পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছার দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটি ইউনিয়নের ভদ্রা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে ১৩টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। যে কোন মুহূর্তে নদী ভেঙে কালীনগর, হরিণখোলা, দারুণ মল্লিক, নোয়াই, দুর্গাপুর, বিগরদানা, ফুলবাড়ি, গোপি পাগলা, সেনের বেড়, গোপিপাগলা, তেলীখালী, সৈয়েদখালীর আমন ধান, সবজি খেত, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা অবিনাস মণ্ডল জানান, রাত যতই বাড়ে ততই মনের ভেতর ভয় জাগে কখন যে ঘরবাড়ি সব নদীতে নিয়ে যায়। সারা রাত জেগে থাকি। নদীতে ভাটা হলে ঘুমাতে যাই।
একই এলাকার সুনিল হালদার জানান, এ নদীর পাড়ে আমরা ২০টি হালদার পরিবার, ১৫ টি রায় পরিবার এবং ১০টি মণ্ডল পরিবার বাস করতাম। এখন তারা অন্যত্রে জায়গা কিনে বসবাস করছে। আবার যারা জমি কিনতে পারেননি তারা সরকারি রাস্তার পাশে বাস করছে। শুধুমাত্র কয়েকটি মণ্ডল পরিবার এখানে আছে। সেগুলোও এখন আবার বিলীনের পথে। ভদ্রা নদীর ভাঙনের কারণে এখান থেকে প্রায় ৩৫টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিলিপ রায় জানিয়েছেন, ভাঙনে আমাদের তিনটি পরিবারে সবকিছু হারিয়েছি। এখন ওয়াপদার পাশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। তিনি আরও জানান, বৈশাখ মাসের প্রথম দিক থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় ১ মাসের মত ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য পলাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বুলু গোল্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এখানে কাজ করা হয়। সর্বশেষ কারিতাস সংস্থা কাজ করেছে। কিন্তু ৮ মার্চ তাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা চলে গেছে। আমাদের যা সামর্থ রয়েছে তা দিয়ে ভাঙন কুলের মানুষের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
দেলুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, আমার ইউনিয়নটি দ্বীপ বেষ্টিত, সে কারণে আমরা এখানে সব সময় ঝুঁকিতে থাকি। তারপরেও আবার ভাঙন লেগেছে। ইতিমধ্যে আমি নিজ অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বালির বস্তা ফেলেছি। কিন্তু এখন আর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।
পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকরী উপ প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ জানান, দেলুটি ইউনিয়নটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন। চারপাশে নদী দ্বারা বেষ্টিত। সে কারণে ছোটখাটো ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হলে এ এলাকার ওয়াপদার বাঁধ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ভাঙনটি অনেক দিনের। এখানে কালিনগর গ্রামটির প্রায় অর্ধেক নদী গর্ভে চলে গেছে। বারবার বিকল্প বাঁধ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি কোনো ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।
পাইকগাছার দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটি ইউনিয়নের ভদ্রা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে ১৩টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। যে কোন মুহূর্তে নদী ভেঙে কালীনগর, হরিণখোলা, দারুণ মল্লিক, নোয়াই, দুর্গাপুর, বিগরদানা, ফুলবাড়ি, গোপি পাগলা, সেনের বেড়, গোপিপাগলা, তেলীখালী, সৈয়েদখালীর আমন ধান, সবজি খেত, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা অবিনাস মণ্ডল জানান, রাত যতই বাড়ে ততই মনের ভেতর ভয় জাগে কখন যে ঘরবাড়ি সব নদীতে নিয়ে যায়। সারা রাত জেগে থাকি। নদীতে ভাটা হলে ঘুমাতে যাই।
একই এলাকার সুনিল হালদার জানান, এ নদীর পাড়ে আমরা ২০টি হালদার পরিবার, ১৫ টি রায় পরিবার এবং ১০টি মণ্ডল পরিবার বাস করতাম। এখন তারা অন্যত্রে জায়গা কিনে বসবাস করছে। আবার যারা জমি কিনতে পারেননি তারা সরকারি রাস্তার পাশে বাস করছে। শুধুমাত্র কয়েকটি মণ্ডল পরিবার এখানে আছে। সেগুলোও এখন আবার বিলীনের পথে। ভদ্রা নদীর ভাঙনের কারণে এখান থেকে প্রায় ৩৫টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিলিপ রায় জানিয়েছেন, ভাঙনে আমাদের তিনটি পরিবারে সবকিছু হারিয়েছি। এখন ওয়াপদার পাশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। তিনি আরও জানান, বৈশাখ মাসের প্রথম দিক থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় ১ মাসের মত ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য পলাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বুলু গোল্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এখানে কাজ করা হয়। সর্বশেষ কারিতাস সংস্থা কাজ করেছে। কিন্তু ৮ মার্চ তাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা চলে গেছে। আমাদের যা সামর্থ রয়েছে তা দিয়ে ভাঙন কুলের মানুষের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
দেলুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, আমার ইউনিয়নটি দ্বীপ বেষ্টিত, সে কারণে আমরা এখানে সব সময় ঝুঁকিতে থাকি। তারপরেও আবার ভাঙন লেগেছে। ইতিমধ্যে আমি নিজ অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বালির বস্তা ফেলেছি। কিন্তু এখন আর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।
পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকরী উপ প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ জানান, দেলুটি ইউনিয়নটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন। চারপাশে নদী দ্বারা বেষ্টিত। সে কারণে ছোটখাটো ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হলে এ এলাকার ওয়াপদার বাঁধ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ভাঙনটি অনেক দিনের। এখানে কালিনগর গ্রামটির প্রায় অর্ধেক নদী গর্ভে চলে গেছে। বারবার বিকল্প বাঁধ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি কোনো ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে (৫০) হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। তবে পুলিশের তদন্তে ভিন্ন বিষয় উঠে আসে। পুলিশ বলেছে, গৃহবধূ হত্যায় ছেলে নয়, বাড়ির ভাড়াটি জড়িত। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগেসিলেটে প্রায় আড়াই কোটি টাকার চোরাচালানি পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্র ও আজ শনিবার সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২০ মিনিট আগেগাজীপুরের কাশিমপুরে বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা।
৩৭ মিনিট আগেবারপাইকা গ্রামের জহরলাল রবি দাস তাঁর ছেলে আকাশের বিয়ের নিমন্ত্রণ দিতে চাচাতো ভাই বাবুল রবি দাসের বাড়ি যান। আগের একটি ঘটনায় ক্ষোভের কারণে বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিমন্ত্রণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে জহরলাল ও তাঁর ছেলে আকাশ বাবুলের পরিবারের
১ ঘণ্টা আগে