ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের সম্পত্তি গত ১৫ বছরে ৮৬ গুণ বেড়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫১২ টাকায়।
একই সময়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৩২ গুণ। ২০০৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা। কৃষি খাত, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, মৎস্য খাত ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া সম্মানী থেকে তাঁর এই আয় হয়। ২০০৮ সালে কৃষি ও ব্যবসায় প্রতিমন্ত্রীর ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা আয় ছিল।
গত নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খান দুলালের হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৫ হাজার ৫৫৭ টাকা। তা ছাড়া ব্যবসাবহির্ভূত ১ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৮১৩ টাকা।
ওই সময় প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আফরোজা হকের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ব্যবসা খাতে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং ব্যবসাবহির্ভূত ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৯ টাকা।
নবম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে হলফনামায় যে আর্থিক বিবরণ দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে প্রতিমন্ত্রীর আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ফরিদুল হক খান দুলাল ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য হন তিনি। বর্তমান আমলে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারের হলফনামায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া স্থাবর সম্পত্তির হিসাবে ২ দশমিক ৩২ একর কৃষি ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ অকৃষি জমি দেখিয়েছেন ফরিদুল হক খান দুলাল। তবে এই সম্পদের মূল্য কত, তা উল্লেখ করেননি। ২০০৮ সালে নিজের কোনো গাড়ি না থাকলেও এবার ৬১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে তাঁর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্বর্ণ ছিল ১৫ ভরি। মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৫ হাজার টাকা। এবারের হলফনামায়ও একই পরিমাণ স্বর্ণের একই দাম ধরা হয়েছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খান দুলালের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮ টাকায়। হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৬ টাকা।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রীর গয়না ছিল ৩০ ভরি স্বর্ণ। দাম দেখানো হয়েছিল দেড় লাখ টাকা। ১৫ বছর পরও একই দামে তাঁর স্ত্রীর গয়না একই পরিমাণ আছে।
২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকার। বর্তমানে তা বেড়ে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকা হয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রীর নামে নগদ ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ টাকা দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ৫ হাজার ২৭৯ টাকা।
উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্ম এইচএসসি পাস দুই কন্যাসন্তানের জনক ফরিদুল হক খান দুলাল মূলত পাট ব্যবসায়ী। ১৯৯০ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার সংসদে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য হন।
একাদশ সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ফরিদুল হক খান দুলাল। টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে তিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের সম্পত্তি গত ১৫ বছরে ৮৬ গুণ বেড়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫১২ টাকায়।
একই সময়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৩২ গুণ। ২০০৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা। কৃষি খাত, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, মৎস্য খাত ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া সম্মানী থেকে তাঁর এই আয় হয়। ২০০৮ সালে কৃষি ও ব্যবসায় প্রতিমন্ত্রীর ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা আয় ছিল।
গত নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খান দুলালের হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৫ হাজার ৫৫৭ টাকা। তা ছাড়া ব্যবসাবহির্ভূত ১ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৮১৩ টাকা।
ওই সময় প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী আফরোজা হকের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ অর্থের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ব্যবসা খাতে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং ব্যবসাবহির্ভূত ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৯ টাকা।
নবম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে হলফনামায় যে আর্থিক বিবরণ দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে প্রতিমন্ত্রীর আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ফরিদুল হক খান দুলাল ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য হন তিনি। বর্তমান আমলে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারের হলফনামায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া স্থাবর সম্পত্তির হিসাবে ২ দশমিক ৩২ একর কৃষি ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ অকৃষি জমি দেখিয়েছেন ফরিদুল হক খান দুলাল। তবে এই সম্পদের মূল্য কত, তা উল্লেখ করেননি। ২০০৮ সালে নিজের কোনো গাড়ি না থাকলেও এবার ৬১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে তাঁর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্বর্ণ ছিল ১৫ ভরি। মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৫ হাজার টাকা। এবারের হলফনামায়ও একই পরিমাণ স্বর্ণের একই দাম ধরা হয়েছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খান দুলালের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮ টাকায়। হাতে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৬ টাকা।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রীর গয়না ছিল ৩০ ভরি স্বর্ণ। দাম দেখানো হয়েছিল দেড় লাখ টাকা। ১৫ বছর পরও একই দামে তাঁর স্ত্রীর গয়না একই পরিমাণ আছে।
২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকার। বর্তমানে তা বেড়ে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকা হয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের স্ত্রীর নামে নগদ ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা থাকলেও বর্তমানে নগদ টাকা দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ৫ হাজার ২৭৯ টাকা।
উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্ম এইচএসসি পাস দুই কন্যাসন্তানের জনক ফরিদুল হক খান দুলাল মূলত পাট ব্যবসায়ী। ১৯৯০ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার সংসদে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য হন।
একাদশ সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ফরিদুল হক খান দুলাল। টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে তিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে ওই লাশটি নারী নাকি পুরুষের তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
২ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ১০ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সুমাইয়া (১০) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সে ৬ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
১৭ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নবগঠিত ময়নামতি উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব দিদারুল আলম দিদার। তিনি বলেন, ‘কোনো এক অদৃশ্য কারণে অতীতে ময়নামতি অঞ্চল বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চল ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় কোনোভাবেই বুড়িচং উপজেলার অংশ হওয়া উচিত ছিল না। আধুনিক সভ্যতায় তথ্যপ্রযুক্তির..
১৮ মিনিট আগেনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী-চন্দ্রগঞ্জ সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাস চাপায় সিএনজিতে থাকা আইরিন আক্তার (১৪) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন নিহতের ছোট বোন আঁখি আক্তার (৭)। ঘটনার পর দ্রুত পালিয়ে যায় বাসটি...
৩১ মিনিট আগে