নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানার চটবাড়ি নবাবেরবাগ এলাকার বাসিন্দা বাসু মিয়া ও বাদী চিনু মিয়ার চটবাড়ি এলাকায় ১০ শতাংশের একটি পৈতৃক দখলিয় সম্পত্তি ছিল। জমিটি আজগর আলীর কাছে বাৎসরিক ভিত্তিতে লিজ দেওয়া ছিল। লিজে নেওয়া জমি জাল দলিলে আত্মসাৎ করেন আজগর আলী। সেই জমিটি স্থানীয় মৎস্য সমিতিতে দিয়ে দেন তিনি। সেখানে ২০১২ সালে ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে জমির মালিক বাসুর ওপর হামলা করেন সমিতির লোকজন।
সমিতির সদস্য আলকেস অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসু। এ ঘটনায় নিহতের ভাই চিনু মিয়া ঘাতক আলকেসসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে মিরপুর শাহ আলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আলকেস গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। এ ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। বাসু হত্যা মামলার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি আলকেসকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
১২ বছর ধরে আলকেস ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে সে পেশা পরিবর্তন করে আসছিলেন। এমনকি কারাগার থেকে বের হয়ে দুই সহকারীকে হত্যা করেন আলকেস। বরিশাল গিয়ে বাস ও ট্রাকে পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বেপরোয়াভাবে বাস চালাতে গিয়ে সিলেটে এক পথচারীকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা হলে সে পালিয়ে কুয়াকাটা মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করে। মাছ ধরার পাশাপাশি সাগরে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করতে থাকেন। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত গত দেড় বছর ধরে একটি দূরপাল্লার পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন আলকেস।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, তিনটি হত্যা মামলার আসামি মো. আলকেস, মামলার বাদী চিনু মিয়া ও নিহত বাসু মিয়া (৪৮) একই এলাকার বাসিন্দা। মামলার বাদী চিনু মিয়া নিহত বাসু মিয়ার আপন ছোট ভাই। গ্রেপ্তার আলকেস রাজধানীর শাহ আলী থানার চটবাড়ি নবাবেরবাগ এলাকার মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য। নিহত বাসু মিয়া ও বাদী চিনু মিয়ার চটবাড়ি এলাকায় ১০ শতাংশের একটি পৈতৃক দখলিয় সম্পত্তি ছিল। জমিটি আজগর আলীকে লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু আজগর আলী জাল দলিল করে জমিটি আত্মসাৎ করেন। অবৈধভাবে ২০১০ সালে সেই জমিটি সমিতির নামে হস্তান্তর করা হয়। এতে করে ওই জমি মালিকানা নিয়ে মামলার বাদী চিনু মিয়া এবং নিহত বাসু মিয়ার সঙ্গে মৎস্যজীবী সমিতির বিরোধ সৃষ্টি হয়। জমিটি প্রকৃতপক্ষে মূল মালিক চিনু মিয়া ও বাসু মিয়া। সমিতির সদস্য আলকেসসহ অন্যান্যরা মিলে আজগর, গিয়াস উদ্দিন, সুনু মিয়া, জিন্নাত, রুমা, কদর আলীদের নেতৃত্বে ওই সমিতির নামে রাখা জমি জোরপূর্বক দখল করে জায়গাটিতে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে। তখন মামলার বাদী চিনু মিয়া ও নিহত বাসু মিয়া আসামিদের সঙ্গে বিরোধে না জড়িয়ে সিভিল আদালতে মামলা দায়ের করার পর প্রায় দুই বছর পর আদালত বাদী চিনু মিয়া ও বাসু মিয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মামলার বাদী এবং ভিকটিম আদালতের রায় পেয়ে ওই জমিতে ২০১২ সালের শুরুতে ভবন নির্মাণ করা শুরু করে প্রথম তলার ছাদ পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়। ২০১২ সালের ১৪ মে ঘটনার দিন চিনু মিয়ার ভাই বাসু নবনির্মিত ভবনের ছাদে পানি দিচ্ছিলেন। তখন সমিতির সদস্য ও বাসু হত্যা মামলার আসামি আলকেস, আজগর, রাজু, খলিল, সেলিম, কদর আলী, লেদুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে। এ সময় আলকেসের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে বাসুর মাথার বাম পাশে লেগে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ বাসু ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই চিনু মিয়া শাহ আলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৪।
ঘটনার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আলকেসসহ অধিকাংশ আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে আলকেস নিজেকে সম্পৃক্ত করে অন্যান্য আসামির নাম উল্লেখপূর্বক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। কিন্তু আসামিরা চার মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলে অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও আলকেস জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় এবং এই মামলায় আর কখনো হাজিরা দেয়নি।
র্যাব-৪ অধিনায়ক আরও বলেন, মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ১৩ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত একজনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিচারকার্য পরিচালনা করা হয়। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর আলকেস, আজগর আলী, খলিল, সেলিম ও রাজুসহ মোট ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, কদর আলী ও লেদুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। জামিনে থাকা অবস্থায় আলকেস গংয়ের সঙ্গে আজাহার ও সানুর মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আলকেস গং আজাহার ও সানুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ডাবল মার্ডারের মূল আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলকেস।
