শেরপুরে আগুনে পুড়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও তাঁর নাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের পয়াস্তিরচর গ্রামে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ হয়ে চারটি গরুও মারা যায়।

মৃত দৃজন হলেন পয়াস্তিরচর গ্রামের মো. আমানউল্লাহ মন্টুর স্ত্রী ও সাবেক সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগম (৬০) এবং তাঁর নাতি মো. শরীফ (৭)।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার পয়াস্তিরচর গ্রামের কৃষক মো. আমান উল্লাহর গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন পাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ফিরোজা বেগম গোয়াল থেকে গরু সরাতে গিয়ে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। আর বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যায় শিশু শরীফ।

খবর পেয়ে শেরপুর জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওইদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফিরোজা বেগমকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, পয়াস্তিরচর গ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।