কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইটভাটার আগুনে দগ্ধ শ্রমিক আলমগীর হোসেন (২৫) মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার হোসেনাবাদ বিশ্বাস পাড়া এলাকার হানিফ মণ্ডলের ছেলে। 

স্থানীয় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এনামুল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে দৌলতপুর উপজেলা ডাংমড়কা এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ইটভাটায় কাজ করার সময় দগ্ধ হয় আলমগীর। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। 

এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি কোনো পদক্ষেপ না নিতে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আপসরফা করেছে ইটভাটা মালিক। ফলে মৃত্যুর দুদিনের মাথায়ও এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। 

আলমগীর মামাতো ভাই বজলুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনে দগ্ধ হয়ে আলমগীর হোসেন মারা গেছে। গত শুক্রবার রাতে তাকে এলাকায় দাফন করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তিন লাখ টাকার বিনিময়ে এটি সমাধান করেছে ভাটার মালিক পক্ষ।’ 

ইটভাটার মালিক তোফাজ্জেল হোসেনের মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে, তিনি এ প্রতিবেদককে শহরের পেয়ারা তলায় চায়ের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশ করে কী লাভ?’ 

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা একটি (অ্যাক্সিডেন্ট) দুর্ঘটনা। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’