রাজধানীতে সড়ক পরিবহন আইনে গত ২০২২ সালে ২ লাখ ৬৪ হাজার মামলায় ৫৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। আগামীকাল শনিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ২০২২ সালে ২ হাজার ৩৭৭ জন নারী ও শিশুকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ২ হাজার ১০ মামলায় ১ হাজার ৭০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করায় সাইবার অপরাধের ১৭১ মামলায় ১১৫ জন, ৩৫ মামলায় ৮৭ জন জঙ্গি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬ হাজার ৩৫ মামলায় ২১ হাজার ৯৮০ জন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ মামলায় ৪১০ জন এবং ১৬৯টি চোরাচালান মামলায় শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সাফল্যের কথা তুলে ধরে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ বলছে, কাজের পরিধি বেশি হওয়ায় অন্য ইউনিট থেকে অনেক বেশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ডিএমপিকে গড়ে তোলা হয়েছে। শুরুতে আধুনিকতার তেমন ছোঁয়া না থাকলেও ডিজিটাল যুগে প্রবেশের সঙ্গে অপরাধের ধরন অনুযায়ী তা মোকাবিলা ও প্রতিরোধে পর্যায়ক্রমে গঠন করা হয় নতুন নতুন ইউনিট। 

‘শান্তি শপথে বলীয়ান’—এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাজধানী ঢাকার জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে ডিএমপি; নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্বেও। 

রাজধানী ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ টিম গড়তে ডায়নামিক রেসপন্স ইন্টেলিজেন্ট মনিটরিং সিস্টেম (ডিআরআইএমএস) ও সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস), সাসপেক্ট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এসআইভিএস), ফেসম্যাচিং, সিআইএ ল্যাব, আইপি ট্র্যাকার, সাইবার বুলিং অ্যান্ড ক্রাইম মনিটরিং সিস্টেম, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম, হ্যালো সিটি অ্যাপ, সিডিএমএস ও পিআইএমএস ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। 

বর্তমানে ডিএমপিতে ৫৭টি বিভাগ ও ৫০টি থানা রয়েছে। ১ জন পুলিশ কমিশনার, ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ৫৭ জন উপপুলিশ কমিশনারসহ প্রায় ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরীতে প্রতি রাতে বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় আট হাজার পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন। অপরাধ দমন ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের অংশ হিসেবে ঢাকা শহরে দেড় হাজারের বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করা হচ্ছে। 

আগামীকাল বেলা ৩টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ৪৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সেখানে উপস্থিত থাকবেন। পরে বিকেল ৪টায় কেক কেটে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিকেল সোয়া ৪টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে।