রাজধানীর চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে আজ বুধবার বিকেলে পরপর বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশে থাকা পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিউমার্কেট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। 

• দোকান খোলার অপেক্ষায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা

ধারণা করা হচ্ছে, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে দোকান খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা ফের রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিল, ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেটের দোকান খোলা যাবে না। 

এদিকে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের ঘোষণার কিছুক্ষণ পর গাউছিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেটের কিছু দোকান খোলা শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ হলে ফের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

• নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় তৃতীয় পক্ষকে দায়ী করল মালিক সমিতি

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মার্কেট খোলার পর যখন ক্রেতা আসতে শুরু করেছে তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। 

এদিকে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে হকার্স মার্কেট মোড় এবং চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সমানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট। 

• হল-ক্যাম্পাস ছাড়েননি ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

ককটেলের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড আবদুল কুদ্দুস শিকদার। তিনি বলেন, ‘শব্দটা কোত্থেকে আসছে সেটা দেখার জন্য আমরা এসেছি। আমি এখন শিক্ষার্থীদের কাছে যাব। আশা করি পরিস্থিতি শান্ত হবে।’ 

ড. আবদুল কুদ্দুস শিকদার বলেন, ‘যেহেতু আমরা সমাধানের জন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আজকে বসলে সমাধান হয়ে যাবে। এর আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি দোকান না খোলাই উচিত ছিল বলে আমি মনে করি।’