নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছর প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৪ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিন জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন একজন নারী। ৩১ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩৭ জন নারী। এর মধ্যে ৬৫ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪৯ জন নারী। এছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৩ জন।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আট জন। সাত জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা, চলতি বছর প্রথম তিন মাসে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৭৯ জন নারী-পুরুষ। তাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ৫৫ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ। বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ৪৫ জন। বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ২৬ জন।
এতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত তিন মাসে ৩২৫ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১৩৯ শিশু এবং একজন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ২৭ শিশু। বিভিন্ন সময়ে ৩২ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার হয়েছে ১৪ ছেলে শিশু এবং বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে একজন শিশুকে।
আসক বলছে, হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা জরুরি। অন্যথায়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২৬৮টি। এতে নিহত হয়েছেন ২৩ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৩৬৮ জন।
দেশের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক ও নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানোর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিগত তিন মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ১৪ জন এবং হাজতি ২১ জন। গত তিন মাসে ২০টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৩টি বাড়িসহ ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গত তিন মাসে ৮১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ এর গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ছয় বাংলাদেশি নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও চার জন। অপর দিকে মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে একজন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজন নিহত হয়েছেন।
তিন মাসে গণপিটুনীর ঘটনায় নিহত হন ১৭ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে একজন নিহত হয়েছেন।
চলতি বছর প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৪ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিন জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন একজন নারী। ৩১ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩৭ জন নারী। এর মধ্যে ৬৫ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪৯ জন নারী। এছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৩ জন।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আট জন। সাত জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা, চলতি বছর প্রথম তিন মাসে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৭৯ জন নারী-পুরুষ। তাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ৫৫ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ। বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ৪৫ জন। বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ২৬ জন।
এতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত তিন মাসে ৩২৫ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১৩৯ শিশু এবং একজন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ২৭ শিশু। বিভিন্ন সময়ে ৩২ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার হয়েছে ১৪ ছেলে শিশু এবং বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে একজন শিশুকে।
আসক বলছে, হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা জরুরি। অন্যথায়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২৬৮টি। এতে নিহত হয়েছেন ২৩ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৩৬৮ জন।
দেশের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক ও নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানোর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিগত তিন মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ১৪ জন এবং হাজতি ২১ জন। গত তিন মাসে ২০টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৩টি বাড়িসহ ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গত তিন মাসে ৮১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ এর গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ছয় বাংলাদেশি নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও চার জন। অপর দিকে মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে একজন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজন নিহত হয়েছেন।
তিন মাসে গণপিটুনীর ঘটনায় নিহত হন ১৭ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে একজন নিহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে ওই লাশটি নারী না পুরুষের তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
১০ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ১০ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সুমাইয়া (১০) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সে ৬ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
২৬ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নবগঠিত ময়নামতি উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব দিদারুল আলম দিদার। তিনি বলেন, ‘কোনো এক অদৃশ্য কারণে অতীতে ময়নামতি অঞ্চল বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চল ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় কোনোভাবেই বুড়িচং উপজেলার অংশ হওয়া উচিত ছিল না। আধুনিক সভ্যতায় তথ্যপ্রযুক্তির..
২৭ মিনিট আগেনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী-চন্দ্রগঞ্জ সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাস চাপায় সিএনজিতে থাকা আইরিন আক্তার (১৪) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন নিহতের ছোট বোন আঁখি আক্তার (৭)। ঘটনার পর দ্রুত পালিয়ে যায় বাসটি...
৩৯ মিনিট আগে