নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সকাল সাড়ে দশটা। ঢাকার আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনের কার্যালয়। ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই এগিয়ে এলেন ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ। কার কাছে যাবেন কেন এসেছেন, কী কাজ আপনার? প্রশ্নে প্রশ্নের জর্জরিত করে ফেললেন এই প্রতিবেদককে। বুঝতে বাকি রইল না যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলছে।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাই হওয়ার পর সোমবার ডিসি প্রসিকিউশন কার্যালয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে ডিসি কার্যালয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও আদালত পাড়ায় তার বালাই নেই বললেই চলে। নিরাপত্তার নামে ভোগান্তি আছে। এমনটাই দেখা গেল সারা দিন। যদিও গতকাল রোববার জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর দেশের সব আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানোর মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সামনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হাজির হন। ৮টার মধ্যে যার যার নির্ধারিত স্থানে চলে যান। সিএমএম আদালতের হাজতখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের হাজাতখানাও নিরাপত্তায় ঢাকা ছিল। ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের হাজত খানাও একইভাবে ঘিরে রাখে পুলিশ।
তবে আদালতের অন্যান্য ভবনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সিএমএম আদালত ভবন যেটা দশ তলা ভবন নামে পরিচিত তার নিচে একজন মাত্র পুলিশকে কর্তব্যরত দেখা যায়। কোন চেকিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এই আদালত ভবনের সামনে রয়েছে একটি আর্চওয়ে যন্ত্র তবে তাও অকার্যকর।
সিজেএম আদালত ভবন থেকে বের হওয়ার পরই জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। অথচ এই ভবনের নিচের ফটকে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। সিজেএম আদালত চত্বরে ঢোকার যে প্রধান ফটক যেখান থেকে জঙ্গি ছিনতাই হয় সেখানে কর্তব্যরত রয়েছে দুজন পুলিশ। এখানে ফটকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ছোট পকেট গেট দিয়ে আইনজীবীরা এবং বিচার প্রার্থীরা ঢুকছে এবং বের হচ্ছে। দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে ঢোকা এবং বের হওয়ার।
রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা থেকে আসা আবুল কালাম বলেন, ‘নিরাপত্তা তেমন নেই কিন্তু গেট বন্ধ। পকেট গেট দিয়ে ঢোকা এবং বের হওয়া খুব কষ্টকর।’
এদিকে জজ আদালত এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে। জেলা জজ আদালতের নতুন ভবনের দুটি গেটের শুধু পকেট গেট খোলা, তবে সেখানে কোন পুলিশ দেখা যায়নি। জেলা জজ আদালতের পুরোনো ভবন ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের পূর্ব পাশের প্রধান গেটটি খোলা রয়েছে সেখানে একজন মাত্র পুলিশ দায়িত্ব রয়েছে যাকে দেখা গেছে মোবাইলে কথা বলছেন। এই দুই ভবনের পশ্চিম পাশের কলাপসিবল গেট বন্ধ দেখা গেছে। সকাল ১০টার দিকে শত শত লোক সারিবদ্ধভাবে লাইন দিয়ে ঢুকছে পকেট গেটের মধ্যে দিয়ে। এখানেও কোন পুলিশ কর্তব্যরত দেখা যায়নি।
ঢাকার আইনজীবীরা জানান, নিরাপত্তা বলতে আগের মতই, বাড়তি কোন নিরাপত্তা আদালত ভবনের চারদিকে নেই। তবে শুধু পকেট গেট খোলা রেখে বিচারপ্রার্থী আইনজীবীদের যাতায়াতে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আদালত শুরু হওয়ার সময়। প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের সমাগম হয় অথচ মূল ফটকগুলো বন্ধ করে পকেট গেট দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটা এক ধরনের ভোগান্তি।’
তবে সিজেএম আদালত ভবনের আট তলায় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চলাকালীন সময়ে বাড়তি নিরাপত্তা নিতে দেখা গেছে। সেখানে কর্তব্যরত এসআই শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। গতকালের ঘটনার পরে আজ একটু বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ঢাকার ডিসি প্রসিকিউশন মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেকোনো সময়ের চেয়ে আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে আদালত থেকে কোনো আসামি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে এবং গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে সেদিক লক্ষ্য রাখার জন্য।’
