বেলাল হোসেন, জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আট বছর পর হতে যাচ্ছে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন। এ জন্য আগামী ১২ আগস্ট সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।
এ সময় উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১১ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সংবিধান অনুযায়ী সিনেটের সচিব তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলমকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক নূরুলের উপ-উপাচার্য পদে মেয়াদ সম্পন্ন হবে।
এ প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার অফিস জানায়, পরবর্তী উপাচার্য কে হবেন তা নির্ধারণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনেটে প্যানেল নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে আগামী ১২ আগস্ট বিশেষ সিনেট অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। এই অধিবেশনের আলোচ্যসূচি শুধুমাত্র তিন সদস্যের প্যানেল মনোনয়ন বিবেচনা করা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে কোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন।
এর আগে, সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সে সময় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে জয়লাভ করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। তবে বর্তমান সিনেটের বৈধ সদস্য ও প্যানেল নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ৮২ জন।
এদিকে অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘কে’ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ বিগত ৩০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘ই’ ধারা অনুযায়ী আচার্য কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদের মেয়াদ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘জে’ ধারা অনুসারে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত চার বছর আগে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘আই’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও গত বছরে শেষ হয়েছে। এতে অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সিনেটের ৬৮টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।
তবে ৬৮ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের পদ শূন্য হচ্ছে না অধ্যাদেশে বর্ণিত ১৯-এর ২ ধারার কারণে। অধ্যাদেশ ১৯-এর ২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিনেটরদের দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উত্তরাধিকার নির্বাচিত, মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত না হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই নির্বাচনে সম্ভাব্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের চারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যাদের নেতৃত্বে থাকবেন সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিন। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের’ মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। বিপরীতে বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকেরা এখনো প্যানেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি।
এদিকে বর্তমান সাময়িক উপাচার্যের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর শীর্ষ নেতৃত্ব প্যানেল নির্বাচন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন আজকের পত্রিকার কাছে।
শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন জরুরি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাওয়া। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল হবে ও শিক্ষা কার্যক্রম গতি পাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্যানেল নির্বাচন হলে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের পক্ষেই ইতিবাচক ফল আসবে।
অন্যদিকে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খালিদ কুদ্দুস বলেন, বিদ্যমান সিনেটের ৬৮ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ অবস্থায় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সমীচীন হবে না। তা ছাড়া এ ধরনের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। যা এখনো আসেনি, এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত আদেশও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া জাতির শোকের মাস আগস্টে এই নির্বাচন কাম্য নয়।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, এই সময় প্যানেল নির্বাচন হলে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের থেকেই চারটি প্যানেল তৈরি হবে। ফলে জাতীয় প্রেক্ষাপটেও এই নির্বাচন সরকার ও প্রশাসনের জন্য শুভ হবে না।
প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, শুধু উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনই না বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদেও নির্বাচন হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সকলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করা যায়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ ধরনের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আশাব্যঞ্জক বিষয়। আমরা চাই এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে। আমরা সিনেটরদের আহ্বান জানায় শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে উপাচার্য নির্বাচিত না করে একাডেমিক লিডারশিপ তৈরিতে সহযোগিতা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের প্যানেল অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। দ্রুতই আলোচনায় বসে এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করা হবে।’
নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছে। তিন সদস্যের প্যানেল মনোনীত করার জন্য আগামী ১২ আগস্ট সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আশা করি এই নির্বাচনের পর পরবর্তী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শিগগিরই।’
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদের মধ্যে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, ২০১৬ সালের এপ্রিলে ডিন নির্বাচন, একই বছরের জুন মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আট বছর পর হতে যাচ্ছে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন। এ জন্য আগামী ১২ আগস্ট সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।
এ সময় উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১১ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সংবিধান অনুযায়ী সিনেটের সচিব তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলমকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক নূরুলের উপ-উপাচার্য পদে মেয়াদ সম্পন্ন হবে।
