যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে (মিয়া আরেফী) সাজিয়ে আনার অভিযোগে গ্রেপ্তার অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। 

আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁকে হাজির করা হয়। পুলিশ সারওয়ার্দীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে বলে আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শাহ আলম জানান। তিনি জানান, বেলা ৩টার পরে রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে গত রোববার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রূপ ধারণ করে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে বাদী হয়ে মামলাটি করেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার। মামলায় সারওয়ার্দী ছাড়াও বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন ও মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফীকে আসামি করা হয়েছে। মিয়া আরেফীকে গত সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

• সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী গ্রেপ্তার

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেন। 

• বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকে আটকের পর মামলা, সারওয়ার্দী–ইশরাকও আসামি

সংঘর্ষে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন ১ নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে আরেফী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন। 

২৮ অক্টোবর বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পরদিন রোববার বিমানবন্দর থেকে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।