নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোটি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক হতভাগ্য পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা গ্রামের কৃষক হাসান আলীর ছেলে সাগর হোসেন (২২)। তিনি বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
কৃষক বাবার সংসারে দারিদ্র্যের কারণে উচ্চমাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা চালাতে পারেননি সাগর। ইচ্ছে ছিল, ভাগ্যোন্নয়নের বিদেশে যাবেন কিন্তু অর্থাভাবে সেটিও হয়নি। তাই বিদেশযাত্রার অর্থ জোগাতে ঢাকায় এসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন সাগর। মাকে গতকাল বৃহস্পতিবারও ফোনে জানিয়েছিলেন, দ্রুতই বাড়ি ফিরবেন। তবে হতভাগ্য মা বুঝতে পারেননি, পরের দিনই নিথর দেহে তাঁর কোলে ফিরবেন সাগর।
আগুনে পুড়ে ভাতিজার মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন সাগরের চাচা আবু তালেব। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আমতলায় বসে বিলাপ করছিলেন আবু তালেব আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
আবু তালেবের বড় ভাই হাসান আলী। সাগর তাঁর ছোট ছেলে। আবু তালেব বিলাপ করে বলেন, ‘দুই সন্তানের মধ্যে সাগর বড়। সংসারে অভাবের কারণে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর আর পড়াশোনা করতে পারেনি। বিদেশে যাওয়ার টাকা দিতে পারিনি। তাই ছেলে গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকায় এসেছে কাজ করে বিদেশে যাওয়ার টাকা জমাতে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে মালয়েশিয়া থাকে, সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল। আমিও চেয়েছিলাম, ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠাব। তবে ঢাকায় কোন কোম্পানিতে কাজ করত সেটিও জানি না।’
আবু তালেব আরও বলেন, ‘গতকাল রাতেও ছেলে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। কয়েক দিন পর বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। এরই মধ্যে রাতে বিদেশ থেকে আমার ভাতিজা জানায় যে, সাগর যেখানে চাকরি করত সেখানে আগুন লেগে সে আহত হয়েছে। সকালে জানতে পারি সে আর বেঁচে নেই। ভোরে রওনা দিয়ে মাত্র ঢাকায় এলাম।’
ছেলের মরদেহ শনাক্ত করার আবু তালেব বলেন, ‘আমার ভাতিজার চেহারা ছাড়া পুরো শরীর পুড়ে গেছে। তবে চেহারাটা দেখে চেনা গেছে। এ ছাড়া হাতে থাকা ব্রেসলেট দেখে ছেলেকে শনাক্ত করেছি।’
সাগর পাবনার ফরিদপুরের ইউনুস আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকায় এসে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনের নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব ছিলেন ছিলেন। বাবা হাসান আলী অসুস্থ। ছেলের লাশ নিতে তিনি ঢাকায় আসতে পারেননি।
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোটি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক হতভাগ্য পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা গ্রামের কৃষক হাসান আলীর ছেলে সাগর হোসেন (২২)। তিনি বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
কৃষক বাবার সংসারে দারিদ্র্যের কারণে উচ্চমাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা চালাতে পারেননি সাগর। ইচ্ছে ছিল, ভাগ্যোন্নয়নের বিদেশে যাবেন কিন্তু অর্থাভাবে সেটিও হয়নি। তাই বিদেশযাত্রার অর্থ জোগাতে ঢাকায় এসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন সাগর। মাকে গতকাল বৃহস্পতিবারও ফোনে জানিয়েছিলেন, দ্রুতই বাড়ি ফিরবেন। তবে হতভাগ্য মা বুঝতে পারেননি, পরের দিনই নিথর দেহে তাঁর কোলে ফিরবেন সাগর।
আগুনে পুড়ে ভাতিজার মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন সাগরের চাচা আবু তালেব। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আমতলায় বসে বিলাপ করছিলেন আবু তালেব আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
আবু তালেবের বড় ভাই হাসান আলী। সাগর তাঁর ছোট ছেলে। আবু তালেব বিলাপ করে বলেন, ‘দুই সন্তানের মধ্যে সাগর বড়। সংসারে অভাবের কারণে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর আর পড়াশোনা করতে পারেনি। বিদেশে যাওয়ার টাকা দিতে পারিনি। তাই ছেলে গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকায় এসেছে কাজ করে বিদেশে যাওয়ার টাকা জমাতে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে মালয়েশিয়া থাকে, সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল। আমিও চেয়েছিলাম, ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠাব। তবে ঢাকায় কোন কোম্পানিতে কাজ করত সেটিও জানি না।’
আবু তালেব আরও বলেন, ‘গতকাল রাতেও ছেলে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। কয়েক দিন পর বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। এরই মধ্যে রাতে বিদেশ থেকে আমার ভাতিজা জানায় যে, সাগর যেখানে চাকরি করত সেখানে আগুন লেগে সে আহত হয়েছে। সকালে জানতে পারি সে আর বেঁচে নেই। ভোরে রওনা দিয়ে মাত্র ঢাকায় এলাম।’
ছেলের মরদেহ শনাক্ত করার আবু তালেব বলেন, ‘আমার ভাতিজার চেহারা ছাড়া পুরো শরীর পুড়ে গেছে। তবে চেহারাটা দেখে চেনা গেছে। এ ছাড়া হাতে থাকা ব্রেসলেট দেখে ছেলেকে শনাক্ত করেছি।’
সাগর পাবনার ফরিদপুরের ইউনুস আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকায় এসে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনের নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব ছিলেন ছিলেন। বাবা হাসান আলী অসুস্থ। ছেলের লাশ নিতে তিনি ঢাকায় আসতে পারেননি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বারি) ফুটবল খেলা শেষে স্লেজিং (কটু কথা) করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষক-সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গত মাসে দুই জাহাজে আগুনের পেছনে কোনো নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জাহাজ দুটির ক্রুদের অদক্ষতা, অবহেলা ও যথাযথ প্রস্তুতির অভাবের কথা উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।
১০ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কালের কণ্ঠের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখকে মারধর করার অভিযোগে শাখা ছাত্রদল থেকে মাশফিকুল রাইনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে
১০ মিনিট আগেমুক্তির দাবিতে খুলনা জেলা কারাগারে অনশনরত দুই জঙ্গির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আট দিন ধরে কারা হাসপাতালে রেখে স্যালাইনের মাধ্যমে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
২০ মিনিট আগে