শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
খোলপেটুয়া নদী তীরবর্তী উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে শ্যামনগর উপজেলার দুই ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫ নম্বর পোল্ডারের দুর্গাবাটি সাইক্লোন শেল্টারের পার্শ্ববর্তী বাঁধের প্রায় দেড় শ ফুট নদীতে ধসে পড়লে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাবাটি ও পোড়াকাটলা গ্রামের কিছু অংশে পানি প্রবেশ করলেও শুক্রবার দুপুরের জোয়ারের পানি উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউনিয়নের ৮টি গ্রামকে প্লাবিত করে। ফলে, প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি ৮ হাজার বিঘা জমির চিংড়ি ঘেরসহ শতাধিক মিষ্টি পানির পুকুর ভেসে গেছে।
স্থানীয়রা ভাঙনের জন্য বাঁধের কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকে দায়ী করছেন। তাঁদের দাবি সংস্কারকাজে গুণগত মান রক্ষা না করায় এবং পাশের খোলপেটুয়া নদী থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ওই অংশের বাঁধ নদীতে ধসে গেছে।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে রিং বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনের বিস্তৃতি রোধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বাঁধের ওই অংশের প্রায় ১০০ ফুট খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যার পর আশপাশের গ্রামগুলোর ৩ থেকে ৪ মানুষ ভাঙনকবলিত অংশে নিজস্ব প্রচেষ্টায় রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করেন। তবে রাত নেমে আসায় এবং নদীতে আবার জোয়ারের চাপ তৈরি হওয়ায় স্থানীয়রা কাজে বাধা পড়ে। ফলে জোয়ারের পানি পূর্ব ও পশ্চিম দুর্গাবাটি ও পোড়াকাটলা গ্রামে প্রবেশ করে।
ভাঙনকবলিত অংশে রিং বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শুক্রবার দুপুর থেকে জোয়ারের পানি বুড়িগোয়ালিনী ভামিয়া, মাদিয়া, দাতিনাখালীসহ আটুলিয়ার চুনা, হেঞ্চি, তালবাড়িয়াসহ আশপাশের ৮টি গ্রামে প্রবেশ করে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল বলেন, ভাঙনকবলিত অংশের বাঁধ মেরামতের কাজ করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। কাজের ক্ষেত্রে গুণগত মান রক্ষা না করার মাশুল এখন হাজার হাজার নারী-পুরুষ আর শিশুকে দিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বারবার ভাঙনের মুখে পড়ে এসব এলাকার মানুষ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তিন শতাধিক চিংড়ি ঘের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ১০-১২ কোটি টাকার চিংড়ি ভেসে যাওয়াসহ এলাকায় খাওয়ার পানির অভাব প্রকট হয়েছে।
ভাঙনের বিষয়ে শ্যামনগর পওর বিভাগ-২ এর সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, নদীর পাশের চর দেবে যাওয়ায় বাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাঙনের খবর পেয়েই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। জিও ব্যাগ ও বাঁশ ভাঙনকবলিত অংশে পৌঁছালে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামের লোকজন আলোচনার পর সেখানে রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে, ৮টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ন কবীর ভাঙনকবলিত অংশসহ প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি পাউবোর কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গ্রামবাসী আর জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত রিং বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনের ভয়াবহতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
খোলপেটুয়া নদী তীরবর্তী উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে শ্যামনগর উপজেলার দুই ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫ নম্বর পোল্ডারের দুর্গাবাটি সাইক্লোন শেল্টারের পার্শ্ববর্তী বাঁধের প্রায় দেড় শ ফুট নদীতে ধসে পড়লে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাবাটি ও পোড়াকাটলা গ্রামের কিছু অংশে পানি প্রবেশ করলেও শুক্রবার দুপুরের জোয়ারের পানি উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউনিয়নের ৮টি গ্রামকে প্লাবিত করে। ফলে, প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি ৮ হাজার বিঘা জমির চিংড়ি ঘেরসহ শতাধিক মিষ্টি পানির পুকুর ভেসে গেছে।
স্থানীয়রা ভাঙনের জন্য বাঁধের কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকে দায়ী করছেন। তাঁদের দাবি সংস্কারকাজে গুণগত মান রক্ষা না করায় এবং পাশের খোলপেটুয়া নদী থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ওই অংশের বাঁধ নদীতে ধসে গেছে।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে রিং বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনের বিস্তৃতি রোধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকসহ পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বাঁধের ওই অংশের প্রায় ১০০ ফুট খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যার পর আশপাশের গ্রামগুলোর ৩ থেকে ৪ মানুষ ভাঙনকবলিত অংশে নিজস্ব প্রচেষ্টায় রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করেন। তবে রাত নেমে আসায় এবং নদীতে আবার জোয়ারের চাপ তৈরি হওয়ায় স্থানীয়রা কাজে বাধা পড়ে। ফলে জোয়ারের পানি পূর্ব ও পশ্চিম দুর্গাবাটি ও পোড়াকাটলা গ্রামে প্রবেশ করে।
ভাঙনকবলিত অংশে রিং বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শুক্রবার দুপুর থেকে জোয়ারের পানি বুড়িগোয়ালিনী ভামিয়া, মাদিয়া, দাতিনাখালীসহ আটুলিয়ার চুনা, হেঞ্চি, তালবাড়িয়াসহ আশপাশের ৮টি গ্রামে প্রবেশ করে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল বলেন, ভাঙনকবলিত অংশের বাঁধ মেরামতের কাজ করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। কাজের ক্ষেত্রে গুণগত মান রক্ষা না করার মাশুল এখন হাজার হাজার নারী-পুরুষ আর শিশুকে দিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বারবার ভাঙনের মুখে পড়ে এসব এলাকার মানুষ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তিন শতাধিক চিংড়ি ঘের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ১০-১২ কোটি টাকার চিংড়ি ভেসে যাওয়াসহ এলাকায় খাওয়ার পানির অভাব প্রকট হয়েছে।
ভাঙনের বিষয়ে শ্যামনগর পওর বিভাগ-২ এর সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, নদীর পাশের চর দেবে যাওয়ায় বাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাঙনের খবর পেয়েই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। জিও ব্যাগ ও বাঁশ ভাঙনকবলিত অংশে পৌঁছালে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামের লোকজন আলোচনার পর সেখানে রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে, ৮টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ন কবীর ভাঙনকবলিত অংশসহ প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি পাউবোর কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গ্রামবাসী আর জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত রিং বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনের ভয়াবহতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৮ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৯ ঘণ্টা আগে