এ প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার অফিস জানায়, পরবর্তী উপাচার্য কে হবেন তা নির্ধারণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনেটে প্যানেল নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে আগামী ১২ আগস্ট বিশেষ সিনেট অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। এই অধিবেশনের আলোচ্যসূচি শুধুমাত্র তিন সদস্যের প্যানেল মনোনয়ন বিবেচনা করা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে কোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন।
এর আগে, সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সে সময় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে জয়লাভ করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। তবে বর্তমান সিনেটের বৈধ সদস্য ও প্যানেল নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ৮২ জন।
এদিকে অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘কে’ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ বিগত ৩০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘ই’ ধারা অনুযায়ী আচার্য কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদের মেয়াদ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘জে’ ধারা অনুসারে শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত চার বছর আগে। অধ্যাদেশের ১৯ (১)-এর ‘আই’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও গত বছরে শেষ হয়েছে। এতে অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সিনেটের ৬৮টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।
তবে ৬৮ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের পদ শূন্য হচ্ছে না অধ্যাদেশে বর্ণিত ১৯-এর ২ ধারার কারণে। অধ্যাদেশ ১৯-এর ২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিনেটরদের দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উত্তরাধিকার নির্বাচিত, মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত না হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই নির্বাচনে সম্ভাব্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের চারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যাদের নেতৃত্বে থাকবেন সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিন। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের’ মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। বিপরীতে বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকেরা এখনো প্যানেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি।
এদিকে বর্তমান সাময়িক উপাচার্যের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর শীর্ষ নেতৃত্ব প্যানেল নির্বাচন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন আজকের পত্রিকার কাছে।
শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন জরুরি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাওয়া। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল হবে ও শিক্ষা কার্যক্রম গতি পাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্যানেল নির্বাচন হলে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের পক্ষেই ইতিবাচক ফল আসবে।
অন্যদিকে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খালিদ কুদ্দুস বলেন, বিদ্যমান সিনেটের ৬৮ জন সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ অবস্থায় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সমীচীন হবে না। তা ছাড়া এ ধরনের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। যা এখনো আসেনি, এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত আদেশও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া জাতির শোকের মাস আগস্টে এই নির্বাচন কাম্য নয়।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, এই সময় প্যানেল নির্বাচন হলে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের থেকেই চারটি প্যানেল তৈরি হবে। ফলে জাতীয় প্রেক্ষাপটেও এই নির্বাচন সরকার ও প্রশাসনের জন্য শুভ হবে না।
প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, শুধু উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনই না বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদেও নির্বাচন হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সকলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করা যায়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ ধরনের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আশাব্যঞ্জক বিষয়। আমরা চাই এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে। আমরা সিনেটরদের আহ্বান জানায় শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে উপাচার্য নির্বাচিত না করে একাডেমিক লিডারশিপ তৈরিতে সহযোগিতা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের প্যানেল অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। দ্রুতই আলোচনায় বসে এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করা হবে।’
নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছে। তিন সদস্যের প্যানেল মনোনীত করার জন্য আগামী ১২ আগস্ট সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আশা করি এই নির্বাচনের পর পরবর্তী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শিগগিরই।’
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পর্ষদের মধ্যে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, ২০১৬ সালের এপ্রিলে ডিন নির্বাচন, একই বছরের জুন মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ট্রাকের চাপায় রবিউল ইসলাম রবি (৪২) নামের এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাক চালক সুমন শেখকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ।
১১ মিনিট আগেবগুড়ায় চলতি আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে খাদ্য বিভাগ। ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান এবং ১৭ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধ ও আতপ চাল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
১৫ মিনিট আগেরাজশাহীতে যুবলীগ কর্মী মিম (২৮) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নিহতের পরিবার। মানববন্ধন থেকে মিম হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
১৬ মিনিট আগেনাছিমা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীর একার উপার্জনেই দুই সন্তানসহ আমাদের চারজনের সংসার চলে। সহায়-সম্পত্তি না থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঢাকার সাভারে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে থাকেন। আমার জানামতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন। কিন্তু ১৬ নভেম্বর
১৮ মিনিট আগে