সকাল সাড়ে দশটা। ঢাকার আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনের কার্যালয়। ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই এগিয়ে এলেন ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ। কার কাছে যাবেন কেন এসেছেন, কী কাজ আপনার? প্রশ্নে প্রশ্নের জর্জরিত করে ফেললেন এই প্রতিবেদককে। বুঝতে বাকি রইল না যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলছে।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাই হওয়ার পর সোমবার ডিসি প্রসিকিউশন কার্যালয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে ডিসি কার্যালয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও আদালত পাড়ায় তার বালাই নেই বললেই চলে। নিরাপত্তার নামে ভোগান্তি আছে। এমনটাই দেখা গেল সারা দিন। যদিও গতকাল রোববার জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর দেশের সব আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানোর মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সামনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হাজির হন। ৮টার মধ্যে যার যার নির্ধারিত স্থানে চলে যান। সিএমএম আদালতের হাজতখানার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের হাজাতখানাও নিরাপত্তায় ঢাকা ছিল। ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের হাজত খানাও একইভাবে ঘিরে রাখে পুলিশ।
তবে আদালতের অন্যান্য ভবনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সিএমএম আদালত ভবন যেটা দশ তলা ভবন নামে পরিচিত তার নিচে একজন মাত্র পুলিশকে কর্তব্যরত দেখা যায়। কোন চেকিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এই আদালত ভবনের সামনে রয়েছে একটি আর্চওয়ে যন্ত্র তবে তাও অকার্যকর।
সিজেএম আদালত ভবন থেকে বের হওয়ার পরই জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। অথচ এই ভবনের নিচের ফটকে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। সিজেএম আদালত চত্বরে ঢোকার যে প্রধান ফটক যেখান থেকে জঙ্গি ছিনতাই হয় সেখানে কর্তব্যরত রয়েছে দুজন পুলিশ। এখানে ফটকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ছোট পকেট গেট দিয়ে আইনজীবীরা এবং বিচার প্রার্থীরা ঢুকছে এবং বের হচ্ছে। দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে ঢোকা এবং বের হওয়ার।
রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা থেকে আসা আবুল কালাম বলেন, ‘নিরাপত্তা তেমন নেই কিন্তু গেট বন্ধ। পকেট গেট দিয়ে ঢোকা এবং বের হওয়া খুব কষ্টকর।’
এদিকে জজ আদালত এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে। জেলা জজ আদালতের নতুন ভবনের দুটি গেটের শুধু পকেট গেট খোলা, তবে সেখানে কোন পুলিশ দেখা যায়নি। জেলা জজ আদালতের পুরোনো ভবন ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের পূর্ব পাশের প্রধান গেটটি খোলা রয়েছে সেখানে একজন মাত্র পুলিশ দায়িত্ব রয়েছে যাকে দেখা গেছে মোবাইলে কথা বলছেন। এই দুই ভবনের পশ্চিম পাশের কলাপসিবল গেট বন্ধ দেখা গেছে। সকাল ১০টার দিকে শত শত লোক সারিবদ্ধভাবে লাইন দিয়ে ঢুকছে পকেট গেটের মধ্যে দিয়ে। এখানেও কোন পুলিশ কর্তব্যরত দেখা যায়নি।
ঢাকার আইনজীবীরা জানান, নিরাপত্তা বলতে আগের মতই, বাড়তি কোন নিরাপত্তা আদালত ভবনের চারদিকে নেই। তবে শুধু পকেট গেট খোলা রেখে বিচারপ্রার্থী আইনজীবীদের যাতায়াতে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আদালত শুরু হওয়ার সময়। প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের সমাগম হয় অথচ মূল ফটকগুলো বন্ধ করে পকেট গেট দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটা এক ধরনের ভোগান্তি।’
তবে সিজেএম আদালত ভবনের আট তলায় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চলাকালীন সময়ে বাড়তি নিরাপত্তা নিতে দেখা গেছে। সেখানে কর্তব্যরত এসআই শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। গতকালের ঘটনার পরে আজ একটু বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ঢাকার ডিসি প্রসিকিউশন মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেকোনো সময়ের চেয়ে আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে আদালত থেকে কোনো আসামি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে এবং গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে সেদিক লক্ষ্য রাখার জন্য।’
বরিশালের গৌরনদী পৌর বিএনপির সাবেক এক নেতাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির আরেক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরখানের শাহ কবীর (রহ.) মাজার থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জিয়ারতকারীদের বিশ্রামাগার থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ
১৮ মিনিট আগেজানাজার পর আমাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন আমি পাশের রুমে বসে ছিলাম। সাদকে অনেক টর্চার করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারি। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
২৯ মিনিট আগেবরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া লঞ্চঘাট থেকে উত্তর দিকে বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। বেতাগী থেকে মোকামিয়া যেতে বেড়িবাঁধের প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ৭ কিলোমিটার পাকা হলেও মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। যে কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ প্রতিদিন...
৩৯ মিনিট আগে