পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘১৫ রোজা শেষ হয়ে গেছে। এখন মার্কেটগুলোতে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকবে। এ সময় মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি বা টানা পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায়। এ জন্য থানার টহল পুলিশকে আরও সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল টিম দিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।’ 

শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অপরাধ প্রতিরোধ করতে হবে। শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না।’ 

ট্রাফিক ডিভিশনের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে যানজটের চাপ বেড়ে যায়। এ জন্য প্রয়োজনে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।’ 

ঢাকা মহানগরীর কোথাও কোন বড় ধরনের অঘটন না ঘটায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদের সময় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য নগরবাসীর অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এ সময় তাদের বাসা-বাড়ি ফাঁকা থাকে। এ সময় যেন কোন ধরনের অঘটন না ঘটে বাসাবাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

প্রয়োজনে ঢাকা ত্যাগ করা নগরবাসীকে দামি স্বর্ণালংকার পার্শ্ববর্তী আত্মীয়স্বজনের নিকট রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার। 

এ দিকে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম আর পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. তোফাজ্জল হোসেন। ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী। ৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কাজী হানিফুল ইসলাম। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১০টি বিভাগসহ ৫০ জন অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।