কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি ছাড়লেও যেন শ্রমিকের তথ্য হারিয়ে না যায়, সে জন্য স্থায়ী ডেটাবেইস তৈরির চিন্তা করছে সরকার। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের স্মার্ট জীবন যাপনের জন্য শ্রম বিধিমালা বাস্তবায়নেরও চেষ্টা চলছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘গার্মেন্টস শ্রমিক তারকামেলা’-শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসবে বক্তারা এসব কথা জানান। 

অনুষ্ঠানে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, সরকার অবশ্যই শ্রম বিধিমালা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যেন শ্রমজীবী মানুষেরা স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে। 

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সরকার সব শ্রমিকের জন্য ডেটাবেইস তৈরি করার কথা চিন্তা করেছে, যেন কোনো শ্রমিক হারিয়ে না যায়। এ ছাড়া করোনার কারণে যে শ্রমিকেরা গ্রামে ফিরে গিয়েছেন, সরকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাঁদের কিছু অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। 

কর্মজীবী নারী (কেএন) এবং সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) দুটি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন জিআইজেডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ‘সুস্থ শ্রমিক শোভন কর্মপরিবেশ: উৎপাদনে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে ৫০০ নারী ও পুরুষ গার্মেন্টস ও ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকেরা অংশ নেন। সারা দিনের এই অনুষ্ঠানে শ্রমিক ও শ্রমিকদের সন্তানরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বাউল গান পরিবেশন করেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাধীন শাহ-এর রচনা ও নির্দেশনায় থিয়েটার আর্টের পরিবেশনায় তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটক ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’ পরিবেশিত হয়। 

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর চত্বরে উইমেন ক্যাফেকেন্দ্রিক বিভিন্ন কার্যক্রমের সমন্বয়ে স্টল স্থাপন এবং উপস্থিত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।