যশোর প্রতিনিধি
ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ‘অবৈধ’ টাকা লেনদেন করতেন পুলিশের এক এএসআই। প্রায় ১ বছর এ ধরনের লেনদেন করলেও পরবর্তীতে আর রাজি না হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়াসহ তাকে মারধরে করা হয়। এ ছাড়াও তাঁর কাছ ২৫ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করে আসছেন ওই পুলিশ সদস্য। বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আজ বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন উজ্জ্বল বিশ্বাস (৩২) নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন—যশোর পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশীষ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উজ্জ্বল বিশ্বাস দাবি করেন, যশোর শহরতলির পালবাড়ি মোড়ে ইলেকট্রনিকসের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে কাজের সুবাদে আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে এএসআই আশীষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আশীষ তাঁর বড় ভাই হিসেবে সখ্য গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে এএসআই আশীষ ব্যস্ত থাকার অজুহাতে উজ্জ্বল বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ছোটখাটো লেনদেন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা লেনদেন শুরু করেন। একদিন দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আশীষের জন্য তাঁর কাছে ১৪ লাখ টাকা রেখে যান। এরপর আশীষ ফোন করে ওই টাকা উজ্জ্বলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে বলেন। পরবর্তী সেই টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়।
ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বিশ্বাস আরও দাবি করেন, এএসআই আশীষ ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। এত টাকা লেনদেনের বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি ধারাবাহিক এ লেনদেন করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করেন এএসআই আশীষ।
উজ্জ্বল বিশ্বাসের দাবি, এএসআই আশীষ তাঁর দোকানে ভাঙচুর করে সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন, হার্ডডিস্ক ও পাসওয়ার্ডসহ দুটি ব্যাংকের কার্ড ছিনিয়ে নেন এবং তাকে মারধর করেন। পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকার একটি চেকে এবং ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এরপর থেকে এএসআই আশীষ তাঁর কাছে ২৫ লাখ টাকা পাবেন দাবি করে আটক ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে এএসআই আশীষ নিজেকে ডিআইজির লোক পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে তিনি (উজ্জ্বল বিশ্বাস) প্রাণ রক্ষায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ দিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে এএসআই আশীষের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেই উজ্জ্বল বিশ্বাসের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি মাদকসহ অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি অন্য পথে নিতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।’
নির্যাতন প্রসঙ্গে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ‘অবৈধ’ টাকা লেনদেন করতেন পুলিশের এক এএসআই। প্রায় ১ বছর এ ধরনের লেনদেন করলেও পরবর্তীতে আর রাজি না হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়াসহ তাকে মারধরে করা হয়। এ ছাড়াও তাঁর কাছ ২৫ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করে আসছেন ওই পুলিশ সদস্য। বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আজ বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন উজ্জ্বল বিশ্বাস (৩২) নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন—যশোর পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশীষ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উজ্জ্বল বিশ্বাস দাবি করেন, যশোর শহরতলির পালবাড়ি মোড়ে ইলেকট্রনিকসের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে কাজের সুবাদে আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে এএসআই আশীষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আশীষ তাঁর বড় ভাই হিসেবে সখ্য গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে এএসআই আশীষ ব্যস্ত থাকার অজুহাতে উজ্জ্বল বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ছোটখাটো লেনদেন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা লেনদেন শুরু করেন। একদিন দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আশীষের জন্য তাঁর কাছে ১৪ লাখ টাকা রেখে যান। এরপর আশীষ ফোন করে ওই টাকা উজ্জ্বলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে বলেন। পরবর্তী সেই টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়।
ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বিশ্বাস আরও দাবি করেন, এএসআই আশীষ ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। এত টাকা লেনদেনের বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি ধারাবাহিক এ লেনদেন করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করেন এএসআই আশীষ।
উজ্জ্বল বিশ্বাসের দাবি, এএসআই আশীষ তাঁর দোকানে ভাঙচুর করে সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন, হার্ডডিস্ক ও পাসওয়ার্ডসহ দুটি ব্যাংকের কার্ড ছিনিয়ে নেন এবং তাকে মারধর করেন। পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকার একটি চেকে এবং ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এরপর থেকে এএসআই আশীষ তাঁর কাছে ২৫ লাখ টাকা পাবেন দাবি করে আটক ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে এএসআই আশীষ নিজেকে ডিআইজির লোক পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে তিনি (উজ্জ্বল বিশ্বাস) প্রাণ রক্ষায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ দিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে এএসআই আশীষের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেই উজ্জ্বল বিশ্বাসের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি মাদকসহ অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি অন্য পথে নিতে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।’
নির্যাতন প্রসঙ্গে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবৈধ বালু পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক জব্দ করেছে বন বিভাগ। আজ শনিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ডুলাহাজারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।
৫ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার ২৭ ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেতুটির মেরামত কাজ শেষ হলে যানচলাচল শুরু হয়।
৭ মিনিট আগেকক্সবাজারের উখিয়া নাফ নদ থেকে অপহৃত পাঁচ জেলের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত এলাকার থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩২ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার জিয়া সেতুতে ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অবরোধ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে