বাগেরহাট (খুলনা): বাগেরহাটের মোল্লাহাট–ঝুটেশ্বরী খালের সঙ্গের সড়কটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিনেও সড়কের কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার অন্তত দুই হাজার মানুষ।

পাকা রাস্তা না থাকায় জনবসতির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মাটির রাস্তায় চলাচল করছেন তাঁরা। মেরামতের অভাবে বর্তমানে সেটিও এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোদালিয়া ইউনিয়নের ঝুটেশ্বরী গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। জয়ডিহি-কোদালিয়া সড়ক থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে রাস্তাটি শেষ হয়। এটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ রাস্তায় চলাচল করেন। এ ছাড়া কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে কয়েক শ মৎস্যঘের ও ফসলের খেত রয়েছে। রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল ও মাছ পরিবহনে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কয়েক যুগ আগে নির্মিত মাটির এই রাস্তা কখনো সংস্কার হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, শুকনো মৌসুমে অনেক কষ্টে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন এলাকার মানুষ। বর্ষা শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় ওই সব বাহন। মানুষকে চলাচল করতে হয় হেঁটে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদামাটিতে একাকার হয়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাগুলো। ব্যস্ত এ সড়কটি যেন পাকা করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়—এ দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে কোদালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝুটেশ্বরী রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী রয়েছে। এরই মধ্যে রাস্তাটি পাকা করার জন্য উপজেলা (এলজিইডি) অফিসে আবেদন করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হবে।’

উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী শওকত হোসেন বলেন, মোল্লাহাট উপজেলায় বেশ কিছু কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এগুলোর তালিকা করে স্থানীয় চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। অনুমোদন হলেই রাস্তাগুলো পাকা করে দেব।’ এর মধ্যে কোদালিয়া ইউনিয়নের ঝুটেশ্বরী রাস্তাটি প্রথমেই পাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।