মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!/সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে—দূর পরবাসে বসেও মহাকবি তাঁর কথা ভাবতেন নিশার স্বপনে। কিন্তু তাঁর সেই কপোতাক্ষের কথা যেন এখন কেউ ভাবছেই না।
কবির স্নেহের তৃষ্ণা মেটানো দুগ্ধ-স্রোতোরূপী কপোতাক্ষ এখন কার্যত মরা খাল। একদা ইস্টিমার চলা সেই খরস্রোতা নদ দখলে-দখলে এতটাই শীর্ণ যেন ব্যাঙের মতো লাফ দিলেই পেরিয়ে যাওয়া যাবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে চোখের সামনে নয়, হয়তো শুধু মানুষের মনেই থাকবে কপোতক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোরের ঝিকরগাছার ছুটিপুর থেকে মাটশিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের বুকে অন্তত শতাধিক পুকুর বানানো হয়েছে। নদের মাঝখান বরাবর দখল করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। পাশাপাশি সারা নদে মাছ ধরার নামে রয়েছে ভেসাল, কোমর, চান্দা, নেটপাটাতন ও কচুরিপনা আটকানো।
ছুটিপুর বাজারে সিরাজুল কমপ্লেক্স, ঝিকরগাছা বাজারের বোটঘাট এলাকায় ভূমি কার্যালয়ের নিচের বাড়ি, ঝিকরগাছা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালিত মুহাম্মদিয়া নুরানি মাদরাসা ভবনের অংশবিশেষ, বাঁকড়া বাজারে মরহুম মাস্টার লোকমান আলী গংদের বাড়ি, মোসলেম আলী গংদের ভবন, বাঁকড়া সেতুর পূর্বপাশে গাজী আব্দুস সাত্তার, গাজী কওছার আলী, আব্দুল বারি ও সিরাজুল ইসলামের স্থাপনা নদের ভেতর থেকেই গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাঁদের সবারই দাবি, বৈধ সম্পত্তিতে ইমারত নির্মাণ করেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বাঁকড়া পারবাজারের সিরাজুল ইসলাম বলেন, কেনা সম্পত্তিতে তাঁর বাড়ি। কপোতাক্ষ নদের কোনো জায়গা তিনি দখল করেননি বরং নদের জন্য কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের কাছ থেকে কেনা তাঁদের ১৯৬২ সালের রেকর্ড রয়েছে।
নদের বুকে তিন পাশ বেঁধে পুকুর তৈরি বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৈত্রিক ও কেনা সম্পত্তিতে পুকুর বানিয়েছি। নদের জায়গা একটুও দখল করিনি।’ একই রকম দাবি করেন সরদার সাঈদ আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘এক ইঞ্চিও কপোতাক্ষ নদের জমি দখল করে পুকুর বানাইনি।’
কপোতাক্ষ নদ নিয়ে বই লিখেছেন মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদী আইন মোতাবেক সব স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে, কিছুদিন পর নদ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নদীরক্ষা কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক বলেন, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। নদ দখলকারীদের তালিকা আমাদের কাছে আছে। শিগগিরই পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল সার্ভেয়ারের মাধ্যমে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!/সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে—দূর পরবাসে বসেও মহাকবি তাঁর কথা ভাবতেন নিশার স্বপনে। কিন্তু তাঁর সেই কপোতাক্ষের কথা যেন এখন কেউ ভাবছেই না।
কবির স্নেহের তৃষ্ণা মেটানো দুগ্ধ-স্রোতোরূপী কপোতাক্ষ এখন কার্যত মরা খাল। একদা ইস্টিমার চলা সেই খরস্রোতা নদ দখলে-দখলে এতটাই শীর্ণ যেন ব্যাঙের মতো লাফ দিলেই পেরিয়ে যাওয়া যাবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে চোখের সামনে নয়, হয়তো শুধু মানুষের মনেই থাকবে কপোতক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোরের ঝিকরগাছার ছুটিপুর থেকে মাটশিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের বুকে অন্তত শতাধিক পুকুর বানানো হয়েছে। নদের মাঝখান বরাবর দখল করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। পাশাপাশি সারা নদে মাছ ধরার নামে রয়েছে ভেসাল, কোমর, চান্দা, নেটপাটাতন ও কচুরিপনা আটকানো।
ছুটিপুর বাজারে সিরাজুল কমপ্লেক্স, ঝিকরগাছা বাজারের বোটঘাট এলাকায় ভূমি কার্যালয়ের নিচের বাড়ি, ঝিকরগাছা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালিত মুহাম্মদিয়া নুরানি মাদরাসা ভবনের অংশবিশেষ, বাঁকড়া বাজারে মরহুম মাস্টার লোকমান আলী গংদের বাড়ি, মোসলেম আলী গংদের ভবন, বাঁকড়া সেতুর পূর্বপাশে গাজী আব্দুস সাত্তার, গাজী কওছার আলী, আব্দুল বারি ও সিরাজুল ইসলামের স্থাপনা নদের ভেতর থেকেই গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাঁদের সবারই দাবি, বৈধ সম্পত্তিতে ইমারত নির্মাণ করেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বাঁকড়া পারবাজারের সিরাজুল ইসলাম বলেন, কেনা সম্পত্তিতে তাঁর বাড়ি। কপোতাক্ষ নদের কোনো জায়গা তিনি দখল করেননি বরং নদের জন্য কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের কাছ থেকে কেনা তাঁদের ১৯৬২ সালের রেকর্ড রয়েছে।
নদের বুকে তিন পাশ বেঁধে পুকুর তৈরি বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৈত্রিক ও কেনা সম্পত্তিতে পুকুর বানিয়েছি। নদের জায়গা একটুও দখল করিনি।’ একই রকম দাবি করেন সরদার সাঈদ আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘এক ইঞ্চিও কপোতাক্ষ নদের জমি দখল করে পুকুর বানাইনি।’
কপোতাক্ষ নদ নিয়ে বই লিখেছেন মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদী আইন মোতাবেক সব স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে, কিছুদিন পর নদ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নদীরক্ষা কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক বলেন, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। নদ দখলকারীদের তালিকা আমাদের কাছে আছে। শিগগিরই পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল সার্ভেয়ারের মাধ্যমে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
ভূমিহীন পরিচয়ে কেউ বাগিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ছয়টি ঘর। আরেক জন বাগিয়েছেন চারটি। আবার কেউ কেউ ঘর নিলেও থাকেন না সেখানে। এর মধ্যে একজন তো ঘটিয়েছেন অবাক কাণ্ড! নিজ কব্জায় রাখা ৬টি ঘরের তিনটিতে লাগিয়েছেন এসি। মেঝেতে করেছেন টাইলস। তাঁর দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে করছেন বিলাসী জীবনযাপন। ভূমিহীনদের ঘর বিতর
১৮ মিনিট আগেঅনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
৪৩ মিনিট আগেবরিশাল মহানগরীতে এক ষোড়শী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আজ বুধবার নগরীর রূপাতলী এলাকা থেকে ইমরান আলী শোভন (৩৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক কৃষিমন্ত্রী ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে মধুপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
১ ঘণ্টা আগে