শেরপুর প্রতিনিধি
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত তিনটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে ধানশাইল ইউনিয়নে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক নেতা ও মাদক মামলার আসামি তৌফিকুর রহমান এনামুল এবং হাতীবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য ওবাইদুল ইসলামসহ বিএনপি পরিবারের সদস্যদের হাতে নৌকার মনোনয়ন তুলে দেওয়ায় এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচন সামনে রেখে ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে ধানশাইল ইউপিতে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ধানশাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান এনামুলকে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে শেরপুর জেলা আদালত এলাকা থেকে মদসহ আটক হয়ে হাজতবাস করা মাদক মামলার আসামি তিনি।
ধানশাইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘তৌফিকুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। সে মাদক মামলার আসামি। তার পুরো পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সে কীভাবে মনোনয়ন পায়? আমরা মনোনয়ন পরিবর্তন চাই।’
একই কথা জানান স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজন। স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মাদক মামলার আসামি ও ছাত্রদলের নেতাকে কীভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তৌফিকুর রহমান এনামুল ধানশাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল এবং ওই কমিটি আমার সময়ে অনুমোদন করা।’
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী তৌফিকুর রহমান এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
অন্যদিকে হাতীবান্ধা ইউনিয়নে গত নির্বাচনের নৌকার ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নাছির উদ্দিনের বাবা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সদস্য ওবাইদুল ইসলামকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে এলাকায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, ‘ওবাইদুল সাহেব ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি কীভাবে নৌকা পেয়েছেন সেটা আমরা জানি না।’ একই কথা জানান ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন।
তবে হাতীবান্ধা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কখনো বিএনপি করিনি। আওয়ামী লীগের কাজে সব সময় সহযোগিতা করেছি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি।
এদিকে ওবাইদুল ইসলাম ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমি যুবলীগের রাজনীতি করেছি। আমি গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। তাই এবার দলীয় মনোনয়ন পাব না জেনেই আমার বাবা মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং তিনি পেয়েছেন। যারা নৌকার বিরোধিতা করছে তারা জামাত-বিএনপির লোক।’
এ ছাড়া ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নে নৌকা মনোনীত প্রার্থী শাহাদৎ হোসেনের বাবা গত বছর নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও এবার তার ছেলেকে দেওয়া হয়েছে দলীয় প্রতীক।
এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসব প্রার্থীদের প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। আমি সঠিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করে আসছি। আমার স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টির বিচার চেয়েছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ রেজল্যুশন করে যে তালিকা দিয়েছে, সেটাই জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কোনো মতামতে তালিকা কেন্দ্রে পাঠাইনি, পাঠানোর সুযোগও নেই। আর উপজেলা থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেটিই জেলা কমিটি কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।’
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত তিনটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে ধানশাইল ইউনিয়নে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক নেতা ও মাদক মামলার আসামি তৌফিকুর রহমান এনামুল এবং হাতীবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য ওবাইদুল ইসলামসহ বিএনপি পরিবারের সদস্যদের হাতে নৌকার মনোনয়ন তুলে দেওয়ায় এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচন সামনে রেখে ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে ধানশাইল ইউপিতে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ধানশাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান এনামুলকে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে শেরপুর জেলা আদালত এলাকা থেকে মদসহ আটক হয়ে হাজতবাস করা মাদক মামলার আসামি তিনি।
ধানশাইল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘তৌফিকুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। সে মাদক মামলার আসামি। তার পুরো পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সে কীভাবে মনোনয়ন পায়? আমরা মনোনয়ন পরিবর্তন চাই।’
একই কথা জানান স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ কয়েকজন। স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মাদক মামলার আসামি ও ছাত্রদলের নেতাকে কীভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তৌফিকুর রহমান এনামুল ধানশাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল এবং ওই কমিটি আমার সময়ে অনুমোদন করা।’
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী তৌফিকুর রহমান এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
অন্যদিকে হাতীবান্ধা ইউনিয়নে গত নির্বাচনের নৌকার ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নাছির উদ্দিনের বাবা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সদস্য ওবাইদুল ইসলামকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে এলাকায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, ‘ওবাইদুল সাহেব ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি কীভাবে নৌকা পেয়েছেন সেটা আমরা জানি না।’ একই কথা জানান ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন।
তবে হাতীবান্ধা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কখনো বিএনপি করিনি। আওয়ামী লীগের কাজে সব সময় সহযোগিতা করেছি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি।
এদিকে ওবাইদুল ইসলাম ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমি যুবলীগের রাজনীতি করেছি। আমি গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। তাই এবার দলীয় মনোনয়ন পাব না জেনেই আমার বাবা মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং তিনি পেয়েছেন। যারা নৌকার বিরোধিতা করছে তারা জামাত-বিএনপির লোক।’
এ ছাড়া ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নে নৌকা মনোনীত প্রার্থী শাহাদৎ হোসেনের বাবা গত বছর নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও এবার তার ছেলেকে দেওয়া হয়েছে দলীয় প্রতীক।
এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসব প্রার্থীদের প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। আমি সঠিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করে আসছি। আমার স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টির বিচার চেয়েছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ রেজল্যুশন করে যে তালিকা দিয়েছে, সেটাই জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কোনো মতামতে তালিকা কেন্দ্রে পাঠাইনি, পাঠানোর সুযোগও নেই। আর উপজেলা থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেটিই জেলা কমিটি কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।’
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষক রহিত মিয়া হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও লাশ গুম করার অপরাধে আরও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে...
১৩ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘিতে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পূর্ব পাশের বট গাছের নিচ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়
২৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র-মদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ রোববার উপজেলার শিকলবাহা রাজার বাপের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের দুটি বুলেট, ২২ লিটার বাংলা মদ, মোবাইলসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
২৭ মিনিট আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু দেশে আনার সময় বাঁশের চরকার আঘাতে কামাল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৪০ মিনিট আগে