বিক্রয় করব।’
যুবরাজকে দেখতে আসা রশিদ বলেন, দুর্গাপুর উপজেলায় যুবরাজের মতো এত বড় গরু আমি আগে কখনো দেখেনি। দেখতেও অনেক সুন্দর যুবরাজ। এ যুবরাজ কোরবানির হাট কাঁপাবে।
কেরনখলা গ্রামের মাসুদ বলেন, মোস্তফা অনেক কষ্ট করে এই সুসং রাজাকে লালন পালন করেছেন। এটি খুব শান্ত প্রকৃতির। মোস্তফার পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সুসং রাজার প্রতি খেয়াল রেখেছে। এলাকাবাসী হিসেবে আমাদের দাবি মোস্তফা যেন কোরবানির হাটে সুসং রাজার ন্যায্য মূল্য পায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ স্বাভাবিক খাবার দিয়ে গরু দুটিকে বড় করা হয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রায় সময় খোঁজখবর নিয়েছি। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে বা পরামর্শ লাগলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কোরবানির পশুর হাটে আলোচনায় রয়েছে দুর্গাপুরের সুসং রাজা ও যুবরাজ। যার মধ্যে যুবরাজের ওজন ৩৫ মন ও সুসং রাজার ওজন ৩২ মন। স্থানীয়দের ধারণা এবার ঈদের বাজার কাঁপাবে এই গরু দুটি।
উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের চন্ডিগড় গ্রামের কৃষক আজিজুল হক প্রায় ৩ বছর নিজের দুই সন্তানের পাশাপাশি তৃতীয় সন্তানের মতো লালন-পালন করে বাছুর থেকে বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরুতে পরিণত করেছেন। কৃষক আজিজুল শখ করে তার নাম রেখেছেন যুবরাজ। বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টির খ্যাতি এখন উপজেলাতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর নাম ছড়িয়ে পড়েছে জেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত। ১০ লাখ টাকার উপড়ে দাম পেলে তিনি এই এটি বিক্রি করবেন বলে জানান।
যুবরাজের বর্তমান ওজন ৩৫ মন। এবারের ঈদে ভালো দামে গরুটি বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন আজিজুল। দৈনিক আট থেকে ১০ কেজি ভুসি, এক-দেড় কেজি চালের কুড়া, আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এক-দুই হালি কলা, ইসবগুল, খৈলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দেন তৃতীয় সন্তান হিসেবে স্থান পাওয়া যুবরাজটিকে। এসব খাবারের পেছনে আজিজুলের প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ হয়। নিজ সন্তানের মতো ভালোবেসে খরচও করেন তিনি।
একই ইউনিয়নের কেরনখলা গ্রামের কৃষক মোস্তফা দুই বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে বড় করেছেন। সুউচ্চ হওয়ায় আদর করে ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন সুসং রাজা। সুঠাম দেহের অধিকারী সুউচ্চ এই ষাঁড়টির ওজন ৩২ মন। সুসং রাজার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে ভুট্টা, খড়-ঘাস, গমের ভুসি, ছোলাবুট, ধানের কুড়া, ও মালটা, পেয়ারা, কলা। এবার কোরবানির হাটে ষাঁড়টি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোস্তফা। তিনি ষাঁড়টির দাম চাচ্ছেন ১৩ লাখ টাকা তবে ন্যায্য মূল্যে পেলে তিনি বিক্রয় করবেন। প্রতিদিন উৎসুক মানুষ সুসং রাজা ও যুবরাজকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মালিকদের বাড়িতে।
সুসং রাজার মালিক মোস্তফা বলেন, ‘অনেক শখ করে দুই বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন করে বড় করেছি। আমি বাড়ি না থাকলে পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখাশোনা করেছে। খাবারের জন্য প্রতিদিন সুসং রাজার জন্য এক হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। ঈদ বাজারে আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারব। আমার ইচ্ছা সুসং রাজাকে বিক্রি করে এলাকার চারটি মসজিদে ফ্যান ও বন্যাদুর্গতের পাশে দাঁড়াব।’
যুবরাজের মালিক কৃষক আজিজুল হক বলেন, ‘প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই গরুটি বড় করে তুলেছি। এখন গরুটি ৩৫ মন ওজনের হয়ে গেছে। এবারের কোরবানির ঈদে প্রস্তুতি নিয়েছি গরুটি বিক্রি করার। গরুটি লালন-পালন করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। খুব আদর যত্ন করে পালন করেছি। পাশাপাশি পরিবারের প্রতিটি সদস্য এটার প্রতি যত্ন নিয়েছে। কোরবানি ঈদে আমি উপযুক্ত দাম পেলে যুবরাজকে বিক্রয় করব।’
যুবরাজকে দেখতে আসা রশিদ বলেন, দুর্গাপুর উপজেলায় যুবরাজের মতো এত বড় গরু আমি আগে কখনো দেখেনি। দেখতেও অনেক সুন্দর যুবরাজ। এ যুবরাজ কোরবানির হাট কাঁপাবে।
কেরনখলা গ্রামের মাসুদ বলেন, মোস্তফা অনেক কষ্ট করে এই সুসং রাজাকে লালন পালন করেছেন। এটি খুব শান্ত প্রকৃতির। মোস্তফার পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সুসং রাজার প্রতি খেয়াল রেখেছে। এলাকাবাসী হিসেবে আমাদের দাবি মোস্তফা যেন কোরবানির হাটে সুসং রাজার ন্যায্য মূল্য পায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ স্বাভাবিক খাবার দিয়ে গরু দুটিকে বড় করা হয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রায় সময় খোঁজখবর নিয়েছি। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে বা পরামর্শ লাগলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
টাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া এই নেতার নাম সাইমন রেজা। তিনি নগরের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
৯ মিনিট আগেদুই সপ্তাহ ধরে ফাতেমা আক্তার শাপলা (২৮) নামের এক নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় শিশুটির মা ফারজানা আক্তারের। সাবলেটের কথা বলে গত বৃহস্পতিবার তিনি আজিমপুরের ওই বাসায় ওঠেন।
১৯ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মো. আলাউদ্দিন (৩৫) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা এলাকার ফুট ওভার ব্রিজের পশ্চিম পাশে তালুকদার পেট্রল পাম্পের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে একটি রক্তমাখা চাকু পড়ে ছিল।
২৬ মিনিট আগেকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান ‘শহীদ আব্দুল কাইয়ুম স্মৃতি আন্ত বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার কুবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক ও ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে