মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে কড়া সম্প্রদায়ের বসবাস দিনাজপুরে। এ দেশে কড়া সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবার রয়েছে। এই ২৮ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১০৪ জন, যারা এই ভূমিতে এই সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রেখেছেন। কড়া সম্প্রদায়ের পেশা কৃষি। ফসল রোপণ ও কাটার সময় ছাড়া বছরের বাকি সময় এরা দিনমজুরের কাজ করেন। কড়াদের অভাবের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। তবু সহজ-সুন্দর জীবন তাদের। কিন্তু এই সারল্য, অভাব এবং সংখ্যায় কম হওয়াটাই তাদের কাল হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা তাদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালায়।
ইতিহাসের পাতায় কড়া সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ও ভূমি দস্যুদের অত্যাচারে কড়া সম্প্রদায়ের অধিকাংশ পরিবার এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে যে অল্প কয়েকজন টিকে আছেন, তাঁদেরও যেতে হয় নানা হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়ে।
দিনাজপুরের হালজায় লাপলের বেড়ে ওঠা। লাপল কড়ার মায়ের নাম সাতোল কড়া, বাবা রতন কড়া। বাবা মারা যান ২০১৬ সালে। সে সময় লাপল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাপলেরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম সাপোল কড়া। ছোট বোন পূর্ণিমা কড়া। লাপল স্থানীয় রাঙ্গন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, হালজা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বোর্ড হাট মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। বেশ কষ্ট করেই তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এবার তাঁর লড়াইটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছাল। লাপলের পরিবার এবং কড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটি অনেক বড় ঘটনা।
এ বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী লাপল কড়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব, সেটা একটা সময় স্বপ্নের মতো মনে হতো। কোনো দিন ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারব। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ভয় লেগেছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাত ঘেমে গিয়েছিল। এতটাই যে, কিছু প্রশ্নের উত্তর ভুলও দিয়েছিলাম।’
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত লাপল। তাঁর মুখেই শোনা যাক—এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মনে হচ্ছে আমার জীবনে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। জীবনের অন্ধকার দিন শেষে আলোর পথ দেখছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভর্তির খবর শুনে মা খুব খুশি হয়েছেন। কারণ, বড় ভাইয়ের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের মনে খুব ইচ্ছে হয়—আমি যেন পড়ালেখা করে চাকরি করি। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে আমার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।’
লাপলের কাছে তাঁর শৈশবের দিনগুলোর কথা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, আর এক বোন। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমাদের গ্রামের সব পরিবার দরিদ্র। তাই শিক্ষিতের হার ছিল খুবই কম। আমাদের গ্রামের পরিবারগুলোর কারও আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে এই পরিবারগুলোর সন্তানেরা স্কুল থেকে দ্রুত ঝরে পড়ত। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় বেশি দূর এগোতে পারত না। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগত। এ ছাড়া এই গ্রামের কেউ পড়ালেখা করার জন্য উৎসাহ দিতেন না। তবে ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছে ছিল আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হব। কিন্তু গরিব হওয়াটা আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।’
জন্মের পর থেকে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের একজন লাপল। পড়ালেখা করার জন্য স্কুলে ভর্তি হবে, সে কথা আগে কখনো ভাবেননি। কিন্তু পড়ালেখার প্রতি যার ছোটবেলা থেকে অদম্য ইচ্ছা, সে কি আর পড়ালেখা থেকে দূরে থাকতে পারে? লাপলের জীবনে পড়ালেখার যাত্রা শুরু হয় একটা ঘটনা দিয়ে। কী সেটা? লাপল বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন গ্রামের বাঙালি ছেলেদের সঙ্গে সাইকেলের টায়ার চালিয়ে ওদের স্কুলে যেতাম। ওরা স্কুলে ঢুকে গেলে আমি স্কুলের মাঠে সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা করতাম। একদিন ওই স্কুলের এক শিক্ষক আমাকে ডেকে বলেন, “তোমার কী নাম? তোমার বাড়ি কোথায়? তোমার বাবাকে একদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবে। ” এর পর বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৫ সালে আমি সে স্কুলে ভর্তি হই। স্কুলে ভর্তি হতে পেরে সেদিন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।’
লাপল ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘টানাপোড়েনের সংসারে আমি তৃতীয় শ্রেণি থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতাম। স্কুলের ছুটিগুলোতে একটু বেশি কাজ করতাম। বাবার সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। যখন আমি নবম শ্রেণির ছাত্র, তখন বাবা মারা যান। আবার বড় ভাই প্রতিবন্ধী। তাই পরিবারের বেশির ভাগ দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। এ কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি আমি মায়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রি, ধান রোপণের কাজ করতাম।’
লাপলেরা জানে ক্ষুধার কষ্ট কী। সে সময় এক মণ ধান মাড়াই করলে মহাজন ৫ কেজি ধান দিতেন। লাপলের মা ধান মাড়াই করে সে ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের খরচ দেন। এ ছাড়া এলাকার কয়েকজন বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় লাপল এইচএসসি পাস করেন।
অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রতিকূল পরিবেশেও লাপল পড়ালেখা মাঝপথে থামিয়ে দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে লাপল বলেন, ‘আদিবাসীদের সংস্কৃতি আমাকে অনেক বেশি টানে। আমি আমার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য-ইতিহাস সবাইকে জানাতে চাই। এ ছাড়া নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জানাতে চাই ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের কথা।’
লাপলের চোখে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন নিজেকে ছাড়িয়ে, নিজের সম্প্রদায়, নিজের ভূমি, নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
নাম তাঁর লাপল কড়া। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া কড়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। লাপল আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের স্নাতক (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কড়া সম্প্রদায় থেকে লাপলই প্রথম গ্রামের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে কড়া সম্প্রদায়ের বসবাস দিনাজপুরে। এ দেশে কড়া সম্প্রদায়ের ২৮টি পরিবার রয়েছে। এই ২৮ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১০৪ জন, যারা এই ভূমিতে এই সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রেখেছেন। কড়া সম্প্রদায়ের পেশা কৃষি। ফসল রোপণ ও কাটার সময় ছাড়া বছরের বাকি সময় এরা দিনমজুরের কাজ করেন। কড়াদের অভাবের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। তবু সহজ-সুন্দর জীবন তাদের। কিন্তু এই সারল্য, অভাব এবং সংখ্যায় কম হওয়াটাই তাদের কাল হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা তাদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালায়।
ইতিহাসের পাতায় কড়া সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ও ভূমি দস্যুদের অত্যাচারে কড়া সম্প্রদায়ের অধিকাংশ পরিবার এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে যে অল্প কয়েকজন টিকে আছেন, তাঁদেরও যেতে হয় নানা হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়ে।
দিনাজপুরের হালজায় লাপলের বেড়ে ওঠা। লাপল কড়ার মায়ের নাম সাতোল কড়া, বাবা রতন কড়া। বাবা মারা যান ২০১৬ সালে। সে সময় লাপল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লাপলেরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম সাপোল কড়া। ছোট বোন পূর্ণিমা কড়া। লাপল স্থানীয় রাঙ্গন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, হালজা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বোর্ড হাট মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। বেশ কষ্ট করেই তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এবার তাঁর লড়াইটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছাল। লাপলের পরিবার এবং কড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটি অনেক বড় ঘটনা।
এ বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী লাপল কড়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব, সেটা একটা সময় স্বপ্নের মতো মনে হতো। কোনো দিন ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে পারব। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ভয় লেগেছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাত ঘেমে গিয়েছিল। এতটাই যে, কিছু প্রশ্নের উত্তর ভুলও দিয়েছিলাম।’
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত লাপল। তাঁর মুখেই শোনা যাক—এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মনে হচ্ছে আমার জীবনে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। জীবনের অন্ধকার দিন শেষে আলোর পথ দেখছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভর্তির খবর শুনে মা খুব খুশি হয়েছেন। কারণ, বড় ভাইয়ের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের মনে খুব ইচ্ছে হয়—আমি যেন পড়ালেখা করে চাকরি করি। মায়ের সেই ইচ্ছা থেকে আমার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।’
লাপলের কাছে তাঁর শৈশবের দিনগুলোর কথা শুনতে চাইলে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, আর এক বোন। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমাদের গ্রামের সব পরিবার দরিদ্র। তাই শিক্ষিতের হার ছিল খুবই কম। আমাদের গ্রামের পরিবারগুলোর কারও আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আর্থিক সংকটের কারণে এই পরিবারগুলোর সন্তানেরা স্কুল থেকে দ্রুত ঝরে পড়ত। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় বেশি দূর এগোতে পারত না। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগত। এ ছাড়া এই গ্রামের কেউ পড়ালেখা করার জন্য উৎসাহ দিতেন না। তবে ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছে ছিল আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হব। কিন্তু গরিব হওয়াটা আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।’
জন্মের পর থেকে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের একজন লাপল। পড়ালেখা করার জন্য স্কুলে ভর্তি হবে, সে কথা আগে কখনো ভাবেননি। কিন্তু পড়ালেখার প্রতি যার ছোটবেলা থেকে অদম্য ইচ্ছা, সে কি আর পড়ালেখা থেকে দূরে থাকতে পারে? লাপলের জীবনে পড়ালেখার যাত্রা শুরু হয় একটা ঘটনা দিয়ে। কী সেটা? লাপল বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম, তখন গ্রামের বাঙালি ছেলেদের সঙ্গে সাইকেলের টায়ার চালিয়ে ওদের স্কুলে যেতাম। ওরা স্কুলে ঢুকে গেলে আমি স্কুলের মাঠে সাইকেলের টায়ার নিয়ে খেলা করতাম। একদিন ওই স্কুলের এক শিক্ষক আমাকে ডেকে বলেন, “তোমার কী নাম? তোমার বাড়ি কোথায়? তোমার বাবাকে একদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে বলবে। ” এর পর বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৫ সালে আমি সে স্কুলে ভর্তি হই। স্কুলে ভর্তি হতে পেরে সেদিন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।’
লাপল ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘টানাপোড়েনের সংসারে আমি তৃতীয় শ্রেণি থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতাম। স্কুলের ছুটিগুলোতে একটু বেশি কাজ করতাম। বাবার সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। যখন আমি নবম শ্রেণির ছাত্র, তখন বাবা মারা যান। আবার বড় ভাই প্রতিবন্ধী। তাই পরিবারের বেশির ভাগ দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। এ কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি আমি মায়ের সঙ্গে রাজমিস্ত্রি, ধান রোপণের কাজ করতাম।’
লাপলেরা জানে ক্ষুধার কষ্ট কী। সে সময় এক মণ ধান মাড়াই করলে মহাজন ৫ কেজি ধান দিতেন। লাপলের মা ধান মাড়াই করে সে ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের খরচ দেন। এ ছাড়া এলাকার কয়েকজন বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় লাপল এইচএসসি পাস করেন।
অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রতিকূল পরিবেশেও লাপল পড়ালেখা মাঝপথে থামিয়ে দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে লাপল বলেন, ‘আদিবাসীদের সংস্কৃতি আমাকে অনেক বেশি টানে। আমি আমার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য-ইতিহাস সবাইকে জানাতে চাই। এ ছাড়া নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জানাতে চাই ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের কথা।’
লাপলের চোখে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন নিজেকে ছাড়িয়ে, নিজের সম্প্রদায়, নিজের ভূমি, নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
৩৫ মিনিট আগেপটুয়াখালী শহরের পিটিআই এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও শিশুকে নির্যাতন এবং বাসার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি)।
৪০ মিনিট আগেচার বছর ধরে প্রকল্প নেওয়া হলেও পরিবহনমালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্যে আজ পর্যন্ত সফলতা আসেনি বাস রুট রেশনালাইজেশনের। ২০১৬ সালে প্রথম চিন্তা করা হয় ঢাকার বাসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতায় আনার। ২০১৮ সালে কমিটি করা হয়, আর ২০২১ সালে চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ
১ ঘণ্টা আগেবাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালু হয়েছে বিনা লাভের সবজি বাজার। গণঅভূথ্যানের ১০০ তম দিন পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
১ ঘণ্টা আগে