এ ঘটনায় আলকেসের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন এবং তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট পেন্ডিং আছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কদর আলী হাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত নসু, জিন্নাত, গিয়াস, সালেম উদ্দিন এবং রুমাসহ পাঁচজনকে খালাস প্রদান করেন।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, গত ১২ বছর ধরে আলকেস ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে পেশা পরিবর্তন করে আসছিলেন। প্রথমদিকে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি হত্যা ও ডাকাতি করত। পরবর্তীতে বরিশাল গিয়ে ট্রাকের হেল্পার ও পরে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে। বেপরোয়াভাবে বাস চালানের সময় সিলেটে তার বাসের নিচে পরে একজন নির্মমভাবে নিহত হয় এবং এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানীনগর থানায় পরিবহন আইনে তার বিরুদ্ধে পুনরায় হত্যা মামলা হলে সে পালিয়ে কুয়াকাটায় মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করে। মাছ ধরার পাশাপাশি সাগরে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করত বলে স্বীকার করেছে। প্রকৃতপক্ষে সে একজন অভ্যাসগত কুখ্যাত অপরাধী। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আলকেস গত দেড় বছর ধরে একটি দূরপাল্লার পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে আসামি বিবাহিত এবং তার দুইটি সন্তান আছে যারা তাদের মায়ের সঙ্গে নবাবেরবাগে থাকেন। ঘটনার পর থেকে আসামি ঢাকার সাভার এলাকায় নিজের নাম-ঠিকানা গোপন করে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে বেশির ভাগ সময় আসামি আলকেস বাসায়ও অবস্থান করতেন না বরং ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করতেন।
রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানার চটবাড়ি নবাবেরবাগ এলাকার বাসিন্দা বাসু মিয়া ও বাদী চিনু মিয়ার চটবাড়ি এলাকায় ১০ শতাংশের একটি পৈতৃক দখলিয় সম্পত্তি ছিল। জমিটি আজগর আলীর কাছে বাৎসরিক ভিত্তিতে লিজ দেওয়া ছিল। লিজে নেওয়া জমি জাল দলিলে আত্মসাৎ করেন আজগর আলী। সেই জমিটি স্থানীয় মৎস্য সমিতিতে দিয়ে দেন তিনি। সেখানে ২০১২ সালে ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে জমির মালিক বাসুর ওপর হামলা করেন সমিতির লোকজন।
সমিতির সদস্য আলকেস অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসু। এ ঘটনায় নিহতের ভাই চিনু মিয়া ঘাতক আলকেসসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে মিরপুর শাহ আলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আলকেস গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। এ ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। বাসু হত্যা মামলার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি আলকেসকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
১২ বছর ধরে আলকেস ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে সে পেশা পরিবর্তন করে আসছিলেন। এমনকি কারাগার থেকে বের হয়ে দুই সহকারীকে হত্যা করেন আলকেস। বরিশাল গিয়ে বাস ও ট্রাকে পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বেপরোয়াভাবে বাস চালাতে গিয়ে সিলেটে এক পথচারীকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা হলে সে পালিয়ে কুয়াকাটা মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করে। মাছ ধরার পাশাপাশি সাগরে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করতে থাকেন। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত গত দেড় বছর ধরে একটি দূরপাল্লার পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন আলকেস।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, তিনটি হত্যা মামলার আসামি মো. আলকেস, মামলার বাদী চিনু মিয়া ও নিহত বাসু মিয়া (৪৮) একই এলাকার বাসিন্দা। মামলার বাদী চিনু মিয়া নিহত বাসু মিয়ার আপন ছোট ভাই। গ্রেপ্তার আলকেস রাজধানীর শাহ আলী থানার চটবাড়ি নবাবেরবাগ এলাকার মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য। নিহত বাসু মিয়া ও বাদী চিনু মিয়ার চটবাড়ি এলাকায় ১০ শতাংশের একটি পৈতৃক দখলিয় সম্পত্তি ছিল। জমিটি আজগর আলীকে লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু আজগর আলী জাল দলিল করে জমিটি আত্মসাৎ করেন। অবৈধভাবে ২০১০ সালে সেই জমিটি সমিতির নামে হস্তান্তর করা হয়। এতে করে ওই জমি মালিকানা নিয়ে মামলার বাদী চিনু মিয়া এবং নিহত বাসু মিয়ার সঙ্গে মৎস্যজীবী সমিতির বিরোধ সৃষ্টি হয়। জমিটি প্রকৃতপক্ষে মূল মালিক চিনু মিয়া ও বাসু মিয়া। সমিতির সদস্য আলকেসসহ অন্যান্যরা মিলে আজগর, গিয়াস উদ্দিন, সুনু মিয়া, জিন্নাত, রুমা, কদর আলীদের নেতৃত্বে ওই সমিতির নামে রাখা জমি জোরপূর্বক দখল করে জায়গাটিতে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে। তখন মামলার বাদী চিনু মিয়া ও নিহত বাসু মিয়া আসামিদের সঙ্গে বিরোধে না জড়িয়ে সিভিল আদালতে মামলা দায়ের করার পর প্রায় দুই বছর পর আদালত বাদী চিনু মিয়া ও বাসু মিয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মামলার বাদী এবং ভিকটিম আদালতের রায় পেয়ে ওই জমিতে ২০১২ সালের শুরুতে ভবন নির্মাণ করা শুরু করে প্রথম তলার ছাদ পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়। ২০১২ সালের ১৪ মে ঘটনার দিন চিনু মিয়ার ভাই বাসু নবনির্মিত ভবনের ছাদে পানি দিচ্ছিলেন। তখন সমিতির সদস্য ও বাসু হত্যা মামলার আসামি আলকেস, আজগর, রাজু, খলিল, সেলিম, কদর আলী, লেদুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে। এ সময় আলকেসের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে বাসুর মাথার বাম পাশে লেগে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ বাসু ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই চিনু মিয়া শাহ আলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৪।
ঘটনার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আলকেসসহ অধিকাংশ আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে আলকেস নিজেকে সম্পৃক্ত করে অন্যান্য আসামির নাম উল্লেখপূর্বক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। কিন্তু আসামিরা চার মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলে অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও আলকেস জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় এবং এই মামলায় আর কখনো হাজিরা দেয়নি।
র্যাব-৪ অধিনায়ক আরও বলেন, মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ১৩ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত একজনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিচারকার্য পরিচালনা করা হয়। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর আলকেস, আজগর আলী, খলিল, সেলিম ও রাজুসহ মোট ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, কদর আলী ও লেদুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। জামিনে থাকা অবস্থায় আলকেস গংয়ের সঙ্গে আজাহার ও সানুর মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আলকেস গং আজাহার ও সানুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ডাবল মার্ডারের মূল আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলকেস।
এ ঘটনায় আলকেসের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন এবং তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট পেন্ডিং আছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কদর আলী হাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত নসু, জিন্নাত, গিয়াস, সালেম উদ্দিন এবং রুমাসহ পাঁচজনকে খালাস প্রদান করেন।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, গত ১২ বছর ধরে আলকেস ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে পেশা পরিবর্তন করে আসছিলেন। প্রথমদিকে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি হত্যা ও ডাকাতি করত। পরবর্তীতে বরিশাল গিয়ে ট্রাকের হেল্পার ও পরে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে। বেপরোয়াভাবে বাস চালানের সময় সিলেটে তার বাসের নিচে পরে একজন নির্মমভাবে নিহত হয় এবং এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানীনগর থানায় পরিবহন আইনে তার বিরুদ্ধে পুনরায় হত্যা মামলা হলে সে পালিয়ে কুয়াকাটায় মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করে। মাছ ধরার পাশাপাশি সাগরে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করত বলে স্বীকার করেছে। প্রকৃতপক্ষে সে একজন অভ্যাসগত কুখ্যাত অপরাধী। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আলকেস গত দেড় বছর ধরে একটি দূরপাল্লার পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে আসামি বিবাহিত এবং তার দুইটি সন্তান আছে যারা তাদের মায়ের সঙ্গে নবাবেরবাগে থাকেন। ঘটনার পর থেকে আসামি ঢাকার সাভার এলাকায় নিজের নাম-ঠিকানা গোপন করে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে বেশির ভাগ সময় আসামি আলকেস বাসায়ও অবস্থান করতেন না বরং ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করতেন।
মাদারীপুরের সমাদ্দার এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেলসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে ঢাকা থেকে বরগুনার আমতলীতে একটি ক্লাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার গুয়াপঞ্চক এলাকায় ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে আবদুল আজিজ (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মধ্যম গুয়াপঞ্চক এলাকায় বাড়িতে শোয়ার ঘরে মারা যান তিনি।
২১ মিনিট আগেযশোরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে বাপ্পি (২৫) নামের চালকের সহকারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে শহরের মনিহার এলাকার মনিরুদ্দিন তেল পাম্পের সামনে বাসটি দাঁড়িয়েছিল। বাসে তিনি একাই ছিলেন। বাপ্পি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে।
৩৫ মিনিট আগেমাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
২ ঘণ্টা